আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ ।

আপনি যেগুলো বলেছিলেন ওভাবে এগোচ্ছি। নতুন কয়েকটি বিষয় ছিল।

- উস্তাদ সহবাসের দোয়া কি যখন মিলনকালে অস্বস্তি বোধ হয় তখন পড়তে হবে? নাকি আগে এবং মিলন কাল সব সময়েই?

- আগের চেয়ে কিছুটা শারীরিকভাবে উন্নতি হয়েছে, কিন্তু আমার স্বামী চান আমাকে কিছু আলাদা শক্তি বৃদ্ধি কারক ওষুধ খাওয়াতে। এগুলো কি বৈধ হবে? না হলে বৈধ ভাবে কি খেজুর খাওয়ার সাথে অন্য কোন বৈধ উপায় আছে?

- বেখেয়ালে স্বামীর অনুমতি না নিয়ে নফল রোজা রাখার পরে উনি খুবই মনক্ষুন্ন হন, এতে কি রোজা বাতিল হয়ে যাবে? উনার কাছে অনুরোধ করার পরে রাজি হলেও দিনের কোন সময়ে এসে রোজা অবস্থায় মিলিত হয়ে পড়েন.. একটু ইফতার পর্যন্ত ধৈর্য ধরার অনুরোধ করলেও বলেন যে আমি পারতেছি না আর, তোমার রোজা আল্লাহ কবুল করে নিবেন।

এভাবে রোজা ভেঙে গেলে কি করতে হবে উস্তাদ, রোজা কি কবুল হবে আমারটা যেমন উনি বললেন??

- রমজানের সময়েও মিলন বাদে অনেক বেশি অন্তরঙ্গ হয়ে পড়েন, উনার আবারো রাগ হবে দেখে কিছু বলি না, এতে কি রোজা হালকা হয়ে যাবে?? আমি তো উনি যাতে খুশি হন সে কারণে এই কাজে অংশ নিচ্ছি...

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
সহবাসের দোয়া মিলনের আগে পড়তে হবে।
মিলনকালে অস্বস্তি বোধ হলেও পড়তে হবে।
তবে এটি আবশ্যক কোনো দোয়া নয়,তাই কোনো সময় না পড়লে গুনাহ হবেনা। 

(০২)
বিজ্ঞ ডাক্তারের মতে এতে আপনার শরীরের ক্ষতি না হলে শক্তি বৃদ্ধি কারক ঔষধ খাওয়া যাবে। 

(০৩)
এভাবে নফল রোযা ভেঙ্গে গেলে সেই রোযা পরবর্তী কোনো দিন পুনরায় আদায় করতে হবে।
ঐ রোযা আদায় হয়নি।

(০৪)
এতে রোযা হালকা হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে বিস্তারিত মাসয়ালা
https://ifatwa.info/27476/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

রোযা অবস্থায় স্বামীর জন্য সহবাস ব্যতীত এবং অন্য যেকোনো ভাবে বীর্যপাত ব্যতীত নিজের স্ত্রীকে উপভোগ করা জায়েয আছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ، وَلَكِنَّهُ كَانَ أَمْلَكَ لِإِرْبِهِ صحيح

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম অবস্থায় (তাকে) চুমু দিতেন এবং একত্রে অবস্থান করতেন। তিনি প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রনে অধিক সক্ষম ছিলেন।
(বুখারী,মুসলিম , আবু দাউদ ২২৮২)

‘উমার (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস। তিনি বলেনঃ আমি একদিন উৎফুল্ল হয়ে সিয়ামরত অবস্থায় আমার স্ত্রীকে চুম্বন দেই, অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলি আমি আজ এক বড় (অপরাধের) কাজ করেছি। সিয়ামরত অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীকে চুম্বন দিয়েছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সিয়ামরত অবস্থায় পানি দ্বারা কুলি করলে কি হত বলে তুমি মনে কর? আমি বললাম এতে কোন ক্ষতি নেই। তিনি বললেন, তা হলে চুম্বনে আর কি (ক্ষতি)? (মুসনাদ আহমাদ ১/২১-২৫)

যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয় তবে তার জন্য তা বৈধ পক্ষান্তরে যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার আশংকা থাকে তবে তার জন্য তা বৈধ নয়। সুফ্ইয়ান সাওরী, ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম আবূ হানীফার মত এটাই। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল-ও এ মত পোষণ করেন।

আরো জানুনঃ 

রোযা অবস্থায় মিলন ব্যাতিত স্বামী স্ত্রী অন্তরঙ্গ হতে পারবে। শর্ত হলো বীর্যপাত না হওয়া,এক্ষেত্রে চুম্বন করলে যদি স্ত্রীর মুখের পানি নিজের গলায় প্রবেশ না করে,তাহলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
চুম্বনের সময় যদি স্ত্রীর মুখের পানি স্বামীর গলার প্রবেশ করে,তাহলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে।
অনুরূপ ভাবে স্বামীর মুখের পানি যদি স্ত্রীর গলায় প্রবেশ করে,তাহলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 141 views
0 votes
1 answer 195 views
0 votes
1 answer 197 views
...