আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,518 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
ওযু ছাড়া কুরআন ধরে পড়া যাবে কি?  (যে কুরআন এ উচ্চারণ ও অনুবাদ আছে)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। যা সর্বোচ্চ পবিত্র ও মর্যাদাসম্পন্ন। তাই এ পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে কোরআন স্পর্শ করার জন্য ও তা পাঠ করার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে  
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ  لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেন, রাসূল ﷺ  আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।

 (মুয়াত্তা মালিক ৬৮০, কানযুল উম্মাল ২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার ২০৯, আল মুজামুল কাবীর ১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর ১১৬২, সুনানে দারেমী ২২৬৬)

عن عبد الله بن عمر أن رسول الله ﷺ قال:لا يمس القرآن إلا طاهر
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। (মাযমাউজ যাওয়ায়েদ ৫১২)

বিনা ওযুতে কোরআন পড়া যায় ; তবে কোরআন স্পর্শ করা যায় না। হাদিস শরিফে এসেছে, আলী রাযি. বলেন,
كان رسول الله ﷺ يقضي حاجته, ثم يخرج فيقرأ القرآن ويأكل معنا اللحم, ولا يحجبه ” وربما قال لا يحجزه ” من القرآن شيء ليس الجنابة
রাসুলুল্লাহ ﷺ পায়খানা হতে বের হয়ে কোরআন পড়তেন এবং আমাদের সাথে গোশত খেতেন। গোসল ফরয হওয়া ছাড়া কোরআন হতে তাঁকে কোন কিছু বাধা দিতে পারত না। (মুসনাদে আহমাদ ৬৪০)

সুতরাং বোঝা গেল, যে মুসলমান কোরআন স্পর্শ করতে ও তা পাঠ করতে ইচ্ছুক- তাকে অবশ্যই দৈহিকভাবে পবিত্র হতে হবে। অন্যথায় তাকে গুনাহগার হতে হবে।

★শরীয়তের বিধান হলো যদি কোনো কিতাবে কুরআনে কারীমের সাথে অন্য লিখা সংযোজিত থাকে,এবং অন্যান্য লিখার তুলনায় কুরআন বেশী থাকে,তাহলে সে কিতাবকে স্পর্শকে করা যাবে না।

তবে যদি কুরআনের তুলনায় অন্য লিখা বেশী থাকে,চায় সেটা তাফসীর হোক বা অন্য কিছু,তখন উক্ত কিতাবকে বিনা অজুতে যদিও স্পর্শ জায়েয,তবে স্পর্শ না করাই উত্তম।এবং এমতাবস্থায় ঐ কিতাবের যে সকল স্থানে কুরআনের আয়াত অঙ্কিত রয়েছে,সরাসরি ঐ স্থানে বিনা অজুতে স্পর্শ করা কিন্তু জায়েয হবে না।
অর্থাৎ সম্পূর্ণ কিতাবকে স্পর্শ করা জায়েয হলেও সরাসরি কুরআনের আয়াতের উপর হাত রাখা যাবে না।

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  উক্ত কুরআন  (যেই কুরআনে এ উচ্চারণ সহ অনুবাদ আছে)
এখানে যদি অন্যান্য লিখার তুলনায় কুরআন বেশী থাকে,তাহলে অযু ছাড়া স্পর্শ করা জায়েজ নেই। 
,
আর যদি অন্যান্য লিখাই বেশি থাকে,তাহলে অযু ছাড়া স্পর্শ জায়েজ হলেও  এমতাবস্থায় ঐ কুরআনের  যে সকল স্থানে কুরআনের আয়াত অঙ্কিত রয়েছে,সরাসরি ঐ স্থানে বিনা অজুতে স্পর্শ করা কিন্তু জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,712 views
...