জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বন্ধক রাখা হয় ঋণ আদায়ের নিশ্চয়তাস্বরূপ। এতে ঋণদাতা নিশ্চিত থাকেন যে ঋণ আদায় না করলেও বন্ধককৃত বস্তু থেকে আদায় করে নেওয়া যাবে।
পবিত্র কোরআনেও এর নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোনো লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করো, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহকে ভয় করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৩)
,
বন্ধককৃত বস্তু বন্ধকগ্রহীতার কাছে আমানতস্বরূপ।
★বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)
ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ক,
আপনি যে টাকা নিয়েছেন,এটি ঋন।
সুতরাং এ টাকা হালাল।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার এমন মানসিকতার কারণে ব্যবসায় লাগানো টাকাগুলো হারাম হয়ে যায়নি।
আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।
খ,
প্রশ্নের বিবরণ মতে বুখা যাচ্ছে যে আপনার শশুর যরি এখনো সূদী লেনদেনে জড়িত থাকে,তবুও তার অধিকাংশ ইনকাম হালাল হওয়ায় তার দেয়া হাদিয়া,টাকা গ্রহন করা জায়েজ আছে।
এ টাকা যে আপনার দোকানে লাগিয়েছেন,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
তারা তাদের মেয়ের বাড়িতে কিছু পাঠায় এবং ভবিষ্যতেও পাঠাবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।