জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বেশিরভাগ উলামায়ে কেরামদের মত হলো যাদু হযরত সুলাইমান আঃ এর যামানা থেকে শুরু হয়েছে।
শয়তান,এবং হারুত মারুত মানুষদেরকে এটা শিখিয়েছেন।
তবে কিছু উলামায়ে কেরামদের মত হলো যাদুর অস্তিত্ব আরো আগে থেকেই ছিলো।
বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা ইবনে কাসিরের (রহ.) এই আয়াতের তাফসিরে লিখিত ঘটনার সারসংক্ষেপ হচ্ছে—বিশেষ এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোলাইমান (আ.)-কে জাদুর অপবাদ দেওয়া হলো। আর তাঁর রাজ সিংহাসনের নিচ থেকে অন্য লোকের লুকিয়ে রাখা কিছু জাদুর বই উদ্ধার করা হলো। অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে সেগুলো নবী ইদ্রিস (আ.)-এর সময়কালের প্রাচীন বাবেলের জাদুবিদ্যার বই। কোরআনের আলোচ্য আয়াতে সেই ঘটনারই জবাবে বলা হয়েছে যে সোলাইমান (আ.) কুফরি কালাম, জাদুবিদ্যা বা ডার্ক আর্টিস্ট আদৌ ব্যবহার করেননি। বরং সেসব চর্চা করত ইবলিশ শয়তান। সোলাইমান (আ.) সেসব বই পুঁতে ফেলেন। এবং সেগুলোর কোনো কিছু প্রয়োগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর সেগুলো অসাধু লোকেরা খুঁড়ে আনে, আর রাজ্যময় ছড়িয়ে পড়ে।
সুরা বাকারার ১০২ নং আয়াত
وَ اتَّبَعُوۡا مَا تَتۡلُوا الشَّیٰطِیۡنُ عَلٰی مُلۡکِ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ مَا کَفَرَ سُلَیۡمٰنُ وَ لٰکِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ کَفَرُوۡا یُعَلِّمُوۡنَ النَّاسَ السِّحۡرَ ٭ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ عَلَی الۡمَلَکَیۡنِ بِبَابِلَ ہَارُوۡتَ وَ مَارُوۡتَ ؕ وَ مَا یُعَلِّمٰنِ مِنۡ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوۡلَاۤ اِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَۃٌ فَلَا تَکۡفُرۡ ؕ فَیَتَعَلَّمُوۡنَ مِنۡہُمَا مَا یُفَرِّقُوۡنَ بِہٖ بَیۡنَ الۡمَرۡءِ وَ زَوۡجِہٖ ؕ وَ مَا ہُمۡ بِضَآرِّیۡنَ بِہٖ مِنۡ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ یَتَعَلَّمُوۡنَ مَا یَضُرُّہُمۡ وَ لَا یَنۡفَعُہُمۡ ؕ وَ لَقَدۡ عَلِمُوۡا لَمَنِ اشۡتَرٰىہُ مَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ خَلَاقٍ ۟ؕ وَ لَبِئۡسَ مَا شَرَوۡا بِہٖۤ اَنۡفُسَہُمۡ ؕ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ
আর সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করেছে। আর সুলাইমান কুফরী করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত জাদু ও (সে বিষয় শিক্ষা দিত) যা বাবিল শহরে হারূত ও মারূত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর নাযিল হয়েছিল। তারা উভয়েই এই কথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, ‘আমরা নিছক একটি পরীক্ষা; কাজেই তুমি কুফরী করো না’।। তা সত্বেও তারা ফিরিশতাদ্বয়ের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতো। অথচ তারা আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত তা দ্বারা কারো ক্ষতি করতে পারত না। আর তারা তা-ই শিখত যা তাদের ক্ষতি করত এবং কোন উপকারে আসত না। আর তারা নিশ্চিত জানে যে, যে কেউ তা খরিদ করে, (অর্থাৎ জাদুর আশ্রয় নেয়) তার জন্য আখেরাতে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা নিজেদের বিকিয়ে দিচ্ছে, তা খুবই মন্দ, যদি তারা জানত!
,
যাদু সম্পর্কে আরো জানুনঃ
,
(০৩)
আল্লাহ তায়ালা যেইরকম শয়তানকে কিছু অলৌকিক ক্ষমতা দিয়েছেন,ঠিক তেমনই দাজ্জালকেও আল্লাহ তায়ালা কিছু অলৌকিক ক্ষমতা দিয়েছেন।
এটা যাদু নয়।