আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
১আমি খেয়াল করেছি অনেক সিজদার তাসবীহ তে 'আলা' শব্দে আ কে আঈন হিসেবে পড়ে,অথচ আলিফ এরপর আঈন সাকিন আছে।এতে কি নামাজ নষ্ট হবে? অথবা আঈন সাকিন না পরে হামজা সাকিন পড়ে।

২সিজদাহর একটি দুয়া আল্লাহুম্মাগ ফিরলী যাম্বি কুল্লাহ.... এই দুয়াতে দিক্কাহু ও আও ওয়ালাহু তে এক আলিফ টানলে কি নামাজ নষ্ট হবে

৩অমুস্লিম বিয়ে পড়ালে কি বিয়ে হবে?

৪ একবার আমার কিছু ফ্রেন্ডের সাথে আরেক ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে চাচ্ছি।তখন তাদের মাঝে এক ফ্রেন্ড বলছে না ওর বাসায় যাবনা।আমি বুঝতে পারলাম কিছু একটা ঘটেছে। তাকে পরে আড়ালে নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে সেদিনকার ঘটনার বর্ণনা দেয়। যা যা হয়েছে সেটা আরকি। যে ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে চাচ্ছি সে তাদেরকে বকাঝকা করে এবং গালি দেয়। আমার প্রশ্ন হল ১ম ফ্রেন্ডের এরকম ঘটনা বর্ণনা কি গীবতের মধ্যে পড়বে? সে ব্যক্তি আক্রোশে বা বানায় বানায় কিছু বলেনি।তাকে জিজ্ঞেস করায় ঘটনা বর্ণনা করেছে।এবং অযাচিত ভাবে কাউকে বলেনি।যেহেতু নিজেদের ফ্রেন্ডের বিষয় আমাদেরকে বলেছে।

৫সুরা ফাতিহাতে ওয়া ইয়্যাকানাস্তাঈন শব্দে, অনেক সময় নাস্তাঈন এ তা এর পর আঈন যের য়ী উচ্চারণ না হয়ে মাঝে খুব ছোট করে আলিফ আসে।মানে তা যবর তা হামজার যবর আ এরপর আঈন যের য়ী।আসলে আঈন যের য়ী উচ্চারণ করার সময় হাল্কা ভাবে 'হামজা যবর আ' উচ্চারণ হয়ে যায়। নাস্তাআঈন এবং নাস্তাঈন এর মাঝা মাঝি উচ্চারণ হয়। আঈন যের য়ী এর বদল আয়ী হয়।কারণ ভেতর থেকে যেহেতু আঈন উচ্চারণ হয়। এতে কি নামাজ নষ্ট হবে?

৬, আতর কেনার ক্ষেত্রে কোনো অপচয় নাই জানি,কেউ যদি এমন ভাবে আতর কেনে যেটা তার দরকার নাই, আবার কিনতে গিয়ে কারো হক্ব নষ্ট/ ধার করাও হচ্ছেনা,তবে সেই টাকা দিয়ে সে চাইলে কোনো অভাবীকে হেল্প করতে পারত।বা নিজে কোনো বাড়তি ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারত,অথবা নিজে আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারত,হয়ত ফ্যামিলিকে একবেলা তুলনামূলক ভাল খাবার দিতে পারত,অথবা ছেলেকে একটা এক্সট্রা প্রাইভেট পড়াতে পারত(অর্থাৎ যেগুলা সরাসরি ফরজ কাজের এর মধ্যে পড়েনা ফ্যামিলির প্রতি,তবে করলে উত্তম) বা যাকাত আদায়ের সক্ষম হবার অর্থ যোগাতে পারত বা হজ্বের টাকা।এমন ক্ষেত্রে এসব ব্যতিরেকে আতর কেনা কি অপচয় হবে?

৭ কেউ যদি টিকটিকির প্রতি দয়া দেখিয়ে না মারে,কাউকে মারতে নিষেধ করে তাহলে কি রাসুলের সুন্নাতের উপর খবরদারি করা হবে? এটা কি ইমান ভংগের কারণ নয়?

৮ কুর'আন শ্রবণের সময় মনোযোগ দেয়া ওয়াজিব।কিন্তু যেহেতু আমরা আরবী বুঝিনা,তাই যখন রেস্ট নিই বা ঘুমাতে যাই,কানের মধ্যে হেডফোন গুজে তেলাওয়াত শুনতে শুনতে ঘুমাই বা রেস্ট নিই বা অন্য চিন্তা করি স্বভাবতই তাতে মনোযোগ আসেনা,বা মানসিক ফোকাস আসেনা,যেহেতু ক্লান্ত থাকি।কিন্তু তবু কানে গুজে দিয়ে যেহেতু কানের কাছে আল্লাহর কালাম বাজছে তাই অন্তর পাপ থেকে দূরে দূরে থাকে যদিও মনোযোগ না থাকুক।অযথা ফেসবুক স্ক্রল বা অন্য কাজের চেয়ে এটা ভাল বলে মনে হয়।তাই এভাবে কুর'আন তেলাওয়াতের হেড ফোন কানে গুজে দিয়ে রেস্ট/ঘুম/অন্য চিন্তা করা যাবেকি

৯,আপনাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কলেজ ক্যাম্পাসের কেনা মাটি দিয়ে টবে পেয়াজ লাগানাও যাবে কিনা।আপ্নারা বলেছিলেন তা হারাম হবে।এখন প্রশ্ন হল, যে পেয়াজ জন্মে গেছে অল্রেডি তা কি খাওয়া হালাল হবে? আরেকটি প্রশ্ন,মাটিটি সরাসরি কলেজ থেকে না নিয়ে আরেকজন এনেছে তার থেকে নেয়া। এবং কলেজ ও হোস্টেল অনেক সময় অযাচিত টাকা নেয়,এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে তারা বেশি টাকা নিয়েছে বাধ্য করে।আমি যদি তার বিনিময়ে এই সামান্য মাটি নিই,তাহলেত হারাম হবার কথা না, তাইনা?
by (47 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমার কয়েকটি প্রশ্ন উত্তর দিলে উপকৃত হতাম - 


by
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমার কয়েকটি প্রশ্ন উত্তর দিলে উপকৃত হতাম - 

(1) একদিন আমি বিবির সাথে আলাপ করে বলছিলাম - 
জিপি ফান্ড থেকে টাকা উঠাবো । বিবি আমাকে বলল ঐ টাকা দিয়ে হজ্বে যাব । আমি বিরক্ত হয়ে ধমক দিয়ে  বলি হ (অর্থাৎ আমি ঐ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে ইচ্ছুক, হজ্বে যেতে ইচ্ছুক ছিলাম না।) 
এখন কথার মাঝে মনে হয় বলেছিলাম আমার জন্য হজ্ব ফরজ নয়।  (অনেক দিন আগের কথা ভালো ভাবে  মনে পরছে না )
কিন্তু আমি কখন হজ্বকে অস্বীকার করি না। পরে হজ্বে যেতে ইচ্ছুক। 
এখন আমার ধমক দিয়ে হ বলার এবং আমার জন্য হজ্ব ফরজ নয়। এই কথার দারা কোণ ঈমানে সমস্যা হবে ? 
(2) কোন মানুষ কোন মানুষের কাছে কি বলতে পারবে? - " আমাকে বাঁচাও "  এতে কি ইমানের সমস্যা হবে? 
by (560,700 points)
(০১)
এই কথার দ্বারা কোনো ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(2) বিপদে পড়ে কোন মানুষ কোন মানুষের কাছে  সাহায্যের জন্য " আমাকে বাঁচাও " বলতে পারবে।  এতে ইমানের সমস্যা হবেনা।

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
 বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

বিস্তারিত জানুনঃ  

নিকটতম মাখরাজ বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন ছাড় দিয়েছেন।
উনারা বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে অনেকেই বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো  অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।  

আরো জানুনঃ-  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মূলত হামযা উচ্চারণ করতে গিয়ে অসতর্কতা বশত বা তারাতারি করার দরুন এমনটি হয়।
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত না হওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

(০২)
এতে নামাজ নষ্ট হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে যদি সেই অমুসলিম সাক্ষী না হয়,বরং সেখানে আরো দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ সাক্ষী হিসেবে থাকে,আর বড় ও কণে একে অপরকে ইজাব করে,সেক্ষেত্রে বিবাহ হবে।

তবে এই অমুসলিম যদি সাক্ষী হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে আপনাকে বকাবকির হাত থেকে বাঁচানোর নিয়তে বললে জায়েজ হবে।
গুনাহ হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে নামাজ নষ্ট হবেনা।
তবে সম্পূর্ণ শুদ্ধ ভাবে উচ্চারণের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরন মতে আতর ক্রয় অপচয় হবেনা।

(০৭)
তাহলে কি রাসুলের সুন্নাতের উপর খবরদারি করা হবেনা। এটা ইমান ভংগের কারণ নয়।

(০৮)
এমনটি করা যাবে।
তবে কুরআনের আদবের খেলাফ হয়,এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাই ঘুমে যাওয়ার আগ দিয়ে বা অন্য চিন্তার আগ দিয়ে তিলাওয়াত বন্ধ করে দিবেন।

(০৯)
না বলে নেয়ায় উক্ত পেয়াজকে পূর্ণ হালাল বলা যায়না।

তারা আপনার থেকে অযথা বেশি টাকা নিলেও এভাবে অনুমতি ছাড়া মাটি নেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 204 views
...