আস সালামু আলাইকুম।
হুজর আমি অনেকদিন থেকে এই সমস্যায় ভুগছি।
এটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ভিতর থেকে। আমি অনেক সময় বুঝতে পারি যে, এটা ভাবা আমার ঠিক হচ্ছে না। আবার অনেক সময় দিশেহারা হয়ে যায়। আমি একটু বিস্তারিত লিখছি দয়া করে পড়বেন বলে আশা রাখছি।
(আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।)
১। আমি যখনই একটু হাসিখুশি অথবা প্রাণবন্ত থাকতে চায়, তখনই মনে হয় মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে আর তুমি হাসছো? আমি যখন হাসি তখন মনে হয় এটা আমি কি করছি? ফলে আমার অধিকাংশ সময়ই মন খারাপ থাকে, অনেক বিষন্ন থাকি। কোনো কাজকর্ম ভালো লাগে না।
পড়াশোনায় কোনোভাবেই মনোযোগী হতে পারি না।
যেমনঃ আব্বু আম্মু সহ যখন একজায়গায় থাকা হয় অথবা বন্ধরা একজায়গায় হলে, একটু হাসির বিষয় উঠলে আমি হাসলেই অথবা তাদের সাথে প্রাণবন্ত ভাবে কথা বলার চেষ্টা করলে মনে হতে থাকে মুসলিমরা কাদছে আর আমি হাসছি? প্রাণবন্ত থাকছি?
এমনকি আমার ছোট বোনের সাথে আমি ভালোভাবে খেলতেও পারি না, খারাপ লাগা কাজ করে।
আরো অনেক ক্ষেত্রে এমনটা হয়। যেমনঃ আমি বাসায় আছি, আমার মনে হতে থাকে কালকে যখন স্যারের কাছে পড়তে যাব, তখন তো আমি হাসব। এই ভেবে মন খারাপ হয়ে যায়।
আবার কাউকে হাসতে দেখলে বা খুশি দেখলে মনে হয়, এরা হাসছে! মুসলিমদের নির্যাতনে এদের কোনো দুঃখবোধ নেই?
এ অবস্থা থেকে আমি কিভাবে বাঁচবো বুঝতে পারছি না। এটা দিন দিন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। আমি এ অবস্থা থেকে বাচতে চাই। এখন, আমার কি করণীয় একটু
বলুন।
*এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এগুলো বাদেও অনেক বিষয়ে আমার মনে ওয়াসওয়াসা মতো কাজ করেছে
২। রাসুল সা. হাদিসে যেটা বলেছেন যে, কোনো মুসলিম নির্যাতনের শিকার হলে অন্য মুসলিমও কষ্ট পাবে।
যেমন দেহের একটা অংশ ব্যাথ্যা পেলে অন্য অংশও তা অনুভব করে।
এ হাদিসের ব্যাখ্যাটা আসলে কি?
একজায়গার মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, বলে কি আমি বা অন্য জায়গার মুসলিমরা প্রাণবন্ত, হাসিখুশি থাকতে পারবে না?
তাদের জন্য দুঃখবোধ রাখবো, তাই বলে কি হাসিখুশি, প্রাণবন্ত থাকতে পারবো না? দয়া করে জানান।
নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতি দুঃখবোধ রাখার পাশাপাশি প্রাণবন্ত থাকব কিভাবে?
এখন, এ অবস্থা থেকে বাচতে আমার আসলে কি
করণীয় একটু যদি কুরআন হাদিসের আলোকে দিকনির্দেশনা মূলক বিস্তারিত বলতেন। তাহলে অনেক
উপকৃত হতাম।
আল্লাহ আপনাদেরকে কল্যাণ দান করুক।