আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

যাকাত প্রসঙ্গঃ যাকাতটা কিভাবে আদায় করবো! যে টাকাটা আমার কাছে যাকাত দেওয়ার ৪-৫দিন আগে এসেছে। সে টাকার উপর যাকাত দিতে পারবো কি?? কি করে হিসাব রাখবো যে নির্দিষ্ট কোনো টাকা এক বছর আমার কাছে আছে? আমি তো টাকা সঞ্চয় করি না। টাকা সঞ্চয় না করলে কি, যত টাকাই আমার হাতে থাকুক সে টাকার উপর যাকাত দিতে পারবো না?

পকেট কোরআন সম্পর্কেঃ লাইব্রেরিতে এখন পকেট কোরআন পাওয়া যায়। তো আমিও একটা পকেট কোরআন কিনতে চাই। যাতে সামনের রমাদানে কাজের ফাকে পড়তে পারি। এই নিয়ে কিছু প্রশ্ন আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেগুলো হলো--

  • এই কোরআন পকেটে থাকলে লজ্জাস্থানের কাছাকাছি থাকবে, এতে কি গোনাহ হবে? অবশ্য সেটা কভার দ্বারা আবৃত থাকবে।
  • যেহেতু কাজের ফাকে এটা পড়বো তাই কাজ আসলে তা বন্ধ করে কাজ করতে হবে। এভাবে কাজের ফাকে কোরআন পড়া এবং কাজ আসলে বন্ধ করতে থাকলে কি কোরআনকে অপমান করা হবে?
  • এই কোরআন নিয়ে বাথরুমে যাওয়া যাবে?
  • এটি হাতে অথবা পকেটে থাকাবস্থায় অযু ছুটে গেলে গোনাহ হবে??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যাকাতের নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক আপনি যেদিন হবেন,ঠিক তার এক বছর হলে সেদিনও আপনার কাছে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে।
এক্ষেত্রে বছর পূর্ণ হওয়ার দিন যতটাকা আপনার কাছে থাকবে,তার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিতে হবে।

যদি যেমন ধরুন এই বছর রমজানের এক তারীখে আপনি ৭৩৫০০ টাকার মালিক হলেন,(এটি মূলত বর্তমান বাজার অনুপাতে নিম্নমানের সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপার সমমূল্য।) 

তাহলে পরবর্তী বছরের এক তারিখে দেখতে হবে যে আপনার কাছে কত টাকা আছে?
যদি সেদিন আপনার কাছে ৭৩৫০০ বা তার বেশি থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর যাকাত ফরজ হবে। এক্ষেত্রে  যতটাকা আপনার কাছে থাকবে,তার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিতে হবে।

আর যদি পরবর্তী বছর রমজানের এক তারিখে আপনার কাছে  ৭৩৫০০ টাকা না থাকে,বরং তাত কম থাকে,সেক্ষেত্রে সেই বছর আপনার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।

(০২)
কুরআনের অসম্মানী হয়,এমন কোনো কাজ করা যাবেনা।
সেটি আদবের খেলাফ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।

(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻨﻬﻰ ﺃﻥ ﻳﺴﺎﻓﺮ ﺑﺎﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺽ ﺍﻟﻌﺪﻭ؛ ﻣﺨﺎﻓﺔ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻟﻪ ﺍﻟﻌﺪﻭ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন।যাতেকরে শত্রুরা কুরআনকে নিয়ে গিয়ে কোনোপ্রকার অসম্মান না করতে পারে।(মুয়াত্তা মালিক-৫/২,মুসনাদু আহমাদ-২/৬,৬৩, সুনানু নাসাঈ-৮৫,সুনানু ইবনি মা'জা-২৮৮০)

পকেটে কুরআন রাখা আদবের খেলাফ, বিধায় এভাবে কুরআন পকেটে রাখা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি বুকের উপরে পকেট থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপররে রাখা যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

ক,
এই কুরআন পকেটে থাকলে লজ্জাস্থানের কাছাকাছি থাকবে, এতে গুনাহ হবে।

খ,
এভাবে কাজের ফাকে কুরআন পড়া এবং কাজ আসলে বন্ধ করতে থাকলে কুরআনকে অপমান করা হবেনা।

গ,
এই কোরআন নিয়ে বাথরুমে যাওয়া যাবেনা। স্পষ্ট নাজায়েজ।

ঘ,
হাতে থাকা অবস্থায় অযু ছুটে গেলে সেক্ষেত্রে গুনাহ হবে।
তবে সেই সময়ে কুরআন কভার দ্বারা আবৃত অবস্থায়  পকেটে থাকলে অযু না থাকার গুনাহটি হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...