ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
কোনো ব্যাক্তি যদি নিজ এলাকা হতে সফরের দূরত্বে (৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে) কোথাও যায়,সেক্ষেত্রে এক স্থানে ১৫ দিনের কম (সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত) অবস্থান করার নিয়ত করলে মুসাফির হিসেবে কসর সালাত আদায় করবে।
এর বেশিদিন থাকার নিয়ত করলে ব্যাক্তি কসরের সালাত আদায় করতে পারবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ فُرِضَتْ ثَلَاثًا لِأَنَّهَا وِتْرٌ، قَالَتْ: ” وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ صَلَّى الصَّلَاةَ الْأُولَى إِلَّا الْمَغْرِبَ، فَإِذَا أَقَامَ زَادَ مَعَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ إِلَّا الْمَغْرِبَ، لِأَنَّهَا وَتْرٌ، وَالصُّبْحَ، لِأَنَّهُ يُطَوِّلُ فِيهَا الْقِرَاءَةَ “
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম প্রথম নামায দুই রাকাত করে ফরজ হয় মাগরিব ছাড়া। কারণ এটি শুরুতেই ছিল তিন রাকাত। কেননা, এটি দিনের বিতির নামায। তিনি আরো বলেন, রাসূল সাঃ যখন সফর করতেন, তখন তিনি দুই রাকাত করেই পড়তেন, মাগরিব ছাড়া। তথা মাগরিব তিন রাকাতই পড়তেন। তার পরবর্তীতে দুই রাকাতের সাথে দুই রাকাত বৃদ্ধি করা হল মাগরিব ছাড়া। কেননা এটি [দিনের] বিতির। আর ফজরের দুই রাকাতের সাথে বৃদ্ধি করা হয়নি, কেননা এতে লম্বা কিরাত পড়া হয়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬২৮২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৩০৫, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২৫৫}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি সৌদি প্রবাসী,আপনি সৌদি আরবের যেই এলাকায় থাকেন,সেখান হতে মসজিদে হারাম কতদূর?
আপনি সৌদি আরবের যেই এলাকায় থাকেন,সেখান হতে মসজিদে হারাম যদি ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি দূরত্বে হয়,সেক্ষেত্রে আপনি ওমরায় গিয়ে কসর আদায় করবেন।
আপনি জোহর ও এশার ফরজ নামাজের কসর দুই রাকাত সালাতের পাশাপাশি অন্যান্য সুন্নত বা নফল সালাত আদায় করতে পারবেন।
তবে সুন্নাত নফল পড়া আপনার উপর আবশ্যক নয়,সময় সুযোগ পেলে পড়তে পারেন,সমস্যা নেই
শুধুমাত্র ফরয গুলোই আদায় করা যাবে,এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
চাইলে রাতে কিয়ামুল লাইল করা যাবে,সুন্নাত নফল নামাজও পড়া যাবে।