আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম।

একটা বিষয় নিয়ে অনেক সংশয় কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই কারো পিছনে তার নামে নিন্দা করাটাই গীবত হিসেবে জানি।

কিন্তু কেউ যখন জিজ্ঞেস করে,অমুক লোক ভালো নাকি খারাপ তখন দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে,

১.সত্য বলার স্বার্থে লোকটার মধ্যে খারাপ গুণ থাকলে সেটি প্রকাশ করা,

২.খারাপ গুণ গুলো এড়িয়ে গিয়ে কেবল ওই খারাপ লোক সম্পর্কে ভালো কথাই বলা।


আমার কাছে এতটুকুই সম্ভব মনে হচ্ছে।প্রশ্ন হচ্ছে এর বাইরে কি কোনো অপশন থাকতে পারে?প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে বিষয়টা কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো মুসলমানের অগোচরে তার এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করা, যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।তবে যদি কারো সম্বন্ধে এমন কোনো আলোচনা হয়,যা তার মান-মর্যাদাকে কমাবে না এবং যা কারো মন্দ আলোচনাও হবে না।এমন আলোচনা গীবতের আওতাধীন হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1715

হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ). 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার নিমিত্তে তার রোগ নিয়ে আলোচনা করা, কারো কাছে বলা অবশ্যই গীবতের অন্তর্ভুক্ত। তবে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য না হলে, বরং সহানুভূতির নিয়তে অবশ্যই তার রোগ অন্যর কাছে বলা যাবে।

কেউ কারো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, বিশেষ করে বিয়ে শাদীর মুহূর্তে কারো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন বাস্তবতা বলে দেয়াই উচিৎ। এই বাস্তবতা বলার কারণে গীবত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...