আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়খ,

১.আমার মায়ের কিছু গচ্ছিত টাকা আছে যা কোনো ব্যবসায় খাটানো সম্ভব হচ্ছেনা,তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে টাকাটা ব্যাংকে রাখতে হবে।সেক্ষেত্রে কোনো ইসলামী ব্যাংকে যদি টাকাটা রাখি তাহলে এফডিআর(ফিক্সড ডিপোজিট রেট) অথবা সেভিংস কোনটা বেশি শরীয়াহ সম্মত হবে??

২.পুর্বে আমার মায়ের এফডিআর থেকে প্রাপ্ত কিছু সুদের টাকা (১০ হাজার) ঘরে রয়ে গেছে।এই টাকাটা কি আমি আমার কোনো গরীব নিকট আত্মীয়কে(ফুফু/খালা/মামা) পারব?আত্মীয়রা এতটাও গরীব নয় যে অনাহারে থাকতে হয় তবে তাদের টানাটানি র সংসার এবং ঋণগ্রস্থ।

৩.সুদের টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া কোনকোন ক্ষেত্রে দান করা যাবে একটু ডিটেইল জানাবেন প্লিজ আমি টাকা গুলো নিয়ে খুব বিপদে আছি বুঝতে পারছিনা কোথায় দান করব।

৪.আত্মীয় স্বজনকে যদি এই টাকাটা দেই তাহলে ত তাদের না জানিয়ে দিতে হবে।না জানিয়ে তাদের সুদের টাকা খাওয়ালে কি আমি গুনাহগার হব??

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
যদি ইসলামী ব্যাংকে যদি টাকাটা রাখেন,সেক্ষেত্রে কারেন্ট একাউন্ট বা মুদারাবা সেভিং একাউন্টে টাকা রাখতে পারেন।
এক্ষেত্রে লভ্যাংশ ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০২)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে,হারাম সম্পদ তাকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করা যাবে। 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই গরীব নিকট আত্মীয় ফুফু/খালা/মামা যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হোন,তারা যদি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হোন,সেক্ষেত্রে তাদেরকে উক্ত সূদের টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করা যাবে।

(০৩)
নিজের বাবা মা দাদা দাদি নানা নানি এভাবে যত উপরের দিকে যাবে ও নিজের সন্তান সন্তানের সন্তান এভাবে যত নিচের দিকে যাবে,তাদেরকে সুদের টাকা দেয়া যাবেনা।
স্বামী স্ত্রী একে অপরকে দিতে পারবেনা।

ইহা ছাড়া যারাই ফকির মিসকিন এর উপরোক্ত সংজ্ঞার আওতায় আসবে,তাদেরকেই সুদের টাকা দান করা যাবে। 

(০৪)
তারা আসলেই উপরোক্ত সংজ্ঞা মতে গরিব হলে আপনি এতে গুনাহগার হবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...