আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
১. অনেক দিন এমন হয়েছে যে অনিচ্ছাকৃত ভাবে গোসলের সময় নাক দিয়ে কিছু পানি প্রবেশ করে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা ওযু করার ক্ষেত্রে যেমন নাকে পানি দিলে মাঝে মাঝে তালুতে উঠে যায়, ওই রকম অনুভুতি হয়েছিলো । কিন্তু পানি মুখে বা পেটে প্রবেশ করেছে এমন কোনো ভাবেই মনে পরছে না। আমি জেনেছিলাম নাকে দিয়ে মগজে গেলেও গলায় বা পেটে না গেলে ভাঙ্গে না। এমতাবস্থায় কি রোজাগুলো ভেঙ্গে গিয়েছিলো?

২. যদি ভেঙ্গে থাকে এগুলো কিভাবে করবো আমার তো সংখ্যা ও জানা নাই, আর কতোটি কাজা হয়েছে এভাবে কোনো আইডিয়াই করতে পারছি না এক্ষেত্রে কি করবো?

৩. আমার বউ এর সাথে এই বিষয় শেয়ার করেছিলাম সে বললো রোজা হবে, তুমি ইচ্ছে করো করো নি। তখন তাকে বলি অসতর্ক হয়ে রোজা ভঙ্গের কিছু হলে রোজা নষ্ট হয়। সে বললো নাহ "নাহ, হয় না"।  পরে তাকে বললাম বেখেয়ালি হয়ে খেলেও কিচ্ছু হয় না এটা মাফ , কিন্তু অসতর্ক হয়ে করলে মাফ নাই। সে বললো "ওহ আচ্ছা", পরে বললো "  দুটু তো এক ই" তখন বললাম নাহ এক নয়, তখন সে বললো, ওহ, আচ্ছা বাদ দেও। আমার ভালো লাগছে না ব্যাথা করতেছে, (অন্য আলাপে চলে যাই) তার এই কথোপকথনে কি কুফর হবে?

৪. ইফতারের পর সে দেখে তার পিরিয়ড হয়েছে, তখন তাকে বললাম এই রোজা কি হয়েছে, বললো হ্যা৷ পরে বললাম কখন হয়েছে পিরিয়ড, বললো"  দেখলাম এখন কিন্তু হয়েছে মনে হয় আগেই, এতো সময় দেখি নি, হলে রোজা ভাঙ্গবে এই ভয়ে "। বললো তার মাকে জিগ্যেস করেছে বলেছন হয়ে যাবে রোজা, কিন্তু বউ বললো সে কনফিউজড।  পরে জেনে দেখলাম প্রবল ধারনা যদি হয় আগেই হয়েছে, তবে কাজা করতে হবে। ুটা দেখানোর পর বললো, তাহলে তো  কাজা করতে হবে। তখন জিগ্যেস করলাম তাহলে প্রথমে বললে কেনো রোজা হয়েছে। তখন বললো " রোজার পরে দেখেছে পিরিয়ড হয়েছে,  এটা বুঝিয়েছে"

এই কারনে কি তার কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَإِنْ تَمَضْمَضَ أَوْ اسْتَنْشَقَ فَدَخَلَ الْمَاءُ جَوْفَهُ إنْ كَانَ ذَاكِرًا لِصَوْمِهِ فَسَدَ صَوْمُهُ وَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ ذَاكِرًا لَا يَفْسُدُ صَوْمُهُ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَعَلَيْهِ الِاعْتِمَادُ.
রোযাদার ব্যক্তি যদি(অজু করার সময়)গরগরা করে কুলি করে এবং নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছায়।অতঃপর সে পানি ভিতরে চলে যায়।যদি তার রোযা স্বরণ থাকা অবস্থায় সে ঐ পানি পৌছিয়ে থাকে, তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধুমাত্র তার কাযা আসবে।কিন্তু যদি তার রোযা স্বরণে না থাকে, তাহলে তার রোযা ভঙ্গ হবে না।(খুলাসাহ)এবং এর উপর-ই ফাতাওয়া।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২০২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/9123

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
রোযার কথা স্বরণ থাকাবস্থায় যদি গলার ভিতর প্রবেশ করে, তাহলো রোযা ফাসিদ।নতুবা রোযা ফাসিদ হবে না।

(২)এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কা'যা আসবে।কাফফারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

(৩) আপনার স্ত্রীর কথোপকথন ঠিকই তো মনে হচ্ছে। আপনার স্ত্রী কাফির হবে না।

(৪)জ্বী, প্রবল ধারনা যদি হয় আগেই হয়েছে, তবে কাজা করতে হবে। তবে আপনার স্ত্রীর উপরেক্ত কথাবার্তার দ্বারা সে কাফির হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...