আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

১) সালামের উত্তরে অনেকে যে ... বারাকাতুহু এর পর ' ওয়া মাগফিরাতু ওয়া জান্নাতু...' বলে এটাকি নবীজি সা. শিখিয়েছেন?

২) এক বড় ভাই আলিয়া লাইনে পড়া লেখা এখনও সেই লাইনে পড়ছে + একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতেও পড়ছে। আল্লাহ তাকে সুন্দর কুরআন তিলাওয়াতের তাওফিকও দিয়েছেন। সে আগে পাঞ্জাবী পায়জামা পরত ইদানিং শার্ট জিন্স ইত্যাদি পরা শুরু করেছে, ভার্সিটিতেও মেয়েদের সাথে কথা বলে + ঘোরাফেরাও করে,  এখন আবার প্রেমও করে,ঘন্টার পর ঘন্টা মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলে। ( সে জানেনা যে আমি এসব জানি)। সে আবার বলে এটা আমার ভার্সিটি জীবনের শেষ বছর তাই এবার সব করব।
এসব কারণে আমার কোন কারণে মসজিদে জামাআত মিস হয়ে গেলে আগে যেমন মেসে তার সাথে জামাআতে নামাজ পড়তাম এখন ইচ্ছা করেই পরিনা।যাতে সে একসাথে জামাআতে পড়ার কথা না বলতে পারে সেজন্য আগেই একাকি নামাজ শুরু করে দেই বা দেরি করে পরে পড়ি(কারণ সে জানে আমি সবসময় মসজিদেই নামাজ পড়ি, না বললে ভেবে নেয় যে নামাজ পড়ে এসেছি)। জিনাকারীকে ইমাম মনতে মনে চায়না যদিও ফাসিকের ইমামতিতে নামাজ হয় বলেই জানি।
আমার এই কাজ কি ঠিক হচ্ছে (জামাআতে নেকি না নেয়া)?

৩) আমি যদি কোন এক ওয়াক্ত (সম্পূর্ণ) পস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে পরের ওয়াক্তে মাজুর হই তাহলে কি পরের ওয়াক্তের জন্য নতুন ওজু করা লাগবে?
আর এই মাজুরী অবস্থায় ইমামতি করা বিধান কি?

৪) আমি আগে জানতাম নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য কেরাত সর্বনিম্ন ৩ আয়াত পরিমান শুদ্ধ হলেই হয়ে যাবে কিন্তু  iom এ পড়া একজন বলল না একটু ভুল হলেই সেটা মানুষের কথার মত হয়ে যাবে তাই নামাজ ভেঙে যাবে।

৫) ওজু করার সময় কোন অঙ্গ সম্পূর্ণ ধোয়া হয়নি এমতাবস্থায় কোন কারণে দেরি হওয়ার সেই অঙ্গের পানি শুকিয়ে গেল কি সেই অঙ্গ সম্পূর্ণ ধৌত করা বাধ্যতামুলক নাকি তখন যেটুকু ধোয়া বাকি ছিল ততটুকু ধুলেই হবে।


৬) উচ্চস্বরে পাশে কেও কুরআন তিলাওয়াত করলে তা যারা শুনবে তাদের জন্য কি অন্য কাজ করা নিষেধ? আর কুরআন মনুযোগ দিয়ে চুপ করে শুনতে হবে তখন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
وعنِ عمرَان بن حُصَيْن أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَرَدَّ عَلَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «عشر» . ثمَّ جَاءَ لآخر فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ فَرَدَّ عَلَيْهِ فَقَالَ: «ثَلَاثُونَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
৪৬৪৪-[১৭] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে বলল : ’’আসসালা-মু ’আলায়কুম’’। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ লোকটির জন্য দশ নেকি লেখা হলো। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে বলল : ’’আসসালা-মু ’আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ’’। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের জবাব দিলেন। লোকটি বসল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ লোকটির জন্য বিশ নেকি লেখা হলো। অতঃপর আরো এক ব্যক্তি এসে বলল : ’’আসসালা-মু ’আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহ’’। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন। লোকটি বসার পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ লোকটির জন্য ত্রিশ নেকি লেখা হলো। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)(মিশকাত-৪৬৪৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সালামের উত্তরে বারাকাতুহু এর পর ' ওয়া মাগফিরাতুহু পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبًا
আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।

(২)
কবিরা গোনাহে লিপ্ত রয়েছে, এমন ব্যক্তির পিছনে নামায না পড়াই শ্রেয়। হ্যা, কবিরা গোনাহে লিপ্ত হওয়ার পর তাওবাহ করে নিলে, হেদায়তের রাস্তায় চলে আসলে, সেই ব্যক্তির পিছনে নামায পড়তে কোনো বিধিনিষেধ নাই।

(৩)
পরের ওয়াক্তে অজু করবেন।মা'জুরের কারণে আপনি ইমামতিতে যাবেন না।

(৪)
জ্বী, অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ। তা তিন আয়াতের মধ্যে হোক বা বাহিরে।

(৫)
যেটুকু ধৌত করা বাকী ছিলো, সেটুকু ধৌত করে নিলেই হবে।

(৬)
অন্যসব কাজ পরিত্যাগ করে কুরআন তিলাওয়াত শুনতে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2265


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 161 views
...