আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম,
১। আমাদের বাড়ি আগে টিন শেড ছিলো, পরে তা ভেঙ্গে দুই তলা করা হয়েছে। এতে আশে পাশের অনেল মানুষ ই হিংসা করেছে। বাড়ি করার পর থেকে আমরা নানা রকম রোগ বালাই এ আক্রান্ত হচ্ছি এবং বিপদ আসতেছে। আমাদের সন্দেহ আমাদের প্রতিবেশি কেউ জাদু টোনা এসব করে থাকতে পারে। এর থেকে আমরা কিভাবে পরিত্রান পেতে পারি বা ঘর জীন ভুত বা জাদু টোনা মুক্ত করতে পারি।


২। আমার মেয়ে হউয়ার সময় কিছু প্রব্লেম হয় যার কারনে আমার মেয়ের জন্মের পর তার ব্রেন এ অক্সিজেন পৌছাতে দেরি হয়। এতে তার ব্রেইনের অনেকটা ইঞ্জুরি হয়েছে এবং ডাক্তার বলেছে তার এটা তার বিকাশে বাধাগ্রস্থ করতে পারে এবং সম্পুর্ণ সাভাবিক নাও হতে পারে, এর জন্য আমরা কি আমল করতে পারি যাতে আকার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায় বাকি সব সাধারন শিশুর মত তার বিকাশ হয়


৩। ব্রেইনে অক্সিজেন পৌছাতে দেরি হঊয়ার আমার মেয়ের খিচুনি হয়, এই রোগ থেকে মুক্তির কোন দোয়া আছে কিনা?


৪। আমি শুনেছিলাম নারীর মধ্যে ভালো বা মন্দ ভাগ্য থাকে। নানা বিপদে বা মন্দ ভাগ্যের দরুন মনে হচ্ছে আমার আহলিয়ার দরুন এমন হচ্ছে। আল্লাহ যাতে তার মন্দ থেকে আমাদের হেফাযত করেন এবং তার কল্যাণ আমাকে দান করেন এ বিষয় এ কি আমল করতে পারি?


৫। ভাগ্য বিষয় টা জটিল। আমি আমার মেয়ের বেলায় নরমাল ট্রাই করি,  তার নরমাল ডেলিভারি হয় না পরে সিজার করতে হয়েছে তাই আমার মেয়ের ব্রেইনের ইঞ্জুরি হয়েছে, সবাই আমাকে দোষ দিচ্ছে আমার ডিসিশনের কারনে। ধরে নিলাম ভাগ্যে এমন ছিলো। কিন্তু আল্লাহ তো বলছেন সর্বোচ্চ চেস্টা করতে তাহলে আমার চেস্টাতেই গাফিলতি ছিল, এসব নিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি।
closed

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন-http://istefta.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10103

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আপনার মেয়ের জন্য দু'আ করবেন।সালাতুল হাজত পড়ে মেয়ের জন্য দু'আ করবেন।পাশাপাশি ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।আল্লাহ আপনার মেয়ের কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 265 views
...