আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in সাওম (Fasting) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, শায়েখ।
১. আমার স্ত্রী ও শাশুরীর অসুস্থতা জনিত কোনো সমস্যার জন্য আমি কি তাদের পক্ষ হতে তাদের রোজা রাখতে পারবো? এতে কি তাদের রোজা আদায় হয়ে যাবে কী নাকি যার যার রোজা তাকেই রাখতে হবে?

২. যদি জায়েজ হয়, তবে রোজাদারকে খাবারের জন্য ব্যাবস্থা বা সমপরিমান অর্থ দেয়া যাবে কিনা?
ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে নুজাইম রাহ এপিট-ওপিট আলোচনা করে আরও বলেনঃ-
(ﻭﺃﻣﺎ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ : } ﻻ ﻳﺼﻮﻡ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ، ﻭﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ { ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻬﺪﺓ ﻻ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻓﺈﻥ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺃﻭ ﺻﻠﻰ ﺃﻭ ﺗﺼﺪﻕ ﻭﺟﻌﻞ ﺛﻮﺍﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕ ﻭﺍﻷﺣﻴﺎﺀ ﺟﺎﺯ ﻭﻳﺼﻞ ﺛﻮﺍﺑﻬﺎ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﻭﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺠﻌﻮﻝ ﻟﻪ ﻣﻴﺘﺎ ﺃﻭ ﺣﻴﺎ-
নবীজী সাঃ এর ঐ হাদীস "কেউ কারো পক্ষ্য থেকে নামায/রোজা আদায় করতে পারবে না"এর অর্থ হচ্ছে কেউ কারো পক্ষ্য থেকে তার উপর আরোপিত ফরয/ওয়াজিব হুকুম- আহকাম আদায় করতে পারবে। বরং নিজ ফরয/ওয়াজিব নিজেই আদায় করতে হবে। অন্যর ফরয/ওয়াজিব আদায় করে তাকে দায় মুক্ত করানো যাবে না। তবে নফল ইবাদতের সওয়াব জীবিত/মৃত যে কাউকে দেয়া জায়েয আছে।এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে উক্ত সওয়াব প্রেরণকৃত ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌছে।(বাদায়ে সানায়ে)নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছতে জীবিত/মৃতর কোন পার্থক্য নেই। (বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩।)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3565

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ وَأَن تَصُومُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ -
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। (সূরা বাকারা-৮৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14461

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
শাশুরীর অসুস্থতা জনিত কোনো কারণে বউ মা রোযা রাখতে পারবে না। বরং শাশুড়ি অসুস্থ থাকলে, রোযা রাখতে অক্ষম হলে, উনার পক্ষ্য থেকে ফিদয়া আদায় করা যাবে।

(২)
ফিদয়া গরীব মিসকিনদের দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
0 votes
1 answer 304 views
...