আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার স্বামী বিয়ের আগেও যেনাকারী ছিলো,বিয়ের পরেও পরকীয়া করে,প্রচন্ড দায়ত্বহীন,আমার মা বাবাকে সম্মান করে না,তাকে অনেক বুঝিয়েছি পরকীয়ার ব্যাপারে, কিন্তু সুধরাইনি।আল্লাহর কাছে দোআ করি,তবুও তার পরিবর্তন নেই।প্রচন্ড মিথ্যা বলে,নিজের পথকে ঠিক রাখতে সবসময় মিথ্যা বলে,নামাজের ব্যাপারে,রোযার ব্যাপারে উদাসীন।আমি মানসিকভাবে ভালো নেই।সে টাকা নিয়ে অনেক রুড বিহেব করে বলে তোমার সাথে আমার চলে না,তুমি মুক্ত, তোমার মতো থাকো।পরে রাগ ভেঙে গেলে বলে সরি।কিন্তু সে মেয়েদের সাথে সেক্স চ্যাট করে,পর্ন শেয়ার করে,নিজের পেনিসের পিকচার দেয়।আমাদের বিয়ে ২বছর ৪মাস।দুজনেই স্মাটুডেন্ট,মেডিকেলে পড়ি একজন খুলনাতে আরেকজন ঢাকাতে। এখন কি করা উচিত?তালাকে যাওয়া?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


কোনো স্বামী যদি অত্যাচারী হয়,স্ত্রীকে মারধর করে, নির্যাতন করে,যেনা ব্যাভিচার করে,বা চোর বা ডাকাত হয়,ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি ঘর সংসার করতে না চায়,আর স্বামীও যদি তালাক না দেয়,স্ত্রীকে তালাকের অধিকারও না দিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য খোলা তালাকের আবেদন করবে।
প্রয়োজনে আদালতে যাবে।

স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাযী সাহেব বা উনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়, তাকে খোলা বলে।
,
খোলা তালাক দ্বারা বায়েন তালাক পতিত হয়। 
যদি এক তালাকের উপর খোলা হয়ে থাকে,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
যদি কোনো সংখ্যা লেখা না থাকে, তাহলেও এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
,
যদি তিন তালাকের উপর খোলা করে থাকে, তাহলে তিন তালাক পতিত হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)

"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (সুরা বাকারা ২২৯)
,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «جَعَلَ الْخُلْعَ تَطْلِيقَةً بَائِنَةً»

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ খোলাকে এক তালাকে বাইন সাব্যস্ত করেছেন। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪০২৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৮৪৪৮, মুজামে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-২৩০, আসসুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৮৬৫}

আরো জানুনঃ- 
,
খোলা হচ্ছে: কোন কিছুর বিনিময়ে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে স্বামী সে বিনিময়টি গ্রহণ করে স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে; এ বিনিময়টি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদত্ত মোহরানা হোক কিংবা এর চেয়ে বেশি সম্পদ হোক কিংবা এর চেয়ে কম হোক।

খোলা তালাক  সংক্রান্ত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি আপনার স্থান থেকে স্বামীকে শোধরানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন,তারপরেও যেহেতু তিনি নিজেকে শুধরিয়ে নিচ্ছেনা,তাই আপনি এভাবে আর সংসার করতে না চাইলে তালাক গ্রহন করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি তালাকের অধিকার পেয়ে থাকলে নিজেকে নিজে তালাক প্রদান করতে পারবেন।
আর যদি আপনি তালাকের অধিকার প্রাপ্তা না হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে স্বামী হতে খোলা তালাক নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...