আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by
মুফতি সাহেব দয়া করে সংক্ষেপে যদি জানিয়ে দিতেন উপকার হতো। বেয়াদবি মাফ করবেন...

১. আমাকে এক হিন্দু বন্ধু বললো তর জন্য বাড়ি থেকে হাস নিয়ে আসবো, তখন আমার মনে হলো, সে কেটে আনলে তো বলি দিয়ে নিয়ে আসবে(কিন্তু সে কিভাবে আনবে আদৌ জীবিত না কেটে আনবে),  তাই তাকে না করি, তখন সে বলে দেখি ভালো হাস পাই নি,ভালো পাইলে আনিলাইমুনে। তখন না পেরে তাকে বলি, " দেখিছ চেষ্টা কইরা"।  এতে কি তার বলির প্রতি সমর্থন দেওয়া বুঝায়?  এতে কি ইমানে সমস্যা হবে?

২. "আল্লাহ আমাদের অধিক সন্তান নিতে উতসাহ দেন" এভাবে কি বলা যায়?এভাবে কেও বললে সমস্যা হবে না তো?(আমরা নবী(সাঃ) এর হাদীস পাই উতসাহ দেওয়া সংক্রান্ত)
৩. কেও যদি নিজেকে কোনো বিধর্মীর নামে পরিচয় দেয় মজা করে বা এমনিই কোনো দরকারে। যে, সে মেসি,  বা সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,  সে অমুক দাস।৷ এতে কি কুফর হবে??

৪. কেও যদি মনে মনে বলে ফেলে যে এই কাজ করলে তার বউ তালা*।  তবে কি তালা* হয়ে যাবে? না কি উচ্চারণ না করলে কোনো ভাবেই তালা* হয় না?( কেনায়া,বায়েনা, শর্তযুক্ত)

৫. কোনো বক্তা মানুষকে উদ্দেশ্য করে যদি বলে, " আমরা তো আজকাল নামাজকে কিছুই মনে করি না, বলি নামাজ এ আর এমন কি,মিস হইলে যাক "
এতে কি উনার গুনাহ হবে? না কি বক্তব্য দেওয়ার সময় সাধারণ মানুষের মতকে নিজের বলে বলা যায়,(যা আদতে নিজে বিশ্বাস করি না) যেমন আমরা তো মনে করি.....

৬. "দোয়া করতে আর ভালো লাগে না " বললে কি কুফর হবে?

৭. স্ত্রী স্বামী আলাদা থাকে, স্বামী আর্থিক সমস্যার কারণে কাছে নিতে পারছে না। তাই স্ত্রী যদি বলে, এই বছর ই শেষ, আমার আর অপেক্ষা করা সম্ভব না,পরে আর বিয়া ওইতো না আমার" এইসব বললে কি বিবাহে সমস্যা হবে? বা এই বছরেও কোনো কিছু না করতে পারলে বিবাহে সমস্যা হবে?

৮. স্ত্রী যদি স্বামীকে একটি ভিডিও দেয় যাতে লেখা " বই তালাকের সময়ের স্বামী স্ত্রীর করুণ দৃশ্য" এই ভিডিও দিয়ে বলে দেখো ই ছেলে কিভাবে কান্না করে।

এই ক্যাপশনের ভিডিও দেওয়ায় কোনো সমস্যা হবে?

৯. আমার এক বন্ধুর মামাতো ভাই এর বিয়ে তাই সে আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, তারপর বলি তোমরাই তো দাওয়াতি, তার পর বললো, তার মা বলেছেন তার বন্ধু দের দাওয়াত দিতে কারণ, বিয়ের খাওয়ার খরচ দুই পক্ষ ৫০-৫০ দিবেন আর এইদিকে বরের দাওয়াতি কম। তাই সে আমাকে আর আমার দুই বন্ধুকে নিয়ে যেতে বলেছে বিয়েতে। এই বিয়েতে যাওয়া কি বৈধ হবে?

১০. বউকে মজা করে বা সিরিয়াসলিই অন্য মানুষের কাছে বন্ধু বলে পরিচয় করালে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এতে তার বলির প্রতি সমর্থন দেওয়া বুঝায়না।
এতে ইমানে সমস্যা হবেনা।

(০২)
এভাবে কেউ বললে সমস্যা হবে না।

(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ যদি ইচ্ছাপূর্বক ভাবে কোনো বিধর্মীর এমন নামে পরিচয় দেয়, যাহা বিধর্মীদের সাথেই নির্দিষ্ট।
তাহলে তাহা ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
তবে নিজেকে অমুসলিম প্রকাশ করার যেহেতু উদ্দেশ্য নেয়নি,তাই সে কাফের হবেনা।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিলে
সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।
তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।

فتاوی عالمگیریہ:
"مسلم قال: أنا ملحد يكفر، ولو قال: ما علمت أنه كفر لا يعذر بهذا."
(کتاب السیر ،باب احکام المرتدین،ج:2،ص:279،ط:رشیدیہ)
সারমর্মঃ-
কোনো মুসলিম বলেছে যে আমি মুরতাদ, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে যদি সে বলে যে আমি তো জানিনা যে এটি কুফর,তাহলে সেই ওযর গ্রহণযোগ্য হবেনা।

(০৪)
এতে কোনো তালাক হবেনা।

উচ্চারণ না করলে কোনো ভাবেই তালাক হয় না।
(উচ্চারণ না করলে কেনায়া,বায়েনা, শর্তযুক্ত কোনো তালাকই হয়না।)

(০৫)
এতে তার গুনাহ হবেনা।

(০৬)
এতে কুফরি হবেনা।

(০৭)
এইসব বললে বিবাহে সমস্যা হবেনা।
বা এই বছরেও কোনো কিছু না করতে পারলে বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
এই ক্যাপশনের ভিডিও দেওয়ায় তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৯)
এই বিয়েতে যাওয়া বৈধ হবে।

(১০)
এতে বিবাহে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...