আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
১.লাইনে কুফরী আছে  এমন কবিতা বা গান বুঝার পরেও তা যদি শুনে সে কি কাফের হয়ে যাবে?

২. একজন বক্তা বক্তব্য দিচ্ছিলেন কে আগে/বড় নবী(সা:) না কি কোরআন, আলোচনার এই বিষয়বস্তু দেখে কেও যদি বলে এইসব২ আজাইরা/ফালতু আলোচনার দরকার আছে কোনো? (এই তথ্য আমলে কাজে লগবে না এই ভেবে) এতে কি কুফর হবে?

৩. কেও যদি বিশ্বাস করে যে কবর জিয়ারত ঘর থেকেই করা যায়, এতে কি কুফর হবে?

৪. রমজান মাসে হোটেল বন্ধ রাখার আন্দোলন এর প্রেক্ষিতে কেও যদি বলে এটার কি প্রয়োজন অনেক হিন্দু তখন খাইতে চাইতে পারে, তাদের কি জবাব দিবে... অর্থাত হিন্দুদের খাওয়ার কথা বিবেচনা করে কেও যদি রমজানে দিনের বেলা হোটেল খোলা রাখার মত সমর্থন করে এতে কি তার কুফর হবে?

৫. কেও যদি বলে "লম্বা দাড়ি আমার অপছন্দ/পছন্দ না, অল্প দাড়িতে স্মার্ট দেখায়" বা " টুপি পরলে সুন্দর দেখায় না" বা  "  টুপি পরা পছন্দ না" এই কথা গুলো দ্বারা কি ইমান চলে যেতে পারে?

৬.বয়ানে শুনা গেলো এক বক্তা বলছেন, "কোরআানে আছে তোমরা নিজে নিজেরে হত্যা করো না, হায়াত থাকতে হায়াত শেষ করো না" এভাবে হায়াত থাকতে হায়াত শেষ করোনা এরুপ কথা কি কোরআনে আছে?

৭. এটা শুনার পর কেও যদি ভাবে" কোরআনে এটা কিরকম কথা বলা, হায়াত শেষ বিধায় ইতো সে মারা গেলো, হায়াত থাকল তো মরতো না"। কিন্তু পরে কোরআনে আছে বুঝে এরকমএর কোনো ব্যাখা থাকবে বিবেচনা করলো। কিন্তু পরে কোরআনে আত্মহত্যা সম্পর্কে এরুপ বর্ননায় কেনো আয়াত পেলো না।
সর্বোপরি তাই এইসব ভাবনায় ইমানে সমস্যা হবে?

৮.কারো যদি কাদিয়ানী সম্পর্কিত পোস্ট বা ভিডিও দেখা কালিন চিন্তায় চলে আসে এরা মনে হয় কাফের না, মুসলিম পরে পরেই আবার ভাবে নাহ না এটা তো সম্ভব ন এটা কি মনে করছি এরা তো কাফের ই, পরে এই ভাবনার জন্য তার ইমানি হালত নিয়ে চিন্তা শুরু হলো। এতে সে কি কাফের হবে?

৯. এক কাদিয়ানী বক্তা বলছিলেন যে," দাড়ির কোনো মাপ নাই, দাড়ি রাখলেই হক আদায় হয়,ছোট হলেও সমস্যা না"  এই বক্তব্য শুনে কেও যদি ভাবে যে ওই বক্তার কথা সঠিক, এতে কি কাদিয়ানীর এই বক্তব্য সঠিক বলায় তার ইমান চলে যাবে?

১০.  " স্রষ্টা তোমাকে বানাতে গিয়ে সৌন্দর্যের সিন্ধুক খালি করে ফেলেছেন" এরুপ কথা কি কুফরী?এটা কেও বললে কি কাফের হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,

শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরো জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে তওবা আবশ্যক। 

(০২)
এতে কুফর হবেনা।

(০৩)
এতে কুফর হবেনা।

(০৪)
হিন্দুদের খাওয়ার কথা বিবেচনা করে কেউ যদি রমজানে দিনের বেলা হোটেল খোলা রাখার মত সমর্থন করে, এতে তার কুফর হবেনা।

(০৫)
কেউ যদি দাড়িকে নিয়ে ঠাট্রা করে, বিরুপ মন্তব্য করে, দাড়িকে ঘৃণা করে মৌখিক ভাবে স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা।

(০৬)
"হায়াত থাকতে হায়াত শেষ করোনা" হুবহু এরুপ কথা  কুরআনে নেই।

(০৭)
এইসব ভাবনায় ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৯)
কাদিয়ানীর এই বক্তব্য সঠিক বলায় তার ইমান চলে যাবেনা।

(১০)
এরুপ কথা কুফরী নক্য। কেউ এমবটি বললে কাফের হবেনা।
তবে মহান আল্লাহর শানে এহেন বাক্য ব্যবহার করা কোনো ভাবেই উচিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...