আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
১।নামাজের ভিতরে ওসওয়াসার কারনে  মনের ভেতর অনেক কথা আসে ঐসময় অনিচ্ছায় জিহ্বা নরে কিন্তু কোনো আওয়াজ হয় না ওসওয়াসার কারনে মনে হল মুখ দিয়ে বলে ফেললাম এখন যদি আমি সিওর না থাকি যে মুখ দিয়ে আওয়াজ করে বললাম নাকি মনে মনে বললাম তাহলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে?

২।আমার বাবা ছারছীনা পীর সাহেবের মুরিদ উনি চান আমিও ঐখানে যাই। কিন্তু ঐখানে তো মিলাদ কিয়াম করে।

(i) আমি যদি মিলাদ কিয়াম থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করি। তারপরও যদি পড়ার মাঝখানে পড়ে যাই বিদআত মেনে শুধু দাঁড়িয়ে থাকি নবীজী সঃ উনার নাম
শুনবার কারনে যদি দুরুদ পড়ি তাহলে কি যাওয়া যাবে?

(ii)মানসিক অশান্তিতে আছি ব্যবসায় লস আরও নানা কারনে এখন যদি ছারছীনাতে  যাই লঞ্চ ভ্রমনে ও ঘুরতে শুধু এই উদ্দেশ্য তাহলে কি যাওয়া যাবে?

৩।ব্যবসা লস হওয়ার কারনে দোকানে বসিনা ঠিকমত।দোকান বিক্রি করে ফেলবো  বাবা মা চায় যেনো দোকানে বসি কিন্তু দোকানে বসলে বেশি  হতাশ হয়ে যাই অশান্তি লাগে। এখন যদি আমি দোকানে না বসি আমি কি বাবা মার অবাধ্য হব?

৪। কয়েকজন মিলে একজনের ক্ষেত থেকে শসা চুরি করে খাই তার কাছে টাকা দেওয়া অথবা মাফ চাই সমস্যা হতে পারে একজনকে বলছিলাম সে এনেকের কাছে বলে দিছে। এখন যদি তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে টাকা রিচার্জ করে দেই তাহলে কি হবে?

(i)তার অনুমতি ব্যাতিত তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা তার হক নষ্ট হবে কি?

(ii) শুধু আমি যতটুকু খাইছি ততটুকু বা সতর্কতামূলক একটু বেশি দিলে হবে?

(ii)যে যে ক্ষেত্রে বান্দার হক ফিরিয়ে দিতে গেলে সমস্যা হবে সে সে ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি গ্রহন করা যাবে কি?

৫। একজনের গাছ থেকে রশি চুরি করে খাইছিলাম  তখন আমার বয়স ১৩ নাকি ১৪ এর কাছাকাছি মনে নেই নাবালেগ ছিলাম নাকি বালেগ ছিলাম মনে করতে পারতেছিনা আমার প্রবল ধারণা যে আমি নাবালেগ ছিলাম এখন তার হক না দেই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

৬।যদি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না হয় তাহলে ঐ সুন্নাত সমূহকে যদি পালন না করে সম্মান রেখে জায়েজ কাজ করা হয় তাহলে কি আমার ইমানে কোনো সমস্যা হবে?

৭।কাপড়ে যদি প্রসাবের বা কোনো অদৃশ্য নাপাকি লাগে সেই কাপড় কে পুকুরে বা টেপ এর পানিতে পাঁচ থেকে ছয়বার ধুয়ে যদি মোটামুটি নিংড়ে দেই তবে শক্তভাবে নিংড়ালে পানি পরবে তাহলে কি সেই কাপড় নাপাক থাকবে।নাকি যত বারই ধুয়া হোক না কেন শেষ বার নিংড়ালে পানি থাকতে পারবে না?
by
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমার  একটি প্রশ্নের   উত্তর দিলে উপকৃত হতাম - 
আমার একটি হালাল এড নামক ওয়েবসাইট আছে। এইখানে আমি গুগল এড বসিয়ে ছিলাম। এখন বন্ধ করে দিইয়েছি। এক্ষণ আমার সন্দেহ হচ্ছে আমার ওয়েবসাইটে কি গুগল এর খারাপ এড এসেছিলো কিনা। 
আমার ওয়েবসাইট যেহেতু হালাল এড সাইট এবং আমার ভিজিটর ও চিনে হালাল এড নামে। তাই যদি আমার অনিচ্ছা থাকার পরও যদি কোন হালাল নয় এমন এড আসে তাহলে কি আমার ঈমানে কোন সমস্যা হবে? 

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/67304/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ . فَرَمَانِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ . فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ "

আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু'আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে (সালাত আদায়কারীদের মধ্যে) কোন একজন লোক হাচি দিলে (জবাবে) আমি "ইয়ারহামুকাল্প-হ" (অর্থাৎ- আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন) বললাম। এতে সবাই রুষ্ট দৃষ্টিতে আমার প্রতি তাকাতে থাকল। তা দেখে আমি বললামঃ আমার মা আমার বিয়োগ ব্যথায় কাতর হোক। (অর্থাৎ এভাবে আমি নিজেকে ভৎসনা করলাম)। কি ব্যাপার! তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছ যে? তখন তারা নিজ নিজ উরুতে হাত চাপড়াতে থাকল। (আমার খুব রাগ হওয়া সত্ত্বেও) আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চায় তখন আমি চুপ করে রইলাম।

পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলে আমি তাকে সবকিছু বললাম। আমার পিতা ও মাতা তার জন্য কুরবান হোক। আমি ইতোপূর্বে বা এর পরে আর কখনো অন্য কোন শিক্ষককে তার চেয়ে উত্তম পন্থায় শিক্ষা দিতে দেখিনি। আল্লাহর শপথ করে বলছি, তিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সালাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহ, তাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে।
(মুসলিম শরীফ ১০৮৬. (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৮০, ইসলামীক সেন্টার ১০৮৮)

★নামাজ ভঙ্গের অন্যতম একটি কারন হলো,
নামাজের ভেতর কথা বলা। 

নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে প্রয়োজনবশত মুক্তাদির মুখ নড়াচরা করার কারণে মুক্তাদির মুখ দিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোনো শব্দ বের হলে সেটি যদি শোনা না যায় বা অর্থবোধক শব্দ না হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০২)
আপনি যেতে পারেন।
তবে কোনোভাবেই মিলাদ কিয়াম করবেননা।

(০৩)
হ্যাঁ, এতে আপনি আপনার বাবা মার অবাধ্য হবেন।

(০৪)
এখন যদি তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে টাকা রিচার্জ করে দেন, তাহলে সেটি জায়েজ হবে।

(i)তার অনুমতি ব্যাতিত তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা তার হক নষ্ট হবেনা।

(ii) শুধু আপনি যতটুকু খাইছেন ততটুকু বা সতর্কতামূলক একটু বেশি দিলে হবে। 

(ii)যে যে ক্ষেত্রে বান্দার হক ফিরিয়ে দিতে গেলে সমস্যা হবে সে সে ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি গ্রহন করা যাবে। 

তবে এক্ষেত্রে প্রথমে তার বিকাশ নগদ ইত্যাদিতে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করবেন। ব্যাক্তির বিকাশ নগদ ইত্যাদি না থাকলে তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করবেন। সেটিও সম্ভব না হলে ডাকযোগে তার কাছে টাকা পাঠাতে পারেন। সেটিও সম্ভব না হলে তার মোবাইল নাম্বারে রিচার্জ করে দিবেন।

(০৫)
এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।
তাই হক আদায় করতে হবে।

(০৬)
এতে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৭)
যথাসম্ভব শক্তি ব্যয় করে নিংড়াবেন।
তাহলেই পাক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...