আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম

আগের প্রশ্নের লিংক http://ifatwa.info/71786/

প্রশ্ন ১) কোন ব্যাক্তি জিহার সম্বন্ধে নতুন জানার পর যখন সন্দেহ করে তার দারা পূর্বে কখনো জিহার হয়েছে কিনা তখন সন্দিহানহয়ে পড়ে। এবং সতর্কতা মূলক কাফফরা আদায়ের চিন্তা ও করে।  কিন্তু কাফফরা আদায় করার পূর্বেই তাদের মিলনের ফলে তারস্ত্রী প্রেগন্যান্ট হয়।যদি কোনভাবে অতিতে জিহার হয়ে থাকে ( যথেষ্ট সন্দেহ আছে ) তাহলে আল্লাহ যেই সন্তান দান করবেন তা কি হালাল হবে?  এখনতাদের করনিয় কি? এই সন্দেহের কারনে যে জিহার হয়েছে  নাকি হয়নি  এই বিষয়ের সমাধান কি ?

প্রশ্ন ২ ) আগের মত ভালোবাসা স্ত্রীর মনে কি এখনো আছে সেটা জানার জন্যে অথবা বুঝার জন্য স্ত্রীকে কেউ যদি  জিজ্ঞেস করে
" তুমি কি এখন আর আমাকে ভালোবাসো না? আমাকে কি এখন আর তুমি পছন্দ করনা? তুমি কি আমাকে এভয়েড করছো / অথবা তুমি আমাকে কেন এভয়েড করছো " উত্তরে যদি স্ত্রী বলে "আমি আপনাকে অবশ্যই পছন্দ করি ,ভালোবাসি, আমিআপনাকে কেন এভয়েড করবো? " তাদের এরুপ কথার কারনে কোন সমস্যা হবে কি? অন্য কোন নিয়তে এসব কথা বলা হয়নি। শুধু একটাই কারন ,স্ত্রী কি তাকে আগের মত ভালোবাসে কিনা সেটা বুঝার জন্য এমন কথা জিজ্ঞেস করে।

প্রশ্ন ৩) এ পর্যন্ত **** সংক্রান্ত যত প্রশ্ন করেছি( একটু বুঝে নিবেন দয়া করে)। আলহামদুলিল্লাহ সব সময় উত্তর ভালো পেয়েছিআল্লাহ তায়ালা সব সময় সুসংবাদ ই দিয়েছেন। কোনদিন খারাপ কোন উত্তর পাইনি। কিন্তু ওসিডি আক্রান্ত হওয়ার কারনে মনেশুধু সংশয় কাজ করে। মনটা কেমন অস্তির হয়ে পড়ে। মনে হয় আবারো প্রশ্ন করি। আগেরবার মনে হয় ঠিকমত প্রশ্ন করতেপারিনি বা বুঝিয়ে বলতে পারিনি।মুফতি সাহেব আমার প্রশ্নটা মনে হয় ঠিক মত বুঝতে পারেন নি। আমি মনে হয় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছি। আমি কখনো আমার জানা অবস্থায় মিথ্যার আশ্রয়  নেইনি। যতটুকু আমার দারা সম্ভব প্রশ্ন করা ততটুকু জানানোর চেষ্টা করেছি। সারাটাদিন শুধু মাথায় একই চিন্তা ঘুড়ে। OCD এর জন্য অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি।  এখন আমার করনিয় কি?

প্রশ্ন ৪) কেউ যদি **** সংক্রান্ত মাসলা মাসায়েল জানার জন্য কি প্রশ্ন করবে  সেটা খাতায় লিখে। এবং উত্তর পাওয়ার পর প্রশ্নের ব গুলো আবারো খাতায় লিখে এবং যেগুলোর সমাধান পেয়েছে সেগুলো খাতা থেকে কেটে দেয়। এরুপ করার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা। ( লেখার সময় সেই শব্দটা কিন্তু  কিন্তু পুরোপুরি লিখতো না যেমন **** অথবা তা*** এভাবেলিখতো)। এখানে লিখার একটাই কারন যে , ওয়াসওয়াসার রোগী হওয়ায়  যে যে বিষয়ে সন্দিহান সেটার সমাধান যে হয়েছে এবং উত্তর যে  পেয়েছে  সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লিখা। ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য ছিলো না।

প্রশ্ন ৫) একজন জনপ্রিয় লোক ফেসবুকে একটি কুকুরের পেটে শুয়ে একটি গান বা আবৃত্তি করেন

" কোন নারী আমাকে বুকে ঠাই দিলো নারে ,তাইতো আমি কুত্তার বুকে "

মজার ছলে আমিও এইটা ফেসবুকে শেয়ার করি । এবং মজার ছলে বন্ধু বান্ধব বাসায় ছোট ভাই বোনদের সামনে মজা করে বলতাম। আমার ভিন্ন কোন উদ্দেশ্যে ছিলো না এবং মনে কোন নিয়ত ও থাকতো না ।একথা বলার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা ?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের পরিভাষায় যিহার’বলা হয় নিজের স্ত্রীর কোনো অঙ্গ কে ‘মা’ অথবা ‘স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন কোন মহিলার এমন কোনো অঙ্গ যেটা দেখা হারাম,এমন অঙ্গের সমতুল্য বলে আখ্যায়িত করে  (যেমনঃপৃষ্ঠদেশের সমতুল্যবলে আখ্যায়িত করে) তাহাকে আরবীতে ‘যিহার’ বলা হয়।
এতে তার নিয়ত যাই থাকুক না কেনো,
যিহার হয়ে যাবে।
উদাহরণঃ স্বামী স্ত্রীকে বলবে, তুমি আমার নিকট আমার মায়ের পিঠের সমতুল্য। আমার বোন যেমন আমার জন্য হারাম তুমিও তেমনি আমার জন্য হারাম। তোমার শরীরের এক চতুর্থ অংশ আমার জন্য আমার ধাত্রীমায়ের মত হারাম ইত্যাদি। 

আর যদি স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন মহিলার কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা না করে এই ভাবে বলে যে তুমি আমার তার (মা বা অন্য কেউ) মতো,তাহলে তার নিয়ত দেখতে হবে।
যদি সে  মায়ের মত বলতে মায়ের মত গুণবতী, যত্নশীল বা মায়ের মত ভালবাসে  উদ্দেশ্য নেয়,তাহলে কোনো কিছুই হবেনা।
এক্ষেত্রে যিহার তখনই হবে যখন নিয়ত থাকবে যে মা-বোন যে দিক থেকে হারাম সে দিক থেকে স্ত্রীকে হারাম বানালে।
(নাজমুল ফাতওয়া ৬/৩১৭)
,
আর যিহার করলে কাফফারা আদায় ব্যতীত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে স্পর্শ করা বা তার সঙ্গে একত্রে সংসার করা হারাম।

যিহার করলে কাফ্ফারা আদায় করতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

وَالَّذِيْنَ يُظٰهِرُوْنَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُوْدُوْنَ لِمَا قَالُوْا فَتَحْرِيْرُ رَقَبَةٍ مِّنْ قَبْلِ أَن يَّتَمَاسَّا ذٰلِكُمْ تُوْعَظُوْنَ بِهِ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ"(سورۃ المجادلۃ:۲،۳،۴)

“যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তারা তাদের উক্তি ফিরিয়ে নেয়, তাদের জন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হলো। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছুই করনা কেন,
সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা সবই জানেন। এ ছাড়া যে ব্যক্তি গোলাম অর্থাৎ দাস আজাদ করার ক্ষমতা রাখে না তারজন্য একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটানা ২মাস রোযা রাখতে হবে। আর যে ব্যক্তি এটারও সামর্থ্য রাখে না,
তাহ’লে তাকে ৬০জন মিসকিন অর্থাৎ গরীব মানুষকে খানা খাওয়াতে হবে। এই বিধান এ জন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা ঈমান রাখ।
এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” (আল- মুজাদালাহ,৩-৪)।

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আল্লাহ তায়ালা তাদের যেই সন্তান দান করবেন, তাহা হালাল হবে।
প্রশ্নের বিবরন মতে তাদের যেহেতু যিহারই হয়নি,তাই এখন তাদের করনিয় নেই।

এই সন্দেহের কারনে যে জিহার হয়েছে নাকি হয়নি,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
তাদের এরুপ কথার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আপনি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলবেন,ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।

আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন,আর সাহায্য চাইবেন।

করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 

(০৪)
এরুপ করার কারনে কোন সমস্যা হবেনা 

(০৫)
একথা বলার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...