আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) যারা মাজার বিশ্বাসী।পীরের মুরীদ। তাদেরকে ইফতার করালে সওয়াব হবে কি?

২) অনেকে বলে হানাফি মাজহাব মতে ৩-৫ মিনিট দেরি করে ইফতার করা। আর আহলে হাদিসদের মতে ইফতার সাথে সাথে করা। এটা কি সঠিক?

৩) শরবত ও খেজুর খেয়ে ইফতার শেষ করে মাগরিবের সালাত আদায় করা। সালাত শেষ করে এসে অন্যান্য খাবার খাওয়া।এটা কি ইফতারের সুন্নাহ পদ্ধতি? <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_230324_161550_060.sdoc-->

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
না জেনে নিশ্চিত ভাবে যেহেতু তাদের সম্পর্কে কাফের এর ফতোয়া দেয়া যায়না,তাই তাদেরকেও ইফতার করালে ছওয়াব হবে।

(০২)
কুরআনে বলা হয়েছে,

أحل لكم ليلة الصيام الرفث إلى نسائكم هن لباس لكم وأنتم لباس لهن علم الله أنكم كنتم تختانون أنفسكم فتاب عليكم وعفا عنكم فالآن باشروهن وابتغوا ما كتب الله لكم وكلوا واشربوا حتى يتبين لكم الخيط الأبيض من الخيط الأسود من الفجر ثم أتموا الصيام إلى الليل ولا تباشروهن وأنتم عاكفون في المساجد تلك حدود الله فلا تقربوها كذلك يبين الله آياته للناس لعلهم يتقون

অর্থাৎ, রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। [সুরা বাকারা : 187]

এ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত’। সুতরাং রাতের আগমন তথা সূর্যাস্তের মাধ্যমে রোজা পরিপূর্ণ হয়ে যায়।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك، عن أبي حازم، عن سهل بن سعد، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " لا يزال الناس بخير ما عجلوا الفطر ".

অর্থাৎ, সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন যাবৎ ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। (সহীহ বুখারী, হাদিস নং- ১৮৩৩)

এ হাদিসে বলা হয়েছে ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা। অযথা দেরি না করা।

حدثنا أحمد بن يونس، حدثنا أبو بكر، عن سليمان، عن ابن أبي أوفى ـ رضى الله عنه ـ قال كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر، فصام حتى أمسى، قال لرجل " انزل، فاجدح لي ". قال لو انتظرت حتى تمسي. قال " انزل، فاجدح لي، إذا رأيت الليل قد أقبل من ها هنا فقد أفطر الصائم ".

অর্থাৎ, ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত রোযা পালন করেন। এরপর এক ব্যক্তিকে বললেনঃ সওয়ারী হতে নেমে ছাতু গুলিয়ে আন। লোকটি বলল, আপনি যদি (পূর্ণ সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত) অপেক্ষা করতেন। তিনি রাসূল (ﷺ) পুনরায় বললেনঃ নেমে আমার জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। (তারপর রাসূল (ﷺ) বললেনঃ) যখন তুমি এদিক (পূর্বদিক) হতে রাত্রির আগমন দেখতে পাবে তখন রোযাদার ইফতার করবে। [সহীহ বুখারী, হাদিস নং- ১৮৩৪]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হানাফি মাযহাব সহ সমস্ত মাযহাবেই সময় হওয়া মাত্র তথা সূর্যাস্থ হওয়া মাত্র ইফতার করার কথা বলে থাকেন।

তবে আমাদের দেশে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রনীত ক্যালেন্ডারে ২/৩ মিনিট সতর্কতামুলক সময় রেখে তার পর ইফতার করা হয়।
এটি সতর্কতার জন্য করা হয়েছে।
এর দরুন কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এটিই একমাত্র সুন্নাত পদ্ধতি, এর বিপরীতকে সুন্নাহ পদ্ধতি বলা যাবেনা,এটি ঠিক নয়।

তবে এটিও সুন্নাহ পদ্ধতি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
যারা মাজারে গিয়ে সেজদা দেয়। পীরের কাছে সাহায্য চায়।এরা তো মুশরিক।এদেরকে ইফতার করালেও সওয়াব হবে!!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...