আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in ওয়াসওয়াসা by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আমার তালাক ও ঈমান নিয়ে খুবই ভয়াবহ আকারের ওয়াসওয়াসা বা মানসিক রোগ আছে। তালাক হয়ে গেল বা ঈমান চলে গেল এমন সন্দেহ মনে একটার পর একটা আসতে থাকে।

(১) গতকাল রাতে মনে হচ্ছিল যে, এখন যদি আমি ব্রাশ করি তাহলে আমার ওয়াইফ তালাক। এমন কথা মনে আসাতে আমি আর ব্রাশ করতে পারলাম না। মেয়েকে বললাম যে, হাতি বাড়ি চলে গেছে। কথাটি বলার সময় আমি আমার ওয়াইফ এর দিকে তাকালাম। তখন মনে হচ্ছিল আমি যেন আমার ওয়াইফ রাগ করে তার বাবার বাসায় চলে গেছে তাই বলছি। স্বাভাবিক কোন কথার ভিতরে আমি যদি আমার ওয়াইফকে বলি যে, এই কাজটি করার দরকার নেই, তাহলে মনে হয় আমি যেন আমার ওয়াইফকে আমার দরকার নেই বললাম। আজ দুপুরে এক ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় আমার ওয়াইফ ও আমার সাথে ঘটে যাওয়া আগের কোন এক খারাপ ঘটনা মনে আসছিল, এবং মনের ভিতর তালাক দিলাম কথা আসছিল, এবং মনে হচ্ছিল আমি যেন উচ্চারন করে ফেললাম। এমন ভাবে প্রায় সময়ই আমি তালাক শব্দ উচ্চারন না করলেও মনে হয় আমি উচ্চারন করলাম মনে হয়। তালাক কথাটি আমার মনে প্রায় সবসময়ই চলতে থাকে। অফিস থেকে বাসায় ঢোকার সময় মনে হয় আমি তালাক শব্দ উচ্চারন করে ফেলবো। আবার আমার ওয়াইফ কোন সময় ফোন করলে আমার ফোন দেখে সর্বপ্রথম আমার তালাক শব্দ মনে আসে। এসব কারনে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ??

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন, কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...