১আমি খেয়াল করেছি অনেক সিজদার তাসবীহ তে 'আলা' শব্দে আ কে আঈন হিসেবে পড়ে,অথচ আলিফ এরপর আঈন সাকিন আছে।এতে কি নামাজ নষ্ট হবে? অথবা আঈন সাকিন না পরে হামজা সাকিন পড়ে।
২সিজদাহর একটি দুয়া আল্লাহুম্মাগ ফিরলী যাম্বি কুল্লাহ.... এই দুয়াতে দিক্কাহু ও আও ওয়ালাহু তে এক আলিফ টানলে কি নামাজ নষ্ট হবে
৩অমুস্লিম বিয়ে পড়ালে কি বিয়ে হবে?
৪ একবার আমার কিছু ফ্রেন্ডের সাথে আরেক ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে চাচ্ছি।তখন তাদের মাঝে এক ফ্রেন্ড বলছে না ওর বাসায় যাবনা।আমি বুঝতে পারলাম কিছু একটা ঘটেছে। তাকে পরে আড়ালে নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে সেদিনকার ঘটনার বর্ণনা দেয়। যা যা হয়েছে সেটা আরকি। যে ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে চাচ্ছি সে তাদেরকে বকাঝকা করে এবং গালি দেয়। আমার প্রশ্ন হল ১ম ফ্রেন্ডের এরকম ঘটনা বর্ণনা কি গীবতের মধ্যে পড়বে? সে ব্যক্তি আক্রোশে বা বানায় বানায় কিছু বলেনি।তাকে জিজ্ঞেস করায় ঘটনা বর্ণনা করেছে।এবং অযাচিত ভাবে কাউকে বলেনি।যেহেতু নিজেদের ফ্রেন্ডের বিষয় আমাদেরকে বলেছে।
৫সুরা ফাতিহাতে ওয়া ইয়্যাকানাস্তাঈন শব্দে, অনেক সময় নাস্তাঈন এ তা এর পর আঈন যের য়ী উচ্চারণ না হয়ে মাঝে খুব ছোট করে আলিফ আসে।মানে তা যবর তা হামজার যবর আ এরপর আঈন যের য়ী।আসলে আঈন যের য়ী উচ্চারণ করার সময় হাল্কা ভাবে 'হামজা যবর আ' উচ্চারণ হয়ে যায়। নাস্তাআঈন এবং নাস্তাঈন এর মাঝা মাঝি উচ্চারণ হয়। আঈন যের য়ী এর বদল আয়ী হয়।কারণ ভেতর থেকে যেহেতু আঈন উচ্চারণ হয়। এতে কি নামাজ নষ্ট হবে?
৬, আতর কেনার ক্ষেত্রে কোনো অপচয় নাই জানি,কেউ যদি এমন ভাবে আতর কেনে যেটা তার দরকার নাই, আবার কিনতে গিয়ে কারো হক্ব নষ্ট/ ধার করাও হচ্ছেনা,তবে সেই টাকা দিয়ে সে চাইলে কোনো অভাবীকে হেল্প করতে পারত।বা নিজে কোনো বাড়তি ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারত,অথবা নিজে আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারত,হয়ত ফ্যামিলিকে একবেলা তুলনামূলক ভাল খাবার দিতে পারত,অথবা ছেলেকে একটা এক্সট্রা প্রাইভেট পড়াতে পারত(অর্থাৎ যেগুলা সরাসরি ফরজ কাজের এর মধ্যে পড়েনা ফ্যামিলির প্রতি,তবে করলে উত্তম) বা যাকাত আদায়ের সক্ষম হবার অর্থ যোগাতে পারত বা হজ্বের টাকা।এমন ক্ষেত্রে এসব ব্যতিরেকে আতর কেনা কি অপচয় হবে?
৭ কেউ যদি টিকটিকির প্রতি দয়া দেখিয়ে না মারে,কাউকে মারতে নিষেধ করে তাহলে কি রাসুলের সুন্নাতের উপর খবরদারি করা হবে? এটা কি ইমান ভংগের কারণ নয়?
৮ কুর'আন শ্রবণের সময় মনোযোগ দেয়া ওয়াজিব।কিন্তু যেহেতু আমরা আরবী বুঝিনা,তাই যখন রেস্ট নিই বা ঘুমাতে যাই,কানের মধ্যে হেডফোন গুজে তেলাওয়াত শুনতে শুনতে ঘুমাই বা রেস্ট নিই বা অন্য চিন্তা করি স্বভাবতই তাতে মনোযোগ আসেনা,বা মানসিক ফোকাস আসেনা,যেহেতু ক্লান্ত থাকি।কিন্তু তবু কানে গুজে দিয়ে যেহেতু কানের কাছে আল্লাহর কালাম বাজছে তাই অন্তর পাপ থেকে দূরে দূরে থাকে যদিও মনোযোগ না থাকুক।অযথা ফেসবুক স্ক্রল বা অন্য কাজের চেয়ে এটা ভাল বলে মনে হয়।তাই এভাবে কুর'আন তেলাওয়াতের হেড ফোন কানে গুজে দিয়ে রেস্ট/ঘুম/অন্য চিন্তা করা যাবেকি
৯,আপনাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কলেজ ক্যাম্পাসের কেনা মাটি দিয়ে টবে পেয়াজ লাগানাও যাবে কিনা।আপ্নারা বলেছিলেন তা হারাম হবে।এখন প্রশ্ন হল, যে পেয়াজ জন্মে গেছে অল্রেডি তা কি খাওয়া হালাল হবে? আরেকটি প্রশ্ন,মাটিটি সরাসরি কলেজ থেকে না নিয়ে আরেকজন এনেছে তার থেকে নেয়া। এবং কলেজ ও হোস্টেল অনেক সময় অযাচিত টাকা নেয়,এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে তারা বেশি টাকা নিয়েছে বাধ্য করে।আমি যদি তার বিনিময়ে এই সামান্য মাটি নিই,তাহলেত হারাম হবার কথা না, তাইনা?