আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
611 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
আমি দুপুর বেলায় রাস্তায় দাড়িয়ে আছি , ভীষণ গরম আর রোদ্দুর। গ্রামের একজন বাইক এ করে আসছিল আমার পরিচিত ছেলে। ছেলেটা খুবই হাসিখুশি মজা করা ছেলে। আমি তাকে বললাম একটু দাঁড়াও আমি যাবো , বলে ওই ছেলেটার বাইক এ উঠলাম।  দিয়ে ছেলেটা বলছে কি রে রোজা বড়ো হয়ে যাচ্ছে নাকি? ( মানে রোজা করতে কষ্ট হচ্ছে নাকি তাই বোঝাতে চেয়েছিল)  । আমি হাসি মুখে বললাম না না। দিয়ে ছেলে টা বলছে একটা ভিডিও দেখছিলাম ভিডিওতে বলছিলো, """""রোজা বড়ো হয়ে যাচ্ছে মাগরিব এর আযান দিচ্ছে না কেনো।""" এই কথা বলে হাসছিল। আমি হাসিনাই যেমন প্রথম থেকেই ঠোঁটে এমনি হাসছিলাম সেইটাই। এই কথা শুনে হাসিনাই। দিয়ে তার প্রতি উত্তরে  আমি বললাম এই টা আবার কোনো কথা হলো নাকি । বলে আমি চুপ হয়ে জাই ঈমান চলে যাওয়ার ভয় হয়ে জাই।  হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি আমি কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করিনি। ওই কথা শুনে আমি ভালোভাবে হাসি নাই আমার ভয় হয়ে জাই ঈমান চলে যাওয়ার।  আর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী। অনেক বছর থেকেই আমি ওয়াসওয়াসা র রুগী।
১. হুজুর আমি রোজা নিয়ে কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি। ওই ছেলে টা ভিডিও তে দেখেছিল সেইটা বলে হাসছিল। এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে? আমি এই কথা শুনে হাসিনাই।
২. ছেলেটার কথা শুনে যদি নরমালি হাসি বেরিয়ে যেতো তাহলে কি ঈমান চলে যেত??
৩. হুজুর আমি জানতাম না ইসলামের কোনো কিছু কে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করলে ঈমান চলে যায় । যেদিন থেকে জেনেছি কখনো কোনো বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করিনি। তার আগেও কখনো হাসি ঠাট্টা করিনি। যদি না জেনে অজ্ঞতা বশত , ভুল বশত কিছু করে থাকি। কিন্তু মনে পড়েনা কিছু করেছি কিনা। হয়ত কিছুই করিনি ওয়াসওয়াসা র জন্য সন্দেহ হচ্ছে। না জেনে অজ্ঞতা বশত, ভুল হয়ে থাকে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? একদম না জেনে ভুল বসত হলে কি ঈমান চলে যাবে?
৪. আমি নামাজ পড়ে শুয়ে ছিলাম । আমার শশুর ফোন করেছিলো , দিয়ে বলছে কি করছো। আমি বললাম এই তো নামাজ টামাজ পড়ে শুয়ে আছি। আল্লাহ কসম মুখ থেকে এমনি বেরিয়ে গিয়েছে যেমন বেরিয়ে জাই খাওয়া দাওয়া হয়েছে । তেমন করে আমর ও বেরিয়ে গিয়েছে নামাজ টামাজ। আল্লাহ কসম আমি কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি। ভুল করে মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়েছে । আল্লাহ কসম অনিচ্ছাকৃত ভুল করে বেরিয়ে গিয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৫. দুয়া করার সময় এমন বলা যাবে. """ আমার বিশ্ব নবী সাঃ এর ওপর হাজার হাজার দুরুদ শরীফ ও শান্তির ধারা বর্ষিত হউক। এমন বলা যাবে?

৬. হুজুর টিভি তে হিন্দুদের ধর্মের কোনো সিরিয়াল চলছে। সেই টা যদি এমনি নরমালি দেখি । জাস্ট নরমালি দেখি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

৭. আজ থেকে ৫ বছর আগে যখন দ্বীনের জ্ঞান ভালোভাবে ছিলনা। অনেক কিছু বুঝতাম না। তখন ফেস বুক এ আমি  মেয়ের একাউন্ট খুলতাম, হয়ত একাউন্ট টা কোনো হিন্দু দের নাম এ খুলতাম, যেনো না বুঝতে পারে এবং  আমার বন্ধুদের কে  নিয়ে মজা করার  জন্য মেয়ে সেজে কথা বলতাম ফেস বুক এ। হুজুর আল্লাহ কসম তখন জানতাম না এইগুলো খুবই খারাপ। ভুল বশত হয়েগিয়েছিল। ভুল বশত হয়ে গিয়েছে । হুজুর না জেনে ভুল হয়ে  গিয়েছে আমি আল্লাহ কসম করে বলছি এমনি নাম দিয়েছি, কোনো ধর্ম নিয়ে কিছু করিনি আল্লাহ কসম করে বলছি। । হুজুর আমার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো??

৮. হুজুর আমি মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী। আমি মানসিক রুগী ওষধ খাচ্ছি। হুজুর আমার যেকোনো বিষয় নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে। । ৫-৭ বছর আগে হয়ত হয়ত কোনো কথার পরিপেক্ষিতে বলেছি , আমি হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান  সেটা বড়ো কথা না আমি একজন মানুষ এইরকম বলেছি বা আমি মুসলিম হিন্দু সব  আস্তাগিরুল্লাহ , নাউজবিল্লা। হুজুর আমি মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী মারাক্তক ওয়াসওয়াসা। হুজুর এই সব কথা বলেছি কি না সেটা আমার মনে নেই , আল্লাহ কসম করে বলছি এই সব কথা বলেছি কিনা আমার একদম মনে নেই, ওয়াসওয়াসা র জন্য সন্দেহ হচ্ছে আমি মনে হয় বলেছি, আবার মনে হচ্ছে আমি বলিনি এইসব কথা। হুজুর আমার তহ মনেই পড়ছে না আমি বলেছি কিনা। আল্লাহ কসম মনে নেই। আর তখন অনেক ছোট ছিলাম কি করে বা মনে থাকবে। হুজুর ৯ বছর হয়ে গেল। আল্লাহ কসম করে বলছি আমার মনে নেই। আমি কিছু মাস হলো বিয়ে করেছি।  হুজুর আমর সন্দেহর ভিত্তিতে এমন মনে হচ্ছে,  বলেছি কিনা জানিনা আর বললেও মনে নেই,  কিন্তু আদেও মনে পড়ছে না হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো? আল্লাহ কসম করে বলছি আমর ওয়াসওয়াসা র জন্য সন্দেহ হচ্ছে, বলেছি কি না সত্যিই মনে নেই, হুজুর আমার তখন আমি ক্লাস নাইন এ পড়তাম হয়ত ১৪ বছর এর হবে হয়ত।আল্লাহ কসম বলিনি হয়তো আর আল্লাহ কসম বললেও মনে নেই অনেক বছর হয়ে গেল। সন্দেহ এর ভিত্তিতে তো কিছুই হয়না হুজুর তাইনা, বলেছি কিনা জানিনা আর বললে ও ৯ বছর হয়ে গেল ছোটো ছিলাম মনে নেই।আর বললেও আল্লাহ কসম মনে নেই।

হুজুর আমার ঈমান চলে গেলে শেষ হয়ে  যাবো   আমার ঈমান ঠিক আছে তো? আমার বৈবাহিক জীবন ঠিক আছে তো?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০২)
ছেলেটার কথা শুনে যদি নরমালি হাসি বেরিয়ে যেতো তাহলে ঈমান চলে যেতোনা।

(০৩)
তাহলে ঈমান চলে যাবেনা। একদম না জেনে ভুল বশত হলে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
এমন বলা যাবে।

(০৬)
তাহলে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৮)
আপনার ঈমান ঠিক আছে।  আপনার বৈবাহিক জীবন ঠিক আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...