আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
১. সিজদাহ্ আছে এন সুরা গুলো হিফজের ক্ষেত্রে যতবার পড়বো ততবার কি সিজদাহ্ করতে হবে?

২. সিজদাহ্ আছে এমন সুরা গুলো নামাজে পড়ার বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَالْمَجْلِسُ وَاحِدٌ وَإِنْ طَالَ أَوْ أَكَلَ لُقْمَةً أَوْ شَرِبَ شَرْبَةً أَوْ قَامَ أَوْ مَشَى خُطْوَةً أَوْ خُطْوَتَيْنِ أَوْ انْتَقَلَ مِنْ زَاوِيَةِ الْبَيْتِ أَوْ الْمَسْجِدِ إلَى زَاوِيَةٍ إلَّا إذَا كَانَتْ الدَّارُ كَبِيرَةً كَدَارِ السُّلْطَانِ
মজলিস-কে এক মজলিস হিসেবে গণনা করা হবে,
*মজলিস যত লম্বাই হোক, 
*বা সেখানে খাবার গ্রহণ করা হোক,
*বা সে দাড়িয়ে যাক,
*অথবা এক কদম বা দুই কদম চলাচল করুক,
*অথবা ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কিংবা মসজিদের এক কোনে থেকে অন্য কোনে চলে যাক,
সর্বাবস্থায় উক্ত মজলিসকে ঐ ব্যক্তির জন্য এক মজলিস হিসেবেই গণনা করা হবে।

হ্যা যদি ঘর বেশ বড় হয় যেমন রাজপ্রসাদ তাহলে এমতাবস্তায় উক্ত ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কেউ গেলে, তার পূর্বের মজলিস খতম হয়ে যাবে।তথা তখন আর তার এক মজলিস থাকবেনা,বরং তার জন্য তখন একাধিক মজলিস হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/576

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
সিজদাহ্ আছে এমন সুরাগুলো হিফজের ক্ষেত্রে যতবারই পড়েন না কেন, আপনি যদি একই মজলিসে বসে পড়েন, তাহলে একটি সিজদাহই দিবেন।একটি সিজদাই ওয়াজিব হবে।

(২)
তেলাওয়াতে সেজদা আদায় করা ওয়াজিব,যারা তেলাওয়াত করবেন বা শুনবেন সবাইকে আদায় করতে হবে নতুবা গুনাহ হবে।কখন আদায় করতে হবে?নামজের মধ্যে হলে ততক্ষনাৎ আদায় করা ওয়াজিব,
আদ্দুরুল মখতার ২খন্ড১১০পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছেঃ
 ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻼَﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺳَﺠَﺪَﻫَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻻَ ﺧَﺎﺭِﺟَﻬَﺎ
তরজমাঃ- যদি নামাজে তেলাওয়াতে সেজদা পাঠ করা হয় তাহলে নামাজেই সেজদা করতে হবে,বাহিরে করলে হবে না।নামাজে আদায় করার পদ্ধতি হচ্ছে, যদি সূরার শেষাংশে সেজদায়ে তেলাওয়াত হয়,তাহলে নামাজের মধ্যেই উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত পড়ার পূর্বে আদায় করতে হবে এবং করাই ওয়াজিব।কিন্তু  মধ্যাংশে হলে উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত থেকে একটু বেশীও পড়া যাবে।(আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1928

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সিজদাহ আছে এমন সুরাগুলো নামাজে পড়লে সাহু সাথে সাথেই তিলাওয়াতে সিজদা দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 142 views
...