আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (68 points)
edited by

১. কেও যদি বলে " সে তার বউকে বলতে পারবে তোমাকে তালা★ দিলাম, এতে তার হৃদয় কাপবে না" এতে কি তার বউ এর উপর তালা* পতিত হবে?

২.কেও যদি বলে """ *এমন কাজ সে করেছে এই বিষয়ে সে এতোটা কনফিডেন্ট যে বলতে পারবে এই কাজ না করে থাকলে তার বউ তালা** """

এতে কি তার বিবাহে সমস্যা হবে?( এখানে উভয় ক্ষেত্রে তারা বলেছে যে বলতে পারবে, বলে সেই কথাটা বলেছে। সরাররি বলে দেয় নি যে না করলে....)

৩. এই ধরনের কথা মনে মনে বললে কি কোনো সমস্যা হবে? কেও মনে মনে বলেছে কিন্তু উচ্চারণ করছে এরুপ মনে পরছে না তবে কি সমস্যা হবে? 

৪. এরুপ কথা বলার পর কাজটা আদৌ করেছিলো কি না পরিষ্কার তার মনে না থাকলে সে কি করবে?তা কি কোনো এফেক্ট ফেলবে? 

৫.https://ifatwa.info/71255/   একটি কমেন্ট করেছিলাম যদি দেখতেন...

৬. কেও যদি কোনো এক মুরতাদের কথা বকার ধরন পছন্দ হওয়ার দরুন তার ভঙ্গিতে কথা বলে মাঝেমধ্যে এতে কি তার কুফর হবে?

৭. অনেক হিন্দু পন্ডিত, বা তাদের আরাধ্য মূর্তির অনুকরন করে কেও যদি এমনিতে বসে, এতে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৮. কারো যদি ইসলামি ভিডিও দেখলেই মাথায় বিভিন্ন ওসওয়াসা আসে এবং কুফরীর সন্দেহ হয়, তাই সে পাশাপাশি একটি ওয়াজ ও একটি খারাপ ভিডিও আসার পরে সে যদি ভাবে "ওয়াজ না দেখে ওই খারাপ ভিডিও টা দেখাই ভালো" এতে কি তার কুফর হবে?

৯. সুরেশ্বরের পীরের এখানে অনেক কুফরী শিরকি কাজ হয় এটা জানা ছিলো। আজকে এদের সম্পর্কে একটা ভিডিও সামনে আসার পরে সে মনে মনে বলে যে "ধরে নিলাম এদের আকিদা ভালো,কিন্তু তাও এদের সুরত দেখেই মনে হচ্ছে এরা হক হতে পারে না"।  কিন্তু পরে তার মনে হয়েছে এদের আকিদা তো ভালো না এটা সে জানতো, কিন্তু এই মনে মনে বলার সময় মনে ছিলো না।  বল্ড করা লিখাটি ভাবার জন্য কি তার ইমানে সমস্যা হবে? যেহেতু সে মনে মনে বলেছে " ধরে নিলাম তাদের আাকিদা ভালো"

১০. ছাত্রাবাসে হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষ থাকে। রমজান উপলক্ষে ছাত্রাবাসের সকল মুসলিম ছাত্রদের হলরুমে মিটিং এর জন্য ডাকা হয়েছে, উক্ত মিটিং এ যদি আমি ভাইরাস জনিত অসুস্থতার কারণে যেতে চাচ্ছি না, যাতে আমার ধারা ভাইরাস না ছড়ায়। এর ফলে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?

১১. "সংক্রামক রোগ আছে" এমন কথা বললে কেও কি ইমানহারা হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
(০১)
এতে তার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা। 

(০২)
এতে তার বিবাহে সমস্যা হবেনা।
কোনো তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
সে এটি নিয়ে ভাববেইনা।

এটি কোনো ইফেক্ট ফেলবেনা।
তাই অহেতুক চিন্তার কোনো কারন নেই।

(০৫)
জী,উক্ত কমেন্টের জবাব দেয়া হয়েছে। 

(০৬)
এতে তার কুফর হবেনা।

(০৭)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৮)
এতে কুফর হবেনা।

(০৯)
বল্ড করা লেখাটি ভাবার জন্য তার ঈমানে সমস্যা হবেনা 

(১০)
"সব কিছুর ক্ষমতা এক আল্লাহর"
এই বিশ্বাস রেখে আপনি যদি রাসুলের এ সংক্রান্ত হাদীস মানার স্বার্থে সেই মিটিং এ না যান,সেক্ষেত্রে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(১১)
 "সংক্রামক রোগ আছে,তবে তাহা আল্লাহর নির্দেশেই সংক্রমিত হয়" 

এভাবে বলা যাবে। এভাবে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে বলা যাবে।

নতুবা আকীদা বিশুদ্ধ না রেখে বললে শিরক হওয়ার শংকা রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...