আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
284 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

উর্দূ রোমান্টিক শায়েরিগুলা আমার বেশ ভালো লাগে। সেগুলা চর্চা করার বিধান কি? যদি হারাম হয়, তবে যদি আমি এই নিয়তে ওগুলা চর্চা করি যে, বিয়ের পর আহলিয়া কে শুনাবো - তবেও হারাম হবে? আর যদি হালাল হয় তবে ওগুলা ফেসবুকে দেওয়ার বিধান কি? এখানে তো অনেকেই দেখবে। সবাই হালাল-হারাম মেনে চলে না।

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/9106/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করেছি যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত,

عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، قَالَ: مَرَّ عُمَرُ فِي المَسْجِدِ وَحَسَّانُ يُنْشِدُ فَقَالَ: كُنْتُ أُنْشِدُ فِيهِ، وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ، ثُمَّ التَفَتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ، أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَجِبْ عَنِّي، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ القُدُسِ؟» قَالَ: نَعَمْ

তিনি বলেন, একদা ‘উমার (রাঃ) মসজিদে নববীতে আগমন করেন, তখন হাস্সান ইবনু সাবিত (রাঃ) কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। তখন তিনি বললেন, এখানে আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তির উপস্থিতিতেও আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম। অতঃপর তিনি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি; আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘তুমি আমার পক্ষ হতে জবাব দাও। হে আল্লাহ! আপনি তাকে রুহুল কুদুস [জিব্রাঈল (আঃ)] দ্বারা সাহায্য করুন।’’ তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ।(সহীহ বোখারী-৩২১২, সহীহ মুসলিম-২৪৮৫,আবু-দাউদ-৫০১৩)

যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ সাহাবায়ে কেরামদের ক্ষিদামন্দা দেখলেন,এবং ক্লান্তিকে অনুভব করলেন,তখন তিনি নিম্নোক্ত শে'র আবৃত্তি করলেন,

" اللهم لا عيش إلا عيش الآخرة * فاغفر للأنصار والمهاجرة "

অর্থ-হে ল্লাহ! আখেরাতের জীবন ব্যতীত অন্য সকল জীবন তুচ্ছ। সুতরাং আনসার এবং মুহাজিরদের তুমি ক্ষমা করে দাও।

সাহাবায়ে কেরাম জবাবে বললেন,

نحن الذين بايعوا محمدا  *  على الجهاد ما بقينا أبدا

আমরা তারাই, যারা মুহাম্মদ সাঃ এর হাতে আমৃত্যু জীহাদের জন্য বায়আত গ্রহণে করেছি।

(সহীহ বোখারী-৩/১০৪৩)

 

সুতরাং নাশিদ গাওয়া,শোনা জায়েজ। তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। মূলনীতি গুলো বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/6384/?show=6384#q6384

শরীয়তের বিধান হলো মিউজিক,বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার  হারাম। মিউজিক কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে হোক বা মুখের মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমে হোক সর্বাবস্থায়ই হারাম।মিউজিক সম্ভলিত নাশিদ,শের ,শায়েরী ,গজল,সবকিছুই হারাম বলে প্রমাণিত হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে উক্ত উর্দূ শের/শায়েরী চর্চা করা জায়েয আছে। এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে তা অন্যের সাথে শেয়ার করাও জায়েয আছে। তবে সাথে সাথে তাদেরকে উক্ত শর্তগুলো জানিয়ে দিতে হবে।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...