ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে ভালোভাবে দেখে যাতায়াত করা যাবে।
তবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে নজর দেয়া যাবেনা।
অনিচ্ছায় নজর পড়ে গেলে সাথে সাথে নজর ফিরিয়ে নিতে হবে।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
আলী রা.-কে নবীজী বলেছেন,
يَا عَلِيُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ، فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ.
হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭
(০২)
এমন চিন্তা মাথায় আসা মাত্র সেই চিন্তা সে ত্যাগ করে,তাহলে গুনাহ হবেনা।
(০৩)
মনে মনে গালি দেয়া,অশ্লীল শব্দ বা
অশ্লীল চিন্হ কল্পনা করলে গুনাহ হবে।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
কোনো নারীর জন্য তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেনা।
ছেলেদের জন্য এভাবে অন্য ছাত্রের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে।
(০৫)
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
(০৬)
তিনি কুরআন এর ব্যখ্যা গ্রন্থ,রাসুলুল্লাহ সাঃ ও সাহাবাদের জীবনি পড়তে পারেন।
মাসয়ালা সম্পর্কে জানতে আহকামে জিন্দেগী পড়তে পারেন।