আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
206 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
একটা ছেলে একটা মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন দ্বীনী কথাবার্তা বলার পর হঠাৎ করে ডিরেক্ট বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিল।

কারন, দ্বীনী কথাবার্তার মধ্যে মেয়েটা তাকে বিয়ের কথাও বলেছিলো।

ছেলেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে, সে জীবনে কখনো বিয়ে করবে না।

তবে, মেয়েটার কথাবার্তা শোনার পর ওকে তার ভালো লেগে যায়, এবং ওর সাথে বিয়ের কথাবার্তা বলা শুরু করে।

সে মেয়েটাকে বলে যে: সে যদি কখনো বিয়ে করে, তাহলে শুধু ওকেই করবে।

সে মেয়েটার কাছে তার বাবার ফোন নাম্বার চায়, এবং বলে যে ২৫-২৬ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে।

ছেলেটা এটাও বলে যে, সে তার সাথে আর কথাবার্তা বলবে না আপাতত।

অবশ্য, তার আগে সে মেয়েটার সাথে কথাবার্তা বলা শুরু করেছিলো, যা শুধু প্রেমিক প্রেমিকার পক্ষেই সম্ভব। যেমন: একগ্লাসে পানি খাওয়া, চোখ মুছে দেয়া,  ইত্যাদি ইত্যাদি।।

উল্লেখ্য যে, তারা সবেমাত্র ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী।

যাইহোক, মেয়েটা আমার কাছে পরামর্শ চায়। আমি তাকে স্ট্রিক্টলি নিষেধ করি।

আমি ছেলেটাকেও নানাভাবে নিষেধ করেছি যে, মানুষের পছন্দ বারবার পরিবর্তন হয়। আর, এখন তো মাত্র বয়ঃসন্ধির বয়স। এখন নানাধরনের চিন্তাভাবনা আসবে মাথায়।

আমি ওকে এটাও বুঝিয়েছি যে, কাউকে এভাবে নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে নেয়া, এই বয়সে ঠিক না।

আমার বোঝানোতে কি কোনো সমস্যা ছিল?

আমি কি তাদের কোনো ভুল পরামর্শ দিয়েছি?

তাদের এখন করনীয় কি?

আমার মাঝে মাঝে অপরাধ বোধ জাগে, তারা হয়তো বড় হয়ে সত্যিই বিয়ে করতে পারতো...

দয়া করে বিস্তারিত পরামর্শ জানিয়ে সাহায্য করবেন।।

জাযাকাল্লাহ খইর

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তে মূলত বিয়ের কোনো বয়স নাই।যেকোনো বয়সের একজন ভিন্ন বয়সের কাউকে বিয়ে করে নিতে পারবেন।তবে সহবাস উপযোগী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সহবাস করা যাবে না।যদি জোড় করে সহবাস করে তাহলে এর তাকে শাস্তি পেতে হবে।

তবে বিবাহ বহির্ভূত হারাম সম্পর্কে ইসলাম কখনো সমর্থন দেয় ন্।

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কোনো পুরুষ মহিলার সাথে ইনবক্সে কথা বলতে পারবে না।

বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
 ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ
، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :
" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .
)ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ " ( /20 211 ـ 212 ) ﺭﻗﻢ ( 486 ، 487 ) ، ﻭﺍﻟﺮﻭﻳﺎﻧﻲ ﻓﻲ " ﻣﺴﻨﺪﻩ " ( /2 323 ) ﺭﻗﻢ ( 1283 ) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺷﺪﺍﺩ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺮﺍﺳﺒﻲ ، ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺸﺨﻴﺮ ﻳﻘﻮﻝ : ﺳﻤﻌﺖُ ﻣﻌﻘﻞ ﺑﻦ ﻳﺴﺎﺭ ﻳﻘﻮﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﺬﻛﺮﻩ(
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।
অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 6674 ) ، ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 3470 ) ، ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 3228 ) ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ( 2866 ) ، ﻭﺃﺣﻤﺪ ( 23685 )
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!
নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।
আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।
ﻣﺎ ﺧﻼ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻣﺮﺃﺓ ﺇﻻ ﻛﺎﻥ
ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺛﺎﻟﺜﻬﻤﺎ " – ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ( 2165 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ( 1758
তরজমাঃ-কোনো পুরুষ যদি কোনো মহিলার সাথে নির্জনে একাকী বসবাস করে,তাহলে তাদের সাথে তৃতীয়জন আরেকজন হল শয়তান।
অর্থাৎ শয়তান সর্বদাই তাদেরকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
প্রোফাইল পিকচারে প্রাণীর ছবি দেওয়া,পুরুষের হোক বা মহিলার হোক সর্বাবস্থায় হারাম।



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাদের প্রেম ভালবাসা থেকে বিরত রেখে আপনি উত্তম কাজই করেছেন।কেননা যেহেতু এখন তারা বিয়ে করতে পারবে না।সামাজিক ও রাষ্টীয় বাধা সামনে চলে আসবে।হ্যা সামাজিক বা রাষ্টীয় বাধা শরীয়ত সম্মত কি না সেটা অবশ্যই ভিন্ন কথা।
তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে হারাম সম্পর্ক থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা আপনার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।সুতরাং আপনি উত্তম পরামর্শ ও উপদেশ দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (27 points)
কাউকে নির্দিষ্ট ভাবে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে ঠিক করে নেয়া, প্রায় ১০ বছর আগে, এ বিষয়ে কি বলবেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...