আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
সাধারনভাবে আসমানি কিতাব সম্পর্কে আমি জানি যে, তাওরাত যাবুর ইনজিল ও কোরআন। আসমানি কিতাবের উপর আমার বিশ্বাস আছে।কিন্তু আমার জানার সল্পতা আছে। হয়তো কেউ আমার কাছে জানতে চাইলে আমি ৪ টা বলে কনফিউশনে পড়ে যেতাম। কিন্তু আমি আজ জানলাম যে, আসমানি কিতাব ১০৪ খানা, বড় ৪ টি,। ছোট ১০০ টি। যদিও হাদিসটি সহিয় কিনা মতবিরোধ আছে দেখলাম।
বাইবেল সম্পর্কে আমি শুধু জানি যে, তা বিকৃতি করা হয়েছে। এবং তা খ্রিস্টানদের কিতাব।
আমি একটা ভিডিওতে দেখলাম যে, একজন বলছেন মুল যে বাইবেল সেটা আসমানি কিতাব, যেটা আল্লাহর পাঠানো।
এটা দেখার পর থেকে আমার মনে হতে থাকে যে, তাহলে বাইবেল কি আসমানি কিতাব?
ইনজিল কে কি বাইবেল বলা হয়?
এসব প্রশ্ন মাথায় আসছিল। এবং এই বিষয়টি ক্লিয়ারভাবে না জানার জন্য ঈমান হারিয়ে যাবে কিনা সেই ভয়ে মসজিদে যেয়ে নামাজ শুরুর আগে আমি উচ্চারন করে বলছিলাম যে,
"হে আল্লাহ তোমার আসমানি কিতাবের উপর আমার বিশ্বাস আছে। বাইবেল সম্পর্কে আমাকে জানতে হবে। "
( জানতে চাওয়ার উদ্দেশ্য - বাইবেল কি সত্যিই ইনজিল কিনা )
(১) এরকম ক্লিয়ারভাবে না জানার জন্য ও উচ্চারন করে বলার জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে শায়েখ??
(২) বাইবেল ও ইনজিল সম্পর্কে আমাদের কি ধারনা থাকতে হবে?
(৩) আমি আল্লাহর সমস্ত আসমানি কিতাব বিশ্বাস করি। এটা বলায় কি যথেষ্ট হবে?
(৪) আমার মায়ের পাক-নাপাকের সুচিবায়ু রোগ থাকার কারনে ঘরের কোথাও পাখিতে পায়খানা করলে মা খুবই পেরেশান হয়ে যায় । আমাকে জিগ্গাসা করে কিভাবে ও কয়বার ধুতে হবে পাক করার জন্য। আজ খাবারের সময় মা আমাকে একটা হাত ধোয়া পাএে আমাকে ভাত রাখতে বলাই আমি রেগে গিয়ে বললাম যে, ঘৃনা করে না?
তখন মা বললো ধোয়া জিনিস ঘৃনা করবে কেন?
তখন আমি বলতে গেলাম যে, পাখির পায়খানা দেখলে ঘৃনা করে,আর এখন কিছু হচ্ছে না?
এই কথা মনে আসার পর মনে হচ্ছে, আমি মনে হয় ইসলামের পাক নাপাকের বিষয়টা নিয়ে কুটুক্তি করতে চাইলাম। যদিও আমি মুখে উচ্চারন করে বলি নি।
পরে আবার আমি আপনার কাছে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্যে এই কথাগুলি ভাবার সময় উচ্চারন করলাম কিনা তা সন্দেহ হচ্ছে।
এতে কি আমার ঈমানে কোন সমস্যা হবে?