ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে,
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ " . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ " .
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, (গীবাত হলো) তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে বাস্তবিকই থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে প্রকৃতই থেকে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। (সহীহ মুসলিম-৬৩৫৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যদি দেখা যায় যে, কেউ তার দায়িত্বকে সঠিক ভাবে পালন করতেছে না এবং সে তার দায়িত্বে অনিয়ম করছে, তাহলে তার এই অনিয়ম বা দায়িত্ব অবহেলা সম্পর্কে অন্যদের সাথে আলোচনা করা যাবে না।বরং শুধুমাত্র তার উর্ধতন কর্মকর্তা বা এমন কাউকে বলা যাবে, যিনি ঐ ব্যক্তির অনিয়মকে দূর করতে পারবেন।
(২)
৩)
যদি কোন শিক্ষক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে থাকেন,তাহলে তখনও অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা যাবে না বা শিক্ষকের সমালোচনা করা যাবে না।হ্যা, প্রেন্সিপাল বা অধ্যক্ষর কাছে বললে সেটা গীবত হবে না।
(৪)
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সমাজকে ক্ষতি থেকে বাচাতে, অপর ভাইকে ক্ষতি থেকে বাচাতে ক্ষতিকারকের ভুলত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
"ডাক্তার রোগীর ভুল চিকিৎসা করেছে বা কোন এক কোম্পানি মানুষের টাকা মেরে দিয়েছে বা কোন এক শিক্ষার্থী অন্য সকলের সাথে ঝামেলা করে বেড়ায়।"
এদের সম্পর্কে অন্যকে সতর্ক করার নিমিত্তে তাদের ভুলকে সমাজে বলা যাবে।
(৫)
গঠনমূলক সমালোচক যদি এমন ব্যক্তি হন, যার সমালোচনা করা হচ্ছে, তার উপর সমালোচকের কর্তৃত্ব রয়েছে, এমন সমালোচনার রুখসত রয়েছে। অযথা কারো সমালোচনা করা যাবে না।
(৬)
কারো কোন দায়িত্বে অবহেলা বা অনিয়মের কারণে তার সমালোচনা করা বা তার দোষ ত্রুটিগুলো অন্যদের বললে গীবত হবে।
(৭) কেউ যদি তার দায়িত্বে থাকাকালীন গাফিলতি করে যায় বা ভুল-ত্রুটি করে থাকে, তাহলে হয়তো তাকেই সতর্ক করবেন অথবা উর্ধতন কাউকে বলবেন।