আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
885 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক)কুরআন তিলাওয়াত এর সময় ঢুলা যাবে কিনা? করা গেলে কোন নির্দিষ্টভাবে করতে হবে কিনা?
খ) শুনেছিলাম ফেরেশতারা নাকি তিলাওয়াত এর সময়ে ঢুলে একভাবে, সেভাবে আমরা ঢুলতে পারবো না।অন্যভাবে ঢুলতে হবে। আসলেই কি?

গ)  কিছু প্যান্ট ভাঁজ করে পায়ের গোড়ালির উপরে রেখে দিয়ে যদি হাটাঁ হয়, তবে আপনা আপনিই ভাঁজ খুলে যায় আর গোড়ালির নিচে চলে যায়। এই ক্ষেত্রে বার বার গোড়ালির উপরে তোলা হাটার সময় কষ্টসাধ্য। আর মাঝে মাঝে তাড়াহুড়াও থাকে জামাত ধরার। এই ব্যাপার এ হুকুম কি?
closed
by (648,600 points)
ঢুলা কি মুহতারাম 
by
reshown by
হুজুর,
উনি সম্ভবত তিলাওয়াতের সময় আমরা যে সামনে পিছনে হেলে পড়ি, সেটা বুঝাতে চেয়েছেন " ঢুলা" দিয়ে।

জাজাক আল্লাহ
by (648,600 points)
জ্বী, এভাবে পড়া যাবে।

1 Answer

+1 vote
by (648,600 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ
কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে  চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহী গ্রন্থ আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ নামক কিতাবে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।নিম্নে আলোচনার সেই চুম্বকাংশকে তুলে ধরছি-

কিরাতুল কুরআন অর্থ-
الْقِرَاءَةُ فِي اللُّغَةِ: التِّلاَوَةُ
কিরাতুন শব্দের অর্থ হল,তিলাওয়াত।
وَالْقِرَاءَةُ اصْطِلاَحًا: هِيَ تَصْحِيحُ الْحُرُوفِ بِلِسَانِهِ بِحَيْثُ يُسْمِعُ نَفْسَهُ، وَفِي قَوْلٍ وَإِنْ لَمْ يُسْمِعْ نَفْسَهُ
পারিভাষিক কিরাত বলা হয়,যবান থেকে হরফ সমূহ উচ্ছারিত হওয়া,এমনভাবে যে,তা নিজে শ্রবণ করা যায়,এক বর্ণনামতে শ্রবণ করা না গেলেও তা কিরাত হিসেবে বিবেচ্য হবে।(৩৩/৪৬)

الْفَرْقُ بَيْنَ الْقِرَاءَةِ وَالتِّلاَوَةِ: أَنَّ التِّلاَوَةَ لاَ تَكُونُ إِلاَّ لِكَلِمَتَيْنِ فَصَاعِدًا، وَالْقِرَاءَةُ تَكُونُ لِلْكَلِمَةِ الْوَاحِدَةِ
কিরাত এবং তিলাওয়াতের পার্থক্য হল,সর্বনিম্ন একটি কালিমাকে উচ্ছারণ করে নিলে সেটা কিরাত হিসেবে বিবেচ্য হবে।তবে তিলাওয়াত হতে হলে সর্নিম্ন দু'টি বা তার চেয়ে চেশী আয়াত হতে হবে।(৩৩/৪৭)

কোন কোন জায়গায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে?
يُسْتَحَبُّ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي مَكَانٍ نَظِيفٍ مُخْتَارٍ، وَلِهَذَا اسْتَحَبَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي الْمَسْجِدِ لِكَوْنِهِ جَامِعًا لِلنَّظَافَةِ وَشَرَفِ الْبُقْعَةِ، قَالَهُ النَّوَوِيُّ.
وَصَرَّحَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ بِكَرَاهَةِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الْمَوَاضِعِ الْقَذِرَةِ، وَاسْتَثْنَى الْمَالِكِيَّةُ الآْيَاتِ الْيَسِيرَةَ لِلتَّعَوُّذِ وَنَحْوِهِ.
পবিত্রতম পছন্দনীয় স্থানেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।এজন্য উলামাদের বড় একটি জামাত পছন্দ করেন যে,মসজিদেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।কেননা মসজিদ পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মসজিদই হল,সর্বোত্তম স্থান।এটা ইমাম নববী রাহ এর মন্তব্য। হানাফি, শা'ফেয়ী, মালিকী,এবং হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত ফুকাহায়ে কিরামের সিদ্ধান্ত হল,ময়লাযুক্ত স্থানে কুরআন তিলাওয়াত মাকরুহ।তবে মালিকী মাযহাবের ফুকাহাগণ দু'আর ছোট্ট আয়াতকে ময়লাযুক্ত স্থানে পড়ারও অনুমোদন দিয়ে থাকেন।(৩৩/৬২)

১. না যাবে না।
২. পড়া যাবে তবে অজু সহকারে পড়াই উত্তম।
৩. জ্বী যাবে।
৪. কুরআন তেলাওয়াত এবং আল্লাহর যিকির বসা অবস্থায়, হেলান দিয়ে, চিৎ হয়ে শুয়ে তথা সর্ব হলতে করা জায়েয আছে।যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن أم المؤمنين عائشة رضي الله عنها أنها قالت : كان النبي صلى الله عليه وسلم : ( يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ )
আমার হায়েয অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন পড়লেন।(সহীহ বোখারী-২৯৭,সহীহ মুসলিম-৩০১)

ইবনে রজব হাম্বলী রাহ বলেন,
"وفي الحديث : دلالة على جواز قراءة القرآن متكئاً ، ومضطجعاً ، وعلى جنبه ، ويدخل ذَلِكَ في قول الله عز وجل : ( الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَاماً وَقُعُوداً وَعَلَى جُنُوبِهِمْ ) آل عمران/191" انتهى .
এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,হেলান দিয়ে,কাৎ হয়ে,চিৎ হয়ে কুরআন তেলাওয়াত জায়েয। এবং এ হুকুম নিম্নোক্ত আয়াত থেকে ও বুঝা যায়।

الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।(সূরা আলে ইমরান-১৯১,সূত্র ফাতহুল বারী-১/৪০৬)



জবাবঃ
(ক)
কুরআনে কারীমকে বসে দাড়িয়ে যেকোনো ভাবে তিলাওয়াত করা যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৭১

সুতরাং ঢুলে ঢুলে তথা জোকে জোকে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে।

(খ)
লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে যে,
"ফেরেশতারা তিলাওয়াত এর সময়ে ঢুলে একভাবে, সেভাবে আমরা ঢুলতে পারবো না।অন্যভাবে ঢুলতে হবে।"
এমন কোনো কথা কুরআন হাদীসে নেই।


(গ)
মুসলমান যুবকের জন্য উচিৎ যে,টাখনুর উপর সর্বদা থাকে,এমন কাপড় খরিদ করা।তবে যদি হঠাৎ এমনটা হয়ে যায়,অর্থাৎ লম্বা প্যান্ট পড়া হয়,এবং বারবার টাখনুর উপর তুলা অসুবিধে হয়,তাহলে এমতাবস্থায় অনুমোদন রয়েছে।

তবে টাখনুর নিচে যায়,এমন কাপড় সর্বদা ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না।এবং এমন কাপড় খরিদ করাও উচিৎ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (648,600 points)
ঢুলা কি জানাবেন।তখন হুকুম লিখা হবে
by (22 points)
বসে বসে ঢুলে ঢুলে পড়া।  এক্টু সামনে পিছনে নড়ে নড়ে 
by (22 points)
উস্তাদ আরেকটা প্রশ্ন করেছি। উত্তর দিয়েন দয়া করে।জাযাকাল্লাহ 
by (648,600 points)
জ্বী।ইনশাআল্লাহ
by (648,600 points)
জ্বী ,পড়া যাবে।

by (22 points)
জি উস্তাদ। অপেক্ষায় আছি
by (648,600 points)
ঢুলে ঢুলে পড়া যাবে।
by (22 points)
এই প্রশ্ন টা উস্তাদ বাদ গেছে মনে হয় ভুলে
গ)  কিছু প্যান্ট ভাঁজ করে পায়ের গোড়ালির উপরে রেখে দিয়ে যদি হাটাঁ হয়, তবে আপনা আপনিই ভাঁজ খুলে যায় আর গোড়ালির নিচে চলে যায়। এই ক্ষেত্রে বার বার গোড়ালির উপরে তোলা হাটার সময় কষ্টসাধ্য। আর মাঝে মাঝে তাড়াহুড়াও থাকে জামাত ধরার। এই ব্যাপার এ হুকুম কি? 

by (648,600 points)
জবাবঃ
মুসলমান যুবকের জন্য উচিৎ যে,টাখনুর উপর সর্বদা থাকে,এমন কাপড় খরিদ করা।তবে যদি হঠাৎ এমনটা হয়ে যায়,অর্থাৎ লম্বা প্যান্ট পড়া হয়,এবং বারবার টাখনুর উপর তুলা অসুবিধে হয়,তাহলে এমতাবস্থায় অনুমোদন রয়েছে।

তবে টাখনুর নিচে যায়,এমন কাপড় সর্বদা ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না।এবং এমন কাপড় খরিদ করাও উচিৎ হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...