আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

১.রোজা অবস্থায় অবস্থায় পায়খানা করার সময় পায়খানার রাস্তায় পানি ঢুকেছে কিনা কিভাবে বুঝব?

২.নামাজ বা রোযা অবস্থায় ভুল করে মুখে কোন পোকামাকড় বা ধোলাবালি ঢুকে গেলে নামাজ কি ভেঙ্গে যাবে?

৩.খাবার সময় মোবাইল চালানো স্বাস্বের জন্য ক্ষতিকর,আর ক্ষতিকর বিষয় যেহেতু হারাম তাই খাবার সময় মোবাইল চালানো হারাম হবে?(উত্তর শুধু হ্যা বা না দিলে ভালো হয়)

৪.জামাতের নামাজে কেউ যদি ভুল করে ইমামের আগে রুকুতে,সিজদায় যেতে নেয় বা সিজদা থেকে উঠতে শুরু করে কিন্তু সম্পূর্ণ রুকু-সিজদায় যাওয়া বা রুকু সিজদাহ হতে উঠার আগেই সে তার ভুল বুঝতে পেরে আগের অবস্থানে ফিরে যায় তাহলেও কি তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে?

৫.যদি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকে তাহলে যেসব মানুষ দ্বীন মেনে চলে না তবে মুসলিম তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে?

৬.নামাজে কোন আয়াত,দোয়া বা তাসবিহ ভুল না হলেও শুধু সন্দেহের কারণে পুনরাবৃত্তি করতে পারব?

৭.কোন কাজ বা বস্তু কুরআন ও সুন্নাহয় সরাসরি নিষিদ্ধ বলা হয় নাই কিন্তু কুরআন ও সুন্নাহর মূলনীতি আলোকে এটি নিষিদ্ধ (সিনেমা দেখা,এটি কুরআন ও সুন্নাহয় সরাসরি নিষিদ্ধ নয় বরং কুরআন ও সুন্নাহর মূলনীতি আলোকে নিষিদ্ধ)।সে হিসেবে এটাকে আমরা হারাম বলব নাকি শুধু নাজায়েজ বলব?


জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ভিতরে সাধারণত পানি যায় না, আপনি যদি ওয়াসওয়াসার রোগী হন, তাহলে আপনার জন্য বিধান হল, কখনোই আপনার রোযা নষ্ট হবে না।হ্যা, পানি ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করে ধীরেসুস্থে পানি ব্যবহার করাই শ্রেয়।

(২)
নামাজ বা রোযা অবস্থায় ভুল করে মুখে কোন পোকামাকড় বা ধোলাবালি ঢুকে গেলে নামাজ বা রোযা ফাসিদ হবে না।

(৩)
খাবার সময় মোবাইল চালানো স্বাস্বের জন্য ক্ষতিকর,তবে এটাকে হারাম বলা যাবে না। কেননা এক্ষেত্রে ক্ষতিকরের দলীল প্রমাণ সেই স্থরের নেই যা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত করা যাবে।

(৪)
না, নামায ভঙ্গ হবে না।

(৫)
যদি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকে তাহলে যেসব মানুষ দ্বীন মেনে চলে না তবে মুসলিম তাদের সাথে বন্ধুত্ব করার রুখসত থাকলেও না করাই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।

(৬)
নামাজে কোন আয়াত,দোয়া বা তাসবিহ ভুল না হলেও শুধু সন্দেহের কারণে পুনরাবৃত্তি করার কোনো সুযোগ নাই।

(৭)
হারাম এবং নাজায়েয একই। খাদ্য বা পানীয়র সাথে হারাম শব্দ স্থাপন করা হয়, তাছাড়া অন্যান্য বিষয়ের সাথে নাজায়েয শব্দকে স্থাপন করা হয়ে থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...