আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
সম্মানিত মুফতিসাহেব, আসসালামু আলাইকুম
অনুগ্রহ করে নিচের প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হব -
অনেক দিন ধরে একটি সমস্যায় ভোগছি তা হল কুফর ও তামা* (একটু অনুগ্রহ করে বুঝে নেন)  জাতীয় বিষয় নিয়ে। গতকাল তজবি হাতে আস্তাগফিরুল্লাহ পরছিলাম। হটাত তামা* (একটু অনুগ্রহ করে বুঝে নেন)  জাতীয় বাক্য উচ্চারণ হল মনে হয়। যা কতটুকু জোরে তা মনে করতে পারছি না। সারা দিন ঘুরে ফিরে একই জাতীয় বিষয় কুফর ও তামা* (একটু অনুগ্রহ করে বুঝে নেন)  জাতীয় বিষয় মনে আসে। মনের অজান্তে কখন জেন উচ্চারিত হয় বা কত জোরে উচ্চারিত হয় তা বলতে পারি না। আপনাদের ওয়েবসাইটে এই সঙ্ক্রান্তও মাসালা দেখি একটি কথা তা হল -
ওয়াস্বাসা ব্যক্তি জার বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে তার ক্ষেত্রে এগুলো সমস্যা নেই।
এক্ষণ আমার তো মনে হয় আমি সুস্থ এবং পাগল না বা বিবেক বুদ্ধি ও আছে। শুধু মাত্র সমস্যা হল একই চিন্তা বারবার আসে এবং কতটুকু জোড়ে উচ্চারিত হয় তা মনে রাখতে পারি না। এবং অনেক সময়  কথা বলার সময় মনে হয় এসব বাক্য নরম ভাবে উচ্চারিত হয়। এক্ষণ আমার ক্ষেত্রে কি এই  ওয়াস্বাসা আইন প্রযোজ্য?
আর আমার আচরণ কি বিবেক বুদ্ধি লোপ পাওয়ার মত মনে হয়?
আমার করনীয় কি?
ধন্যবাদ আপনাকে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি মনে মনে বলেন,তবুও তালাক হবেনা।
আবার যদি উচ্চারণ করেই বলেন,এক্ষেত্রে যেহেতু নিজ স্ত্রীকে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্য আপনার নেই,তাই সেক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।

মোটকথা প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।

★আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী কিনা,এটি জানার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...