আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর ,

মোবাইলে আমি একটা  নিজের সম্পর্কে কুইজ খেলছিলাম ।
সেখানে লেখা ছিল আমি কি খায় , কি করি, উদহারন হিসাবে বলছি,

১. আপনি কি খেতে ভালো বসেন?

* রসমালাই * দই * মিষ্টি
২. আপনি কোথায় যেতে ভালোবাসেন ?

*মালদ্বীপ * দীঘা * থাইল্যান্ড

ইত্যাদি এই রকম প্রশ্ন আসছিল , তারপর হটাৎ করে একটা প্রশ্ন আসলো

আমি কি ধরনের দাড়ি পছন্দ করি?

* বড়ো দাড়ি  * ছোটো দাড়ি * মাঝারি দাড়ি।

এই প্রশ্নের উত্তরে আমি লিখে ছিলাম ছোটো দাড়ি।
হুজুর আমর  যে রকম দাড়ি সেই রকম বলেছিলাম। আমর বেশি দাড়ি নেই,, ,  অনেনক চেষ্টা করে তেল লাগিয়ে কিছু টা হয়েছে। তাই বলে আমি বড়ো দাড়ি পছন্দ করিনা তা না হুজুর।
প্রশ্নের পরিপেক্ষিতে জবাব দিয়েছি মাত্র। দাড়ি আমার খুব পছন্দের জিনিস।
আল্লাহ কসম আমার দাড়ি খুব ভালো লাগে ছোটো, বড়ো,  সমস্ত দাড়ি ভালো লাগে।
হুজুর আমি এখানে কোনো দাড়ি কে অসম্মান করিনি। আর আমি এটা করতে ও পারিনা । হুজুর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত রুগী তাই আমার এমন মনে হয়েছে দিয়ে প্রশ্ন করছি।

আল্লাহ কসম বিশ্বাস করুন আমি কোনো দাড়ি কে অসম্মান করিনি । আমার ছোট দাড়ি সেই উদ্দেশ্যে বলেছি।  আল্লাহ কসম আমি দাড়ি পছন্দ করি।  আমি অসম্মান করিনি ।
হুজুর এক্ষেত্রে কি আমার ঈমান চলে যাবে??

২. হুজুর  আমি আমার স্ত্রী কে সহবাসের জন্য বলছিলাম সে রাজি হচ্ছিল না । কিন্তু আমার লিঙ্গ খাড়া হয়ে গিয়েছিল , আমি লিঙ্গ তে হাত দিয়ে বলছিলাম চলো না শেক্স করি। সে বললো না। দিয়ে মনে মনে আমার ভাবনা চলে আসলো  ইসলাম ধর্মে নিয়ম আছে স্বামী ছাড়া তারা ৩-৪ মাস থাকতে পারে । আমার স্ত্রী ও পারবে। দিয়ে আবার মনে হলো আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা র কথা সেই সময় এর কথা , যখন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা রা কি ভাবে দিন কাটাতো স্বামী সহবাস ছাড়া এইসব না চাইতেই ভাবনা চলে এসেছিল তখন আমার লিঙ্গে হাত ছিল । কিন্তু আমি হস্তমৈথুন করিনি। শুধু মাত্র হাত ছিল। আমার জান ভয় এ শুকিয়ে যাচ্ছে হুজুর। এমনি ভাবনা চলে এসেছিল হুজুর আল্লাহ কসম আমার নিয়ত খারাপ ছিল না।

দিয়ে আমার ভয় হয়ে যায় , এমন কথা মনে হচ্ছে আবার লিঙ্গে হাত ও ছিল তাহলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে গেলো।
সঙ্গে সঙ্গে ভয় পেয়ে স্ত্রী কে সব বলি,  আমার মনের মধ্যে এমন হচ্ছে ? আমার কি ঈমান চলে যাবে ?
হুজুর আল্লাহ কসম আমি কখনো কোনো খারাপ ভাবিনি ইচ্ছাকৃত । মনে মনে এমন ভাবনা চলে এসেছিল।

আর স্ত্রীকে ভয় পেয়ে সমস্ত আমার ঘটনা বলেছি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে । সেই ভয় এ আমি আর সেক্স করিনি।

হুজুর আমার ঈমান ঠিক আছে তো??

৩. আর্তুগ্রুল গাজী সিরিজের অর্তুগ্রুল গাজীর স্ত্রী হালিমা সুলতান  ছিল । হালিমা সুলতান এর অভিনয় একজন মেয়ে করে। মাঝে মাঝে ওই মেয়ে কে নিয়ে খারাপ ভাবনা আসতো ।

এবং বাস্তবে যে হালিমা সুলতান ছিল তাকে নিও খারাপ চিন্তা আসতো , লিঙ্গ খাড়া হতো । কিন্তু মনে পড়ছে না কখনো বীর্য বের করেছি কিনা।
হুজুর জানতাম না যে তারা তহ ইসলাম এর জন্য জিহাদ করেছিলো তাদের কে নিয়ে খারাপ চিন্তা ভাবনা করলে ঈমান চলে যেতে পারে । আল্লাহ কসম আমি জানতাম না।
হুজুর আমার খুব ভয় হচ্ছে মনে হচ্ছে হয়ত বীর্য বেরও করেছি । হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি আমি নাজেনে না বুঝে এমন ভুল হয়েছে।
আল্লাহ কসম হুজুর আমি না জেনে না বুঝে ভুল করেছি আমার ঈমান চলে যাবে না তো??

আমি বুঝতে পারিনি হুজুর ওই সিরিজ দেখতাম আর কল্পনাতে বাস্তব হালিমা সুলতানের কথা মনে হয়ে যেত।
হুজুর ভুল হয়েছে আস্তাগফিরুল্লাহ । জীবনে আর কখনো এই রকম করিনি ৪ মাস কি ৬ মাস আগে হয়েছিল।

আল্লাহ কসম আমি যদি জানতাম এই গুলো ঈমানের জন্য এত ক্ষতিকর আমি কখনই করতাম না ।

হুজুর না। জেনে শুনে ভুল হয়েছে আল্লাহ তঃ মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ। হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে??

৪. হুজুর মাঝে মধ্যে নবী(সা:) এর শরীরের  বিভিন্ন অঙ্গ (লিঙ্গও) নিয়ে ও ভাবনা চলে আসে আস্তাগিরুল্লাহ । হুজর আমি সঙ্গে সঙ্গে তৌবা করি। তার পর  নবী সা: এর সহবাস নিয়ে মাথায় চিন্তা চলে আসে সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ি।

হুজুর আমি কোনো খারাপ কথা বলিনি আর ভাবনা আসলে মনের মধ্যে চুপ করে জাই। হটাৎ হটাৎ  মনে হচ্ছে শয়তানের এমন ওয়াসওয়াসা র কারণে কি ঈমান চলে যাবে??

হুজুর আমি আমার প্রিয় নবী সাঃ এর প্রতি এই সব ভাবতে না চাইলো মাঝে মাঝেই হয়ে যাই। আস্তাফিরুল্লাহ ।
হুজুর যখনই এমন ভাবনা হয় তখনই আমি চুপ করে থাকি ।
হুজুর খুব ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে । আমি ইচ্ছা কৃত এইরকম ভাবনা করিনি আবার ওয়াসওয়াসা তে  হয়ে জাই কিন্তু মুখে উচ্চরণ করিনা। বা কোনো কাজ ও করি না।

হুজুর আমার দ্বীনের নবী সাঃ। আমার জীবন এর চেয়ে হাজার গুণ ভালোবাসি।
হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে ?? হুজুর আমি মুখে উচ্চরণ করিনা । শুধুমাত্র মনে মনে হয়। আল্লাহ কসম আমি চেষ্টা করবো আর কোনো ভাবে শয়তানকে পাত্তা না দেওয়া।

হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে??

৫. মিজানুর রহমান আজাহারির একটা বক্তব্য শুনছিলাম
https://fb.watch/jjHilfr3mA/  এইটা তার লিংক।

বক্তব্য শুনে আমি আরো খুশি হয়ে গিয়েছিলাম যে, মিজানুর রহমান আযহারী যখন বলে আমরা কোরআনের সঙ্গে থাকব ,  ঠিক কিনা বলেন। আমি খুশি হয়ে আনন্দিত হয়ে মুখে একটু আলতো  হাসি নিয়ে বললাম ঠিক। হুজুর আমার এই হাসি টা কোনো ঠাট্টা বা মজা বা তামাশা করার জন্য না বক্তব্য শুনে আমি খুব খুশি হয়ে গিয়েছিলাম । সেই থেকে আমার মনে একটা আনন্দ চলে এসেছিল তাই আমি একটু আলতো হাসি মুখে ঠিক বলেছিলাম। এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে ??? আমি ভালোবাসি আমার আল কোরআন কে। আল্লাহ কসম আমি আলতো হাসি মুখে সমর্থন করেছি যে কোরআনের সঙ্গে থাকব ।

হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে??

৬.আসসালমুআলাইকুম হুজুর । আমি খুব হতাশা গ্রস্ত ।
আজ থেকে ৩-৪ দিন আগে আমি শিরক সম্পর্কে মোটা মুটি জানি। কিছু মাস আগে আমি একবার বলেছিলাম ইয়া আলী মাদাদ। তখন জানতামই না যে এই কথা তে শিরক হয়ে যাবে কিন্তু মনে মনে সন্দেহ হতো আর কথা টা আমি এই ভেবে বলিনি যে আল্লাহর সাতে শরিক হয়ে যাবে এমন নিয়ত ছিল না আমার আল্লাহ কসম। এটা নিয়ে সন্দেহ ছিল কিন্তু বাস্তব টা সম্পূর্ণ জানতাম না কিন্তু সন্দেহ ছিল। আসল কথা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। । লোকের মুখে শুনে আসা তহ সেই ভেবে বলে ফেলেছি। । হয়ত আমি জানতাম কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম। হুজুর মনে ছিল না ভুলে গিয়েেছিম শিরিক পড়তে গিয়ে জানলাম আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চাওয়া শিরক। হুজুর আমি না জেনে শুনে না বুঝে কেউ কেউ বলতো ইয়া আলী যখন কোনো ভারী কাজ করতো তখন ইয়া আলী বলতো।  সেই রকম ভাবেই
হটাৎ করে আমি আজ ভারী ইট এর বস্তা তুলতে গিয়ে বলে ফেলি ইয়া আলী। আর সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো আমার এটা বলা ঠিক হলো না আমি ভুলে গিয়েছিলাম না হলে কখনো বলতাম না । হুজুর আমি সত্যি ভুলে গিয়েছিলাম । কিন্তু হুজুর ইয়া আলী এই কথা টা আমি নরমালি বলেছি । আবার শক্তি হবে এমন ভাবনা ও ছিল । আস্তাগিরুল্লাহ।
হুজুর আমার দুই ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে আল্লাহ কসম আমি ভুলে গিয়েছিলাম এবং এর জন্য আমি আল্লাহর কাছে বিশেষ ভাবে অনুতপ্ত। আমার ভয় হচ্ছে আমি কিয়ামতের দিন কিভাবে আল্লাহ কে মুখ দেখাবো।
হুজুর আমি তৌবা করছি । আমার দ্বারা  মনে না থাকার কারণে শেষে আলী বলি আসলে ভুলেই গিয়েছিলাম । সঠিক ভাবে মাথায় ধুকেছিলোনা যে এইরকম করলে শিরক । হয়ে যায়। আমি ভুলে গিয়েছিলাম হুজুর আমার মনে ছিল না এমন বললে শিরক হবে ।
হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি আমার যদি মনে থাকতো তাহলে আমি কখনোই আলী রা: এর নাম নিতাম না ।
সত্যিই হুজুর জীবনে ২ বার নাম নিয়েছি কিন্তু মনে ছিল না । আমি খুব অনুতপ্ত । আমার মনে ছিল না ভুলে গিয়ে আমার এমন কাজ হয়েছে । আল্লাহ কসম জীবনে আর এমন ভুল হবে না আমি কথা দিচ্ছি আল্লাহ কে।
হুজুর আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমার মাথায় ছিলনা ,
ব্রেন কাজ করেনি ।
৬.১. হুজুর আমি তহ ভুলে গিয়েছিলাম ভুলে গিয়ে এমন হয়ে গিয়েছে আল্লাহ গো তুমি আমার ঈমান বহাল রেখো । আমি জানার পর ভুলে গিয়েছিলাম , ভুল বশত হয়েছে । হুজুর আল্লাহ কসম আমার ভুল বসত হয়েছে।
আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন?? আমার ঈমান বহাল থাকবে??

৬.২. , আমি তওবা করে নিয়েছি, হুজুর ,  । হুজুর আমি নতুন বিয়ে করেছি । আমার বিবাহ কি ভেঙে যাবে??

হুজুর আল্লাহ কসম আমি মন থেকে আল্লাহ র সাতে কাও কে শরিক করিনি। যা হয়েছে ভুল করে হয়েছে।

আমি শেষ হয়ে যাবো হুজুর । আমার তো ভুলে যাওয়ার কারণে এমন হয়েছে হুজুর। আল্লাহ কসম আমার মনে ছিলনা। আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আমি আল্লাহ কে কথা দিচ্ছি জীবনে আর এই রকম হবে না ।
ভুলে  যাওয়ার কারণে কেউ শিরক করে ফেললে মহান আল্লাহ তাআলা তহ মাফ করে দেবেন।আল্লাহ তঃ পরম দয়ালু।
আল্লাহ কসম আল্লাহ কসম আল্লাহ কসম আমার মনে ছিল না আমি ভুলে গিয়েছিলাম।, আমার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আছে ।আমি এই বিষয় এ সেই ভাবে জ্ঞাত ছিলাম না । হুজুরে খুবই খুবই ভয় হচ্ছে ।
**হুজুর না বুঝে ভুলে গিয়ে এই ভুল হয়েছে আমি ক্ষমা পার্থী। হুজুর আমার কি ঈমান চলে যাবে??

 আমার কি বিবাহ ভেঙে যাবে?

৬.৩  আখন যদি নতুন করে  কালেমা সাহাদাত পড়ি তাহলে কি আগের সমস্ত আমল বাতিল হয়ে যাবে ? বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাবে??

শেষ হয়ে যাচ্চি হুজুর। বিশ্বাস করেন আমার ভুল বশত হয়েছে এ আমি ভুলে গিয়েছিলাম । আমার মনে ছিলনা। আমি মন থেকে আল্লাহ কে ই মানি আমি ভুল করে মনে না থাকার কারণে বলে ফেলেছি। আস্তাগফিরুল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (559,380 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(১-২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  ঈমান চলে যাবেনা।

এখানে দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা করা হয়নি।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান ঠিক আছে। 

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
তবে আপনাকে তওবা করতে হবে।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।

(০৫)
এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।

(০৬)

৬.১ 
ভূল বশত হওয়ায় আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
কেননা "জাহালত" শরীয়তে ওযর হিসেবে বিবেচিত। 

তবে আপনি খালেস দিলে তওবা করে নিবেন।

৬.২
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বিবাহ ভেঙ্গে যাবেনা।

৬.৩
এখন যদি নতুন করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়েন, তাহলে আগের আমলই বাতিল হয়ে যাবেনা। বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাবেনা।

বিস্তারিত জানুন


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
৬. নম্বর প্রশ্ন এডিট করেছি ।  দয়া করে  উত্তর দিবেন। Plz plz plz plz plz plz প্লিজ প্লিজ প্লিজ 
বাধিত থাকব । উত্তর দিবেন প্লিজ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...