বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনারা তারাতারি বিয়ে করেছেন,এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।নিজ ঈমান আমলকে উত্তম ত্বরিকায় হেফাজতের মাধ্যমই বিয়ে।
বিয়ে সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
নিজ পিতা মাতা আর শাশুড় শাশুড়ীর সম্মান ও মর্যাদা শরীয়তে সমান নয়।নিজ মায়ের পায়ের নিচে বেহেস্ত।তবে শাশুড়ীর পায়ের নিচে বেহেশত নয়।প্রত্যেক মানুষের সবচেয়ে উত্তম ব্যবহারের একমাত্র অধিকারী তার মা অতপর তার বাবা।মা এবং বাবার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।তবে শশুড় শাশুড়ীর আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব হবে না।
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لَا يَحِلُّ سَفَرٌ فِيهِ خَطَرٌ إلَّا بِإِذْنِهِمَا. وَمَا لَا خَطَرَ فِيهِ يَحِلُّ بِلَا إذْنٍ وَمِنْهُ السَّفَرُ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ
যে সফরে ক্ষতির আশংকা থাকবে সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ নয়।আর যে সফরে ক্ষতির সম্ভাবনা নাই,সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ।এর মধ্যে একটি হলো,ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা।অর্থাৎ ইলম অর্জনের জন্য সফর করা মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত ও বৈধ।
যেহেতু স্বামী স্ত্রী একজন অপরজনের অতি আপনজন,তাই একে অন্যর পিতামাতাকে আপন করে নেয়াই উচিৎ ও কাম্য।কেননা এদ্ধারা নিজের পারস্পারিক মহব্বত অটুট থাকবে।এবং ভালবাসা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রত্যেকেই সে তার শাশুড় শাশুড়ীর সাথে উত্তম আচরণ করকে।তাদেরকে সম্মান করবে।যদি শাশুড় শাশুড়ী কারো উপর নারাজ হয়, তাহলে এর জন্য তার উপর শাশুড় শাশুড়ীর পক্ষ্য থেকে কোনো বদ-দু'আর প্রভাবিত পড়বে না যদি তারা দিয়ে থাকে।
আপনি আপনার শাশুড় শাশুড়ীর সাথে সাধ্যমত উত্তম ব্যবহার অভ্যাহত রাখুন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর।