হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ هَارُوْنَ حَدَّثَنَا الْعَوَّامُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ أَبُوْ إِسْمَاعِيْلَ السَّكْسَكِيُّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ وَاصْطَحَبَ هُوَ وَيَزِيْدُ بْنُ أَبِيْ كَبْشَةَ فِيْ سَفَرٍ فَكَانَ يَزِيْدُ يَصُومُ فِي السَّفَرِ فَقَالَ لَهُ أَبُوْ بُرْدَةَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى مِرَارًا يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيْمًا صَحِيْحًا
আবূ ইসমাঈল আসসাকসাকী বলেন, আবূ বুরদাহ্-কে বলতে শুনেছি, তিনি এবং ইয়াযিদ ইবনু আবূ কাবশা (রাঃ) সফরে ছিলেন। আর ইয়াযিদ (রাঃ) মুসাফির অবস্থায় রোযা রাখতেন। আবূ বুরদাহ (রাঃ) তাঁকে বললেন, আমি আবূ মূসা (আশ‘আরী) (রাঃ)-কে একাধিকবার বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন বান্দা পীড়িত হয় কিংবা সফরে থাকে, তখন তার জন্য তা-ই লেখা হয়, যা সে আবাসে সুস্থ অবস্থায় ‘আমল করত। (বুখারী ২৯৯৬.আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭৮৫)
وَعَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ بِمِثْلِ مَا كَانَ يعْمل مُقيما صَحِيحا»
আবূ মূসা আল আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ রোগে অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে তার ‘আমলনামায় তাই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় বা বাড়ীতে থাকলে লেখা হত।
(বুখারী ২৯৯৬, আহমাদ ১৯৬৭৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৫৪৭, ইরওয়া ৫৬০, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪২০।)
ব্যাখ্যা: (إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ) বান্দা যখন রোগে আক্রান্ত হয় রোগ হওয়ার পূর্বে ‘আমল করত আর রোগ তাকে ‘আমল করতে বাধা দিচ্ছে এবং তার নিয়্যাত এমনটি যে বাধাদানকারী না হলে তার ‘আমল সে চালিয়ে যেত।
(أَوْ سَافَرَ) অথবা সফর করে। সফরই তাকে ‘আমল করতে বাধা দিচ্ছে তা না হলে সে ‘আমল চালিয়ে যেত আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় আছে, (إَذَا كَانَ الْعَبْدُ يَعْمَلُ عَمَلًا صَالِحًا فَشَغَلَه عَنْهُ مَرَضٌ أَوْ سَفَرٌ)
‘যখন বান্দা সৎ ‘আমল করতে থাকে অতঃপর তাকে বাধা দেয় রোগ বা সফর।’
আহমাদ-এর বর্ণনা এসেছে,
إَذَا ابْتَلَى اللهُ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ بِبَلَاءٍ فِي جَسَدِه قَالَ اللهُ: أُكْتُبْ لَه صَالِحَ عَمَلِهِ الَّذِىْ كَانَ يَعْمَلُه فَإِنْ شَفَاهُ غَسَلَه وَطَهَّرَه وَإِنْ قَبَضَه غَفَرَ لَه وَرَحْمَه.
আল্লাহ যখন মুসলিম বান্দাকে তার শরীরে রোগ দিয়ে পরীক্ষা করান তখন আল্লাহ (মালাককে) বলেন তার জন্য সৎ ‘আমল লিপিবদ্ধ কর যা সে সৎ ‘আমল করছিল যদি তাকে আরোগ্য লাভ করান তাহলে তাকে শুধু ধৌত ও পাক পবিত্র করাল (গুনাহ হতে) আর যদি আল্লাহ তাকে মৃত্যু ঘটান তহলে তাকে মাফ করে দেন এবং তার প্রতি রহম করেন।
নাসায়ীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, হাদীসে সেখানে বল হয়েছে যার রাত্রিতে নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) রয়েছে কিন্তু ঘুম বা ব্যথা তাকে সালাত আদায়ে বাধা দিয়েছে তারপরেও তার জন্য সালাতের সাওয়াব লেখা হয় আর ঘুমটি হল তার ওপর সদাক্বাহ্ (সাদাকা)।
এক্ষেত্রে যেই মহিলা নিয়মিত নামাযি হয়, যদি হায়েজ না আসতো,তাহলে অবশ্যই নামাজ পড়তো,নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষা তার মধ্যে পূর্ণ ভাবে থাকে,তবে শুধু রাসুলের আদেশ স্বার্থে সেই সময়ে নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকে,সেক্ষেত্রে হায়েজ দিন গুলোতেও উক্ত মহিলা উপরোক্ত হাদীসের আলোকে নামাজের ছওয়াব পাবে,ইনশাআল্লাহ।
তবে এক্ষেত্রে হায়েজ অবস্থাতে নামাজের ওয়াক্ত গুলোতে অযু করে এসে কিছু সময় (সামান্য সময় হলেও) যিকির আযকার করার পরামর্শ থাকবে।
নিয়মিত সিয়াম পালনকারী মহিলার ক্ষেত্রে রমাদানে যে সিয়াম হায়েজের কারণে ভঙ্গ হচ্ছে পরবর্তীতে কাজা করলে রমাদানে যে পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যেতো সে পরিমান সওয়াব পাওয়া যাবে।