আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in সালাত(Prayer) by (73 points)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম,

১.ইমাম যদি কেরাতের ক্ষেত্রে মাদে ভুল করেন (যেমন -যেখানে মদ নেই সেখানে মদ করলেন) তবে কখন নামাজ নষ্ট হবে আর কখন নামাজ নষ্ট হবে না?

২.আজানে "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ " (সা.) বলা হলে কী বলে জবাব দিতে হবে?শুধু দরুদ নাকি বাক্যটির পুনরাবৃত্তি সহ দরুদ পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4350

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ইমাম যদি কেরাতের ক্ষেত্রে মদে ভুল করেন (যেমন -যেখানে মদ নেই সেখানে মদ করেন) তবে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না।কেননা মদে কমবেশ হওয়ার কারণে অর্থে কোনো পরিবর্তন আসে না।

(২) আজানে
"আশহাদু আন্না মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ " (সা.) বলা হলে  জবাব বাক্যটির পুনরাবৃত্তি করা সুন্নত।তখন দুরুদ পড়া সুন্নত নয়। আজানের জবাব দেয়ার পর তথা আজানের শেষে দুরুদ পড়া হবে।

দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়,
Fatwa ID: 809-809/Sd=1/1437-U
اذان میں ”اشہد أن محمداً رسول اللہ“ کے جواب میں درود پڑھنا مسنون نہیں ہے، بلکہ اسی کلمہ کو دہرانا مسنون ہے، اکثر لوگ جو اس کلمہ کے جواب میں درود پڑھتے ہیں، اُن کا عمل صحیح نہیں ہے، درود تو اذان کے بعد خود مشروع ہے، اس لیے آپ ”اشہد أن محمدا رسول اللہ“ کے جواب میں اسی کلمہ کو دہرایا کریں، ہاں اذان کے بعد درود پر مشتمل دعا پڑھ لیا کریں، حدیث میں اس کی بہت تاکید وارد ہوئی ہے۔ عن عمر بن الخطاب رضي اللّٰہ عنہ قال قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: اذا قال الموٴذن: ”اللّٰہ أکبر“ فقال أحدکم: اللّٰہ أکبر اللّٰہ أکبر، ثم قال: ”أشہدُ أن لا الٰہ الا اللّٰہ“ قال: أشہدُ أن لا الٰہ الا اللّٰہ، ثم قال: ”أشہدُ أن محمدًا رسول اللّٰہ“قال: أشہدُ أن محمدًا رسول اللّٰہ۔۔۔۔۔ الخ (السنن الکبری: ۱/ ۶۰۲، رقم: ۱۹۲۶) وعن عبد اللّٰہ بن عمرو بن العاص رضي اللّٰہ عنہ أنہ سمع النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم یقول: اذا سمعتم الموٴذن، فقولوا مثلَ ما یقول، ثم صلوا علي۔۔ (صحیح مسلم: ۱/ ۱۶۶)فتاوی دارالعلوم: ۲/ ۷۴، ط: دار الاشاعت، پاکستان۔


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 149 views
...