ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার আলোচনা থেকে যা বুঝলাম যে,এখানে শুধু পাত্রী দেখার বিষয় নয়,বরং প্রথমে আপনি একটি মেয়েকে অর্থাৎ যার সাথে আপনার হারাম সম্পর্ক ছিল,আপনি তাকে শর্তের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে,সে দ্বীনের পথে আসলে,অবশ্যই আপনি তাকে বিয়ে করবেন।সে আপনার শর্তকে মেনে নিয়েছে।সে দ্বীনের পথে চলে এসেছে।এখন উচিৎ আপনার ওয়াদাকে পূর্ণ করা।এবং আপনিও ওয়াদা পূর্ণ করে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন,তাই আপনার কৃত ওয়াদা পূর্ণ হয়ে গেছে।
যদি আপনার নিয়তে থাকে,বা আপনি তাকে বলে থাকেন যে, যেকোনো ভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি তাকে মেয়েকে বিয়ে করবেন,তাহলে আপনার কৃত ওয়াদা এখনও পূর্ণ হয়নি।আপনার জন্য এখনো সেই ওয়াদেকে পূর্ণ করা উচিৎ।
যদি আপনি এমন কোনো ওয়াদা না করে থাকেন,তাহলে আপনি তো বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন,ঐ পাত্রীর পরিবার আপনার প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছিলো,সুতরাং আপনার ওয়াদা পূর্ণ হয়ে গেছে।এখন আপনি যে কোনো পাত্রীকে গ্রহণ করতে পারেন,যেহেতু কারো সাথে এখনও পাক্কা কোনো আলোচনা হয়নি।এবং পাত্রীদ্বয়ও দ্বীনদার।সুতরাং আপনি যেকোনো পাত্রীকে গ্রহণ করে নিতে পারবেন।
কোন পাত্রীকে গ্রহণ করবেন ?
এ সম্পর্কে যদি কোনো সিদ্ধান্তে পৌছতে না পারলে নিম্নোক্ত হাদীসের দিকে তাকাবেন।
যে পাত্রীর কাছে নিম্নোক্ত চারটি গুনের মধ্য থেকে বেশী সংখ্যক গুনাগুন পাবেন,তাকেই বিয়ে করে নিবেন-
যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
18