আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
551 views
in সাওম (Fasting) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, আজকে অযুর সময় নাকে পানি দিতে গিয়ে অনিচ্ছায় কিছুটা পানি মুখের গভীরে চলে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে তার পুরোটাই (ইন-শা-আল্লাহ) কুলি করে ফেলে দেই। পানি গলায় পৌছেছিলো কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে আছি। রোজা রেখে সাবধানের সাথে মুখের মধ্যে যে কুলি করি পানিটা তার চেয়ে একটু ভেতরে গিয়েছিলো কিন্তু গলায় পৌছেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে কিন্তু পেটে যায় নি এব্যাপারে নিশ্চিত। এ অবস্থায় আমার কি রোজা ভেঙ্গে গেছে? আর এক্ষেত্রে কি কাফফারা দিতে হবে? আর কাফফারা দিলে কি রমজানের এই রোজার সমান সওয়াব পাবো?

জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (697,520 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/293

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে- 
وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة 
ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)
রোযা অবস্থায় কুলি করা এবং নাকে পানি দেয়া যাবে।তবে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা এবং ইসতেনশাক্ব তথা নাকে পনি দিয়ে জোড়ে টান দেয়া যাবে না।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-২৮৩) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/1282

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, আপনার পেটে পানি যায়নি, তাহলে আপনার রোযা সন্দেহের দরুণ ফাসিদ হবে না। গলাতে পৌছে গেলে পেটে পৌছে যাওয়া স্বাভাবিক, তাই আপনি সতর্কতামূলক কাযা করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কাফফারা আসবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 363 views
...