জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
(বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যদি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোযা রাখেন,তাহলে ছওয়াব ও ফাজায়েল পাবেন।
কিন্তু আপনি যদি শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতার জন্য রোযা রাখেন,আল্লাহর সন্তুষ্টি যদি উদ্দেশ্য না হয়,সেক্ষেত্রে আপনার ফরজ রোযা আদায় হয়ে গেলেও পূর্ণ ছওয়াব পাবেননা।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রিয়া হবেনা।
(০২)
হ্যাঁ, তাহলেও রোযা হবে।
আপনি অন্তরে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত রাখবেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত থাকার পাশাপাশি সুস্থতা ইত্যাদির নিয়ত আসলেও সমস্যা হবেনা।
আপনার মনের মধ্যে অন্য বিষয় আসলে সেটি পাত্তা দেয়ার প্রয়োজন নেই।