আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
reopened by
আস সালামু আলাইকুম।
হুজর আমি অনেকদিন থেকে এই সমস্যায় ভুগছি।
এটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ভিতর থেকে। আমি অনেক সময় বুঝতে পারি যে, এটা ভাবা আমার ঠিক হচ্ছে না। আবার অনেক সময় দিশেহারা হয়ে যায়। আমি একটু বিস্তারিত লিখছি দয়া করে পড়বেন বলে আশা রাখছি।
(আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি।)

১। আমি যখনই একটু হাসিখুশি অথবা প্রাণবন্ত  থাকতে চায়, তখনই মনে হয় মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে আর তুমি হাসছো? আমি যখন হাসি তখন মনে হয় এটা আমি কি করছি? ফলে আমার অধিকাংশ সময়ই মন খারাপ থাকে, অনেক বিষন্ন থাকি। কোনো কাজকর্ম ভালো লাগে না।
পড়াশোনায় কোনোভাবেই মনোযোগী হতে পারি না।

যেমনঃ আব্বু আম্মু সহ যখন একজায়গায় থাকা হয় অথবা বন্ধরা একজায়গায় হলে, একটু হাসির বিষয় উঠলে আমি হাসলেই অথবা তাদের সাথে প্রাণবন্ত ভাবে কথা বলার চেষ্টা করলে মনে হতে থাকে মুসলিমরা কাদছে আর আমি হাসছি? প্রাণবন্ত থাকছি?
এমনকি আমার ছোট বোনের সাথে আমি ভালোভাবে খেলতেও পারি না, খারাপ লাগা কাজ করে।
আরো অনেক ক্ষেত্রে এমনটা হয়। যেমনঃ আমি বাসায় আছি, আমার মনে হতে থাকে কালকে যখন স্যারের কাছে পড়তে যাব, তখন তো আমি হাসব। এই ভেবে মন খারাপ হয়ে যায়।

আবার কাউকে হাসতে দেখলে বা খুশি দেখলে মনে হয়, এরা হাসছে! মুসলিমদের নির্যাতনে এদের কোনো দুঃখবোধ নেই?

এ অবস্থা থেকে আমি কিভাবে বাঁচবো বুঝতে পারছি না। এটা দিন দিন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। আমি এ অবস্থা থেকে বাচতে চাই। এখন, আমার কি করণীয় একটু
বলুন।

*এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?  আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এগুলো বাদেও অনেক বিষয়ে আমার মনে ওয়াসওয়াসা মতো কাজ করেছে

২। রাসুল সা. হাদিসে যেটা বলেছেন যে, কোনো মুসলিম নির্যাতনের শিকার হলে অন্য মুসলিমও কষ্ট পাবে।
যেমন দেহের একটা অংশ ব্যাথ্যা পেলে অন্য অংশও তা অনুভব করে।
এ হাদিসের ব্যাখ্যাটা আসলে কি?
একজায়গার মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, বলে কি আমি বা অন্য জায়গার মুসলিমরা প্রাণবন্ত, হাসিখুশি থাকতে পারবে না?
তাদের জন্য দুঃখবোধ রাখবো, তাই বলে কি হাসিখুশি, প্রাণবন্ত থাকতে পারবো না? দয়া করে জানান।

নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতি দুঃখবোধ রাখার পাশাপাশি প্রাণবন্ত থাকব কিভাবে?

এখন, এ অবস্থা থেকে বাচতে আমার আসলে কি
করণীয় একটু যদি কুরআন হাদিসের আলোকে দিকনির্দেশনা মূলক বিস্তারিত বলতেন। তাহলে অনেক
উপকৃত হতাম।
আল্লাহ আপনাদেরকে কল্যাণ দান করুক।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হুজুর সাঃ বললেনঃ 
 " ﺧُﺬُﻭﺍ ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺭْﻓَﺪَﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻌْﻠَﻢَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩُ , ﻭَﺍﻟﻨَّﺼَﺎﺭَﻯ , ﺃَﻥَّ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻨَﺎ ﻓُﺴْﺤَﺔً "(كتاب:ﺇﺗﺤﺎﻑ ﺍﻟﺨﻴﺮﺓ ﺍﻟﻤﻬﺮﺓ ﺑﺰﻭﺍﺋﺪ ﺍﻟﻤﺴﺎﻧﻴﺪ ﺍﻟﻌﺸﺮﺓ-رقم الحديث;5103)
হে হাবশি বালকেরা তোমরা খেলতে থাকো যেন ইহুদি ও নাসারারা জানতে পারে যে,আমাদের ধর্মে বিস্তৃতি রয়েছে। বিনোদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/673

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মুসলমানদের কষ্টে ভারাক্রান্ত থাকবেন।এটা ঈমানের বৈশিষ্ট্য। মাঝেমধ্যে মনের মধ্যে খুশীও নিয়ে আসবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' মাঝেমাঝে মুসকি হাসতেন।আপনিও মাঝেমধ্যে মুসকি হাসবেন। উম্মতের ফিকিরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' যেভাবে ভারাক্রান্ত হতেন, পাশাপাশি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' মাঝেমধ্যে রসিকতাও করেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (1 point)
মুফতি ইমদাদুল ইক হুজুর, 

আমি আর কয়টা বিষয় জানতে চাচ্ছি,  দয়া করে বলবেনঃ 

১. আপনি, যে বললেন মাঝেমধ্যে হাসার কথা,  এটা দ্বারা আপনি কি বুঝিয়েছেন? 
এর মানে কি এই যে, যখন কোনো হাসির বিষয় উঠবে(হালাল)  তখন আমি মুচকি হাসব? 

৩. আমি যদি নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য কষ্ট পাওয়ার পাশাপাশি প্রাণবন্ত থাকি ( কোনো রকম হারাম কাজ না করে)
তাহলে কি কোনো গুনাহ হবে? এটা নিয়ে সংশয়ে আছি জানাবেন। 
আমি যদি প্রাণবন্ত না থাকি তাহলে তো কোনো কাজই করতে ভালো লাগে না। বিশেষ করে পড়াশোনা।
by (597,330 points)
(১) যখন হাসির বিষয় সামনে আসবে, তখন মুসকি হাসতে পারবেন।রুখসত রয়েছে।

(৩) প্রাণবন্ত থাকলে গোনাহ হবে না।তবে অন্তরে আক্ষেপ রাখাই উচিৎ।
by (597,330 points)
আপনি কি বুঝতে পেরেছেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...