আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
১. অনেক দিন এমন হয়েছে যে অনিচ্ছাকৃত ভাবে গোসলের সময় নাক দিয়ে কিছু পানি প্রবেশ করে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা ওযু করার ক্ষেত্রে যেমন নাকে পানি দিলে মাঝে মাঝে তালুতে উঠে যায়, ওই রকম অনুভুতি হয়েছিলো । কিন্তু পানি মুখে বা পেটে প্রবেশ করেছে এমন কোনো ভাবেই মনে পরছে না। আমি জেনেছিলাম নাকে দিয়ে মগজে গেলেও গলায় বা পেটে না গেলে ভাঙ্গে না। এমতাবস্থায় কি রোজাগুলো ভেঙ্গে গিয়েছিলো?
২. যদি ভেঙ্গে থাকে এগুলো কিভাবে করবো আমার তো সংখ্যা ও জানা নাই, আর কতোটি কাজা হয়েছে এভাবে কোনো আইডিয়াই করতে পারছি না এক্ষেত্রে কি করবো?
৩. আমার বউ এর সাথে এই বিষয় শেয়ার করেছিলাম সে বললো রোজা হবে, তুমি ইচ্ছে করো করো নি। তখন তাকে বলি অসতর্ক হয়ে রোজা ভঙ্গের কিছু হলে রোজা নষ্ট হয়। সে বললো নাহ "নাহ, হয় না"। পরে তাকে বললাম বেখেয়ালি হয়ে খেলেও কিচ্ছু হয় না এটা মাফ , কিন্তু অসতর্ক হয়ে করলে মাফ নাই। সে বললো "ওহ আচ্ছা", পরে বললো " দুটু তো এক ই" তখন বললাম নাহ এক নয়, তখন সে বললো, ওহ, আচ্ছা বাদ দেও। আমার ভালো লাগছে না ব্যাথা করতেছে, (অন্য আলাপে চলে যাই) তার এই কথোপকথনে কি কুফর হবে?
৪. ইফতারের পর সে দেখে তার পিরিয়ড হয়েছে, তখন তাকে বললাম এই রোজা কি হয়েছে, বললো হ্যা৷ পরে বললাম কখন হয়েছে পিরিয়ড, বললো" দেখলাম এখন কিন্তু হয়েছে মনে হয় আগেই, এতো সময় দেখি নি, হলে রোজা ভাঙ্গবে এই ভয়ে "। বললো তার মাকে জিগ্যেস করেছে বলেছন হয়ে যাবে রোজা, কিন্তু বউ বললো সে কনফিউজড। পরে জেনে দেখলাম প্রবল ধারনা যদি হয় আগেই হয়েছে, তবে কাজা করতে হবে। ুটা দেখানোর পর বললো, তাহলে তো কাজা করতে হবে। তখন জিগ্যেস করলাম তাহলে প্রথমে বললে কেনো রোজা হয়েছে। তখন বললো " রোজার পরে দেখেছে পিরিয়ড হয়েছে, এটা বুঝিয়েছে"
এই কারনে কি তার কুফর হবে?