ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের জন্য পর পুরুষদের নিকট পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
(((أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَة))ٌ
“যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে লোকজনের নিকট দিয়ে গমন করার ফলে তারা তার ঘ্রাণ পেল সে মহিলা ব্যভিচারিণী।” (নাসাঈঃ হাদীস নং ৫০৩৬)
কেননা, নারী দেহের সুগন্ধ পরপুরুষকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে বা যৌনতার দিকে আহ্বান করে। তবে স্বামী, মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হারাম) এবং মহিলা অঙ্গণে তা ব্যবহারে কোন দোষ নেই।
কোন মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে এলে তার সালাত কবুল হবে না যতক্ষণ না তা দূর না করে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
أَيُّمَا امْرَأَة تَطَيَّبَت ثُمَّ خَرَجَت إِلَى المسجِدِ لَم تُقبَل
لهَا صَلاَةٌ حَتى تَغتَسِل
‘‘যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সেই মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।’’ (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর ওয়া যিয়াদাতুহ ২৭০৩নং)
মহানবি সা. বলেছেন, “প্রত্যেক চক্ষুই ব্যাভিচারী। আর মহিলা যদি (কোন প্রকার) সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তবে সে ব্যভিচারিণী।” (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুযাইমাহ, হাকেম, সহীহুল জামে, ৪৫৪০ নং)
এতে যদি সেই গায়রে মাহরাম পুরুষ বুঝতে পারে যে এই সুগন্ধি কোনো নারীর দেহ হতে আসছে,তাহলে এক্ষেত্রে সেই নারীর গুনাহ হবে।
প্রশ্নের বিবরণ মতেও ঐ নারীর গুনাহ হবে,হাদীসের ভাষায় সেও ব্যভিচারিণীর ধমকির অন্তর্ভুক্ত হবে।
হ্যাঁ, প্রত্যেকে যে দেশে আছেন,সে দেশের শুদ্ধ ভাষায় কথা বললে নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ পালন হবে।