আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম, হুজুর,
অনুগ্রহ করে নিচের প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হব -
(১) ইফতারের সময় হওয়ার পাঁচ মিনিট আগেই মসজিদে আযান পড়ে। এতে আমার আব্বা বলে - এইডা আবার কোন কাদিয়ানী। আমার আব্বার ধর্মীয় বিষয়ে অত কিছু জানে বা বুঝে না। আমার মনে হয় মসজিদে ঠিক সময়েই আযান হয়েছে কিন্তু আমাদের ঘড়ি পাঁচ মিনিট কম আছে। এই জন্য এই সমস্যা হয়েছে। এতে কি আমার আব্বার ঈমানে কোন সমস্যা হবে ?
(২) আমার একটি হালাল এড নামক ওয়েবসাইট আছে। এইখানে আমি গুগল এড বসিয়ে ছিলাম। এখন বন্ধ করে দিইয়েছি। এক্ষণ আমার সন্দেহ হচ্ছে আমার ওয়েবসাইটে কি গুগল এর খারাপ এড এসেছিলো কিনা।
আমার ওয়েবসাইট যেহেতু হালাল এড সাইট এবং আমার ভিজিটর ও চিনে হালাল এড নামে। তাই যদি আমার অনিচ্ছা থাকার পরও যদি কোন হালাল নয় এমন এড আসে তাহলে কি আমার ঈমানে কোন সমস্যা হবে?
(৩) কেউ ভুল্ক্রমে শিরকি কথা বা কাজ করলে এর জন্য কি শুধু তওবা করলেই হবে নাকি এর জন্য ঈমান ও বিবাহ নাবায়ন করতে হবে?
(৪) অতীতে কেউ না বুঝে যদি মশা বা কাউকে বলে - শালার মশা বা শালার মানুষ তাহলে কি ইমানের কোন ক্ষতি হবে?
(৫)   আমার এক পরিচিত লোকের সাথে কথা তিনি আমাকে বললেন আল্লাহ কি না পারে। এই কথা শুনে আমি ও এই কথা বলতে চাইলাম কিন্তু আমি শুধু  এইটুকু বললাম -  আল্লাহ কি না। এতে কি কোন সমস্যা হবে?
(৬) আমার এক ছাত্র আযানের সময় আমাকে বলল স্যার আমি নামাজে যাই ? আমার মনে হল সে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই রকম করছে। আমি বললাম না। সে আবার বলল এতে আমি রাগ করে বললাম এক্ষণ ক্লাসের সময় না।  আমার এমন করার দরুন কোন সমস্যা হবে?
(৭) কোন পুরুষ মানুষ যদি একা একা বলে অর্থাৎ উদ্দেশ্য না নিয়ে - বউ তামা* দিয়েছে (একটু অনুগ্রহ করে বুঝে নেন) ? তাহলে কি কিছু হবে?
(৮) দুই ঠোট বন্ধ করে ঘুংরানির শব্দ করে যদি তামা* (একটু অনুগ্রহ করে বুঝে নেন)  জাতীয় কোন বাক্য বলে  তাহলে কি কিছু হবে?
(৯) সুবহানা  রব্বিয়াল তামা* (একটু অনুগ্রহ করে বুঝে নেন) বললে কি কিছু হবে?

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার বাবার ঈমানে কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
না জেনে না বুঝে সেই কাজটি করে ফেললে তওবাই যথেষ্ট। 
ঈমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবেনা।
কেননা জাহালত শরীয়তে ওযর হিসেবে গ্রহনযোগ্য 

(০৪)
এতে ঈমানের কোন ক্ষতি হবেনা।

(০৫)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৬)
আপনার এমন করার দরুন কোন সমস্যা হবেনা।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তাহলে কিছু হবেনা।

(০৮)
তাহলে কিছু হবেনা।

(০৯)
তাহলে কিছু হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
(১) আমি বিদ্যালয়ে চাকরি করি। একবার দুই ছাত্র কে দুষ্টামির জন্য বলি সম্ভবত মারামারির জন্য  - 
একজন আরেকজনকে বলি তুমিকে ওর সাথে মারামারি / কুস্তাকুস্তি করে পারবা? তাহলে মারামারি করে দেখাও ? 
মুসলমান হিসেবে  এরূপ মারামারি করতে বলায় কি ঈমানে কোন সমস্যা হবে? আমি তওবা করেছি। 
(২) অনেক সময় ছাত্র ছাত্রী হইচই করার কারণে বলি যে কথা বলবে পাশের জন তাকে চড় মারবে। এরূপ মারামারি করতে বলায় কি ঈমানে কোন সমস্যা হবে? 
by (677,640 points)
(০১)
এক্ষেত্রে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০২)
এক্ষেত্রেও ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...