আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
138 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালমুআলাইকুম হুজুর, আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী, মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী।
১. আমি নামাজ সম্পূর্ণ কায়দায় জানিনা , একটা সূরা জানি শুধু তাই দিয়ে নামাজ পড়ি। আমার বন্ধু আমাকে একদিন মাগরিব এর নামাজ পড়াতে বললো , সে আর আমি ছিলাম, দুই জন।  আমি যা জানি তাই দিয়ে নামাজ পরলাম, আমি দুয়া দুরুদ শরীফ কিছু ই জানিনা , যা জানি তাই  দিয়ে নামাজ পড়েছি। তিন রাকাত নামাজ এর জায়গাতে ৪ রাকাত হয়ে গিয়েছিল আর সূরা জানিনা তাই উচ্চরণ করে বলতে পারিনি। নামাজ ভুল হওয়ার জন্য পরে আবার নতুন করে পড়ে নিয়েছি। ৩ বছর আগের কথা।  আমি  নামাজ নিয়ে কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করিনি আল্লাহ কসম । আমার নামাজ না জানার কারণে ভুল হয়েছিলো। আল্লাহ কসম ভুল করে নামাজ ভুল হয়ে গিয়েছিল। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?  ভুল বশত হয়ে গিয়েছিল। পরে আবার তিন রাকাত নামাজ পড়ে নিয়েছি। আল্লাহ কসম ভুলে হয়েছিল। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
২. আজকে ইফতার এর সময় হয়ে গিয়েছে, দিয়ে ১ মিনিট বাকি আছে  আমার শাশুড়ি কে বলছি , অজু টোজু করে নেন আর সময় নেই। যেমন সবাই বলে খাওয়া দাওয়া সেরে নেন। তেমন ই ভুল করে অজু টোজু করে নেন সময় নেই তাই বলে ফেলেছি। একদম ভুল বশত হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ কসম ভুল করে হয়ে গিয়েছে, মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে,  এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? কথার টানে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে আল্লাহ কসম। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৩. আজ মাগরিব এর ফরয নামাজ পড়ে, সুন্নত নামাজ পড়তে যাবো দেখছি যে জায়নামাজ টা একটু বাঁকা হয়ে গিয়েছে আমি আবার পা দিয়ে সোজা করে নিয়েছি। আমি ওয়াসওয়াসা রুগী দিয়ে মনে হলো জায়নামাজে মসজিদ এর ছবি আছে পাপ হবে। কিন্তু হুজুর যেখানে মসজিদ আঁকা ছিল সেখানে পা দেইনি সাইড এ পা দিয়ে সোজা করে নিয়েছি। দিয়ে ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে নাকি?? আল্লাহ কসম হুজুর ভুল বশত পা দিয়ে সোজা করেছি। আল্লাহ কসম ভুল করে হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
ঈমান চলে গেলে শেষ হয়ে যাবো ।
***হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো , ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি তো??

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে। ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...