আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আসসালামু'আলাইকুম।

মেয়েদের ইস্তিঞ্জার পর কি পায়ুছিদ্রের বাইরের চামড়া পর্যন্ত পরিষ্কার করলেই হয়, নাকি ছিদ্রের মুখে বা কিছুটা ভিতরে(আঙ্গুল ঢুকিয়ে) পরিষ্কার করা প্রয়োজন?
ইস্তিঞ্জার পর সাধারণত ওই ছিদ্রপথের চারদিকে,ভিতরে কিছুটা ময়লা লেগে থাকে। তাই আমি টিস্যু ব্যবহারের সময় আঙ্গুল দিয়ে ওই ছিদ্রের মুখে+ হালকা ভিতরে ঢুকিয়ে পরিষ্কার করি। এরপর পানি দিয়ে শুধু বাইরেটা ধুয়ে ফেলি তখন আর ভিতরে পরিষ্কার করি না।

এভাবে ছিদ্রপথে আঙ্গুল দিয়ে টিস্যু ঢুকালে কি রোযা ভেঙ্গে যায়? কিন্তু ছিদ্রের মুখের চারদিকে, ভিতরে যে নাপাকি লেগে থাকে তা তো ওই কাজ না করলে পরিষ্কার করা যায় না,তাহলে কি শুধু ছিদ্রের একদম বাইরের চামড়া তে থাকা নাপাকি পরিষ্কার করলেই চলে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/40235/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

ولو بالغ في الاستنجاء حتی بلغ موضع الحقنۃ فسد۔ (شامي ۳؍۳۶۹ زکریا)

সারমর্মঃ  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

আরো জানুনঃ 

★শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় যদি কোনো মহিলা গোপনাঙ্গে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,এক্ষেত্রে আঙ্গুল যদি শুকনো থাকে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। যদি ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তাহলে মহিলার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এতে কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।

ولو ادخل إصبعه فى إسته أو المرأة فى فرجها، لا يفسد، وهو المختار، إلا إذا كانت مبتلة بالماء أو الدهن، فحينئذ يفسد لوصول الماء او الدهن، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد-1/204, كذا فى الدر المختار-2/397)
সারমর্মঃ
যদি কেহ তার আঙ্গুল মলদ্বারে প্রবেশ করায়,বা কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থানে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে আঙ্গুল যদি তৈল বা পানি দ্বারা ভিজানো থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।    
,
রোযা অবস্থায়  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

সুতরাং যদি মূল যে নরম অংশ সেই জায়গা পর্যন্ত নয়,তার আগের স্থান পর্যন্ত যদি ধৌত করেন,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে সতর্কতা কাম্য।
টিস্যু পেপার দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিয়ে যথাসম্ভব  মলদ্বারের আশে পাশে এবং বসলে যেটি বাহ্যিক অংশ মনে হয়,ততটুকুতে পানি পৌছাবেন।

রোযা অবস্থায় ভেজা আঙ্গুল মলদ্বারের একেবারে ভিতরে হাকনার স্থান পর্যন্ত প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

হাকনার স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মেয়েদের (পুরুষদেরও একই হুকুম) ইস্তিঞ্জার পর  পায়ুছিদ্রের বাইরের চামড়া পর্যন্ত পরিষ্কার করলেই হবে।

ছিদ্রের মুখে বা কিছুটা ভিতরে(আঙ্গুল ঢুকিয়ে) পরিষ্কার করা প্রয়োজন নেই।
এটি বাড়াবাড়ি। 

তবে প্রশ্নে যেভাবে উল্লেখ আছে,এভাবে ছিদ্রপথে আঙ্গুল দিয়ে টিস্যু প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এমনটি করার প্রয়োজনীয়তা নেই।

শুধু ছিদ্রের একদম বাইরের চামড়া তে থাকা নাপাকি পরিষ্কার করলেই যথেষ্ট। 
এক্ষেত্রে টিস্যু ব্যবহারের পর পানি ব্যবহারের পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...