আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমার বান্ধবীর স্বামী আর্মি অফিসার।  উনি বিয়ের আগে ২০০৮ সালে  সরকার থেকে চাকরির সুবাদে অল্প মূল্যে সরকার থেকে জমি বরাদ্দ  পান। কিন্তু তা ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছিল।  উনার কাছে তখন অত টাকা ছিলনা,  তাই তিনি উনার বাবা বলেছিলেন,  উনি ওই জায়গা নিবেন না। তখন উনার বাবা তা ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়ে নেন। উনাদের মধ্যে আর কোনো কথা হয়নি। কিন্তু জায়গা আর্মি অফিসারের নামেই ছিল এবং থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী  ওই জায়গা আর্মি অফিসারের নামেই রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। নাম চেঞ্জ করা যায়না।। পরে উনি বিয়ে করেন এবং   ১ছেলে  আর ১ মেয়ে হয়।  বাচ্চাদের ভবিষ্যত চিন্তা করে তিনি তার বাবার কাছ থেকে জায়গা ফেরত চান এবং টাকা ফেরত দিতে চান। কিন্তু উনার বাবা বলেন, উনি  উনার( বাবার) ছেলে মেয়েদের মাঝে ব্ন্টনের চিন্তা করেছেন। ছেলে যদি এখন বর্তমান  জমির দর ৩০ লক্ষ  দিয়ে ফেরত দিয়ে তা বাবার কাছ থেকে নিয়ে নেন আর বাবা যদি অখুশি থাকে তাহলে কি জায়েজ হবে?

উল্লেখ ্য, তিনি উনার বাবাকে ২০০৮ সালে বলেছিলেন  উনি দাবি ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু এখন  আবদার করে কি চাইলে সমস্যা হবে?

** আর্মির  নিয়ম অনুযায়ী জায়গা অফিসারের অবর্তমানে তা তার সন্তানরাই ওয়ারিশ হবে।  ভাইবোনরদের নাম ঢুকানো যাবেনা।

*** রুলস অনুযায়ী  উনি সরকার থেকে একট জায়গাই কিনতে পারবেন। আর তাতে উনার বাবা ইনভেস্ট করেছেন। তাই চাইলেও আরেকটা কিনতে পারবেন না।

জাজাকুমুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার বান্ধবীর স্বামী সরকার থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে অল্প মূল্যে সরকার থেকে জমি বরাদ্দ পান। 
যাহা ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে নিতে হতো,যেটি তার কাছে না থাকায় তিনি সেটি নিতে চাননা।

কিন্তু ১৫ লক্ষ দিয়ে সেই জমি আপনার বান্ধবীর স্বামীর বাবা নিজ মালিকানায় নিয়ে নেন।
কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ঐ জায়গা আর্মি অফিসারের নামেই রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। নাম চেঞ্জ করা যায়না।

তার মানে রেজিষ্ট্রেশন আপনার বান্ধবীর স্বামীর নামে হলেও মূল মালিকানা তার বাবার ছিলো।

এখন তিনি যদি বর্তমান জমির দর ৩০ লক্ষ দিয়ে সেই জায়গা তার মালিকানায় নিতে চান,সেক্ষেত্রে তার বাবার জন্য এতে রাজী হওয়াই উচিত।
কেননা এটি আপনার বান্ধবীর স্বামী সরকার থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে অল্প মূল্যে সরকার থেকে জমি বরাদ্দ পেয়েছিলেন।

নিজ থেকে এতো অল্প মূল্যে কোনোভাবেই আপনার বান্ধবীর স্বামীর বাবা সেই জমি নিতে পারতোনা।

তাই তার বাবার ছেলের এমন অনুরোধে অখুশি হওয়া উচিত নয়।
এটিই মানবতার চাহিদা।

তদুপরি তার বাবা যদি দিতে না চান,তাহলে জোর করে নেয়া জায়েজ হবেনা।

★২০০৮ সালে দাবী ছেড়ে দেয়ার পর এখন বর্তমান সেই জমির দর অনুযায়ী আবদার করাতে সমস্যা নেই।
তবে বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...