আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
মহান আল্লাহ্ হযরত জিবরীল আলাইহিসসালাম এর মাধ্যমে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর  বিবাহ দেবার জন্য নবীজির সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে পয়গাম পাঠিয়েছিলেন।
তারপর আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞেস করেছিলেন এ ব্যাপারে তার অনুমতি আছে কি না..
এটা কি সহীহ্?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

এই বিষয় নিয়ে তাহকিক করার পর কিছু কিতাবে এমন কথা পাওয়া গিয়েছে,তবে কোনো হাদীসের কিতাবে এহেন ঘটনা পাওয়া যায়নি।
তাই এই ঘটনা বলা থেক বিরত থাকা উচিত। 
,
কিছু কিতাবে যাহা পেয়েছি,তাহা নিম্নরুপঃ 
قال النبی (ص): لولا علی لم یکن لفاطمہ کفو،
রাসুল সাঃ বলেছেন যদি আলী না থাকতো,তাহলে ফাতেমার জন্য কোনো কুফু মিলবেনা।
,
قال رسول اللہ (ص): ھبط علیّ جبرئیل فقال: یا محمد! ان اللہ یقول: لو لم اخلق علیا لما کان لفاطمہ ابنتک کفو علی وجہ الارض آدم فمن دونہ۔
সারমর্মঃ আল্লাহ বলেন হে মুহাম্মদ, যদি আমি আলীকে সৃষ্টি না করতাম,তাহলে তোমার মেয়ে ফাতেমার কোনো কুফু পাওয়া যেতোনা,,,। 

রাসুল সাঃ বলেন, " আল্লাহর ফেরেশতা আমার নিকট এসে বলল: আল্লাহ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, তিনি আপনার কন্যা হযরত ফাতেমা রাঃ  কে আসমানে আলী ইব্নে আবু তালিবের সাথে বিবাহ দিয়েছেন। সুতরাং, আপনিও তাকে জমিনে (পৃথিবীতে) আলীর সাথে বিবাহ  দিন ।”
যখন আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আঃ) হযরত ফাতেমা এর কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তখন লজ্জায় তাঁর চেহারা মোবারক গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছিল। রাসূল (সাঃ) এরূপ অবস্থা দেখে মুচকি হেসে বলেন, " আমার নিকট কি কাজে এসেছ ? ” কিন্তু আলী (আঃ) রাসূল (সাঃ)-এর ফজিলতপূর্ণ গাম্ভীর্যের  কারণে নিজের আকাংখা ব্যক্ত করতে পারলেন না বরং নীরব থাকলেন। 

রাসূল (সাঃ) যেহেতু আলী (আঃ)-এর অন্তরের ইচ্ছা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন, সেহেতু বলেন, " ফাতেমার প্রস্তাব নিয়ে এসেছ।”  আলী (আঃ) বলেন ঃ " জী , এ উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছি।”
রাসূল (সাঃ) বলেন, " হে আলী! তোমার পূর্বেও অনেকে ফাতেমার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। কিন্তু যখনই আমি তাদের প্রস্তাব ফাতেমার রাঃ এর কাছে উপস্থাপন করেছি , সে না-সূচক জবাব দিয়েছে। এখন তোমার বিষয়টিও তাঁর কাছে তুলে ধরব।” এটা সত্য যে এ বিবাহটি হচ্ছে একটি আসমানী বিষয় এবং তা সম্পন্ন অবশ্যম্ভবী। কিন্তু বিশেষতঃ হযরত ফাতেমা  রাঃ এর অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণভাবে সহধর্মী নির্বাচনে নারীদের মতামতের গুরুত্ব প্রমাণের জন্য রাসূল (সাঃ) হযরত ফাতেমা রাঃ এর সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকে কোন পদক্ষেপ নেননি। যখন রাসূল (সাঃ) আমিরূল মুমিনীন আলী রাঃ -এর ফজিলত নিজ কন্যার নিকট বর্ণনা করে বলেন, " আমি চাই তোমাকে আল্লাহ সর্বোত্তম সৃষ্টির সাথে বিবাহ দিতে। এ সম্পর্কে তোমার মতামত কি ? ”  হযরত ফাতেমা রাঃ অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে মাথা নত করেন এবং নীরব থাকেন তখন রাসূল (সাঃ) মাথা তুললেন এবং প্রসিদ্ধ ব্যাক্যটি যা বিবাহ সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু ব্যাক্তিদের নিকট অত্যন্ত সুপরিচিত তা উল্লেখ করেন, "
اللہ اکبر، سکوتھا اقرارھا "
 আল্লাহু আকবার! তার (ফাতেমার) নীরবতা হচ্ছে সম্মতির প্রমাণ।” অতঃপর রাসূল (সাঃ) তাদের উভয়ের বিবাহের আকদ্ পাঠ করেন।
রাসুল সাঃ বলেন যে    
بارک لک فی ابنۃ رسول اللہ یا علی نعمت الزوجۃ فاطمہ
সারমর্মঃ হে আলী,অনেক ভালো উত্তম স্ত্রী হলো ফাতেমা,আল্লাহর রাসুলের মেয়ের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করুন। 
بحار الانوار ج 43، ص 145، 59
(বিহারুর আনওয়ার ৪৩/১৪৫)
,
★বিঃদ্রঃ হাদীসের কোনো কিতাবে এই ঘটনা পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...