আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১. মাহারাম গুরুত্বের সাথে দ্বীনের পথে না চললে, নামাজ আদায় না করলে সেই মাহারামেরর সাথে নারীগণ হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন কি? একজন মাহারামের সাথে কতজন নারী হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন?
২. নিজ খরচে নফল হজ্জ্ব উত্তম না বদলি হজ্জ্ব?

৩. নারীগণ কি কারোর বদলি হজ্জ্ব করতে পারবেন?

৪. হজ্জ্ব ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তির গরিমসির কারণে তার আত্মীয় হজ্জ্বের খরচ দিয়ে দিলে সেই ব্যক্তির ফরজ হজ্জ্ব আদায় হবে কি? আর সেই আত্মীয় কি এর জন্য সওয়াব পাবেন?

৫. হজ্জ্ব পালন করার পর জানা যায় হজ্জ্ব কার্যক্রমে বিদআত ছিল' তখন করণীয় কি?
৬. হজ্জ্বের মুয়ালিমের হজ্জ্বের বিধান সম্পর্কে পরিপূর্ণ বা সহি ধারণা না থাকলে সেই মুয়ালিমের সাথে হজ্জ্ব পালন করা যাবে কি?

৭. হজ্জ্ব শেষে সৌদি আরবে অবস্থানকালে মাহারাম চলে আসলে নারীগণের হজ্জ্ব আদায় হবে কি?

৮. হজ্জ্ব যাতায়াতের ইন্সুরেন্স থেকে মুক্ত থাকার উপায় কি?


৯. মনে কষ্ট বা ফেতনার আশঙ্কায় মিলাত বা মৃতের জন্য খাবারের আয়োজনে যাওয়া যাবে?


১০. যেকোনো দিবস উপলক্ষে কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক হালাল হারাম নিয়ে লেখালেখি করলে এবং তা প্রচার করলে কি বিতআদ বা কোনো গুনাহ হবে?


১১. বাংলা হাদিস নামক যে ওয়েবসাইট ও অ্যাপে হাদিসের ‘সহি’ ও জাল-যঈফের মান দেওয়া হয়েছে তা কি সব বিশুদ্ধতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ? এর উপর নির্ভর করা যাবে কি?
by
আমি একটি জিনিস জানতে চাচ্ছি, আপনার থেকে,কিন্তু আজকের পরে আপনাকে পেতে তওন দিন অপেক্ষা করতে হবপ, যদি জবাব গুলো দিতেন বড় উপকার হতো.

১. কারো যদি কাদিয়ানী সম্পর্কিত পোস্ট বা ভিডিও দেখা কালিন চিন্তায় চলে আসে এরা মনে হয় কাফের না, মুসলিম পরে পরেই আবার ভাবে নাহ না এটা তো সম্ভব ন এটা কি মনে করছি এরা তো কাফের ই, পরে এই ভাবনার জন্য অনুশোচনা হলে সে কি কাফের হবে?

২. কাদিয়ানী রা নামাজ পরলেও কাফের,রোজা রাখলেও কাফের, এইরুপ লেখা  দেখে কেও যদি মনে মনে ভেবে ফেলে এরা কালিমা পরলেও কাফের, পরেই আবার মনে হয় কালিমা পরলে তো তাদের ইমান নবায়ন হয়ে যাওয়ার কথা এটা কি ভাবলাম পডে যদি এরুপ অনুশোচনা হয় তাও কি সে কাফের হবে?

৩. কোনো মুসলিম কাদিয়ানী হয়ে গেলে, তার বিবাহ ভেঙ্গে যাবে, কিন্তু তা কি তিন তালা* হবে? দুটি তো ভিন্ন,  

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ বলেছেন,

لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ”. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الْحَجَّ. فَقَالَ ” اخْرُجْ مَعَهَا

কোনো মহিলা তার মাহরাম ব্যতিরেকে সফর করবে না এবং কোনো পুরুষ মাহরাম ছাড়া কোনো মহিলার নিকট যাবে না। অতপর এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক সৈন্যদলের সাথে জিহাদে যেতে চাই আর আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চায়। নবী করীম ﷺ বললেন, তুমিও তার সাথে হজ্বে যাও। (সহীহ বুখারী ১৭৪০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নারীদের হজ্জে যাওয়ার জন্য মাহরাম পুরুষ যে মুসলিম বালেগ হবে, তাকে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক। 
এক্ষেত্রে সে দ্বীনদার না হলেও সমস্যা নেই।
আজীবন তার সাথে হজ্জে যেতে পারবে,অন্যান্য সফরেও যেতে পারবে।

সুতরাং মাহরাম পুরুষ গুরুত্বের সাথে দ্বীনের পথে না চললে, নামাজ আদায় না করলে সেই মাহারামের সাথে নারীগণ হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন।

একজন মাহরাম পুরুষ এর সাথে নারী আজীবন হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে নফল হজ্জ্ব উত্তম।

(০৩)
নারীগণ কি কাহারো পক্ষ হতে বদলি হজ্জ্ব করতে পারবেন 

(০৪)
এক্ষেত্রে সে যদি নিজের হজ্ব নিজে আদায় করে,তাহলে সেই হজ্ব আদায় হবে।ছওয়াবও হবে।

আর যদি বদলি হজ্ব হয়,তাহলে সে অক্ষম হলে বদলি হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।
আর সে অক্ষম না হলে বদলি হজ্ব আদায় হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
এতে হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।

(০৬)
সেই মুয়াল্লিমের সাথে হজ্জ্ব পালন করা যাবে।
তবে হজ্বের ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাত যেনো পূর্ণ ভাবে আদায় করা হয়।

(০৭)
হজ্ব আদায় হবে।
তবে সাথে মাহরাম পুরুষ না থাকায় গুনাহ হবে। 

(০৮)
বিষয়টি কমেন্ট বক্সে স্পষ্ট করার পরামর্শ থাকবে। 

(০৯)
আয়োজন করা যাবে।
তবে তাহা গরিব মিসকিনকে খাওয়াবেন।
তাতে মাইয়্যিত ছওয়াব পাবেন।

(১০)
সঠিক লিখলে এতে বিদআত বা গুনাহ হবেনা।

(১১)
জানা মতে এখানকার সব সহীহ হাদীস বিশুদ্ধতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ।
,
তবে সব জাল জয়ীফ হাদীস বিশুদ্ধতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নয়। পূর্ণ ভাবে সব ক্ষেত্রে ঢালাও ভাবে তাদের বলে দেয়া জাল ও জয়ীফের উপর নির্ভর করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি একটি জিনিস জানতে চাচ্ছি, আপনার থেকে,কিন্তু আজকের পরে আপনাকে পেতে তওন দিন অপেক্ষা করতে হবপ, যদি জবাব গুলো দিতেন বড় উপকার হতো.

১. কারো যদি কাদিয়ানী সম্পর্কিত পোস্ট বা ভিডিও দেখা কালিন চিন্তায় চলে আসে এরা মনে হয় কাফের না, মুসলিম পরে পরেই আবার ভাবে নাহ না এটা তো সম্ভব ন এটা কি মনে করছি এরা তো কাফের ই, পরে এই ভাবনার জন্য অনুশোচনা হলে সে কি কাফের হবে?

২. কাদিয়ানী রা নামাজ পরলেও কাফের,রোজা রাখলেও কাফের, এইরুপ লেখা  দেখে কেও যদি মনে মনে ভেবে ফেলে এরা কালিমা পরলেও কাফের, পরেই আবার মনে হয় কালিমা পরলে তো তাদের ইমান নবায়ন হয়ে যাওয়ার কথা এটা কি ভাবলাম পডে যদি এরুপ অনুশোচনা হয় তাও কি সে কাফের হবে?

৩. কোনো মুসলিম কাদিয়ানী হয়ে গেলে, তার বিবাহ ভেঙ্গে যাবে, কিন্তু তা কি তিন তালা* হবে? দুটি তো ভিন্ন,  
by (572,970 points)
(০১)
এই ভাবনার জন্য অনুশোচনা হলে সে  কাফের হবেনা।

(০২)
মা,সে কাফের হবেনা।

(০৩)
বিবাহ বিচ্ছেদ হবে।
তিন তালাক নয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 264 views
...