আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

১। ওস্তাদ কাদিয়ানী সম্পর্কে সোসাল মিডিয়ায় এক পোস্ট পেয়েছিলাম ওইটা শেয়ার করেছিলাম, এখন মনে সন্দেহ হচ্ছে যে ঈমান এর কোন সমস্যা হবে কিনা নিচে পোস্ট টি উল্লেখ করা হলো মেহেরবানি করে উওর টি দিন।
কাদিয়ানীদের বিশাল ইজতেমা হচ্ছে? তথ্যটা জানেন? হয়তো জানেন, জানলে সেটার মানি কী বুঝেন, এই ইজতেমা যেটা মানুষকে যি ন্দি ক আর মুরত|দ বানাবে সেই ইজতিমা! এই ইজতিমার দায়িত্বশীল সকলেই ক|ফের, এখানে সমর্থন করা কু ফর!

আগামী ৩,৪,৫ মার্চ পঞ্চগড়ের আহমদনগরে কাদিয়ানীদের ‘ন্যাশনাল সালানা জলসা বাংলাদেশ’ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রত্যেক নবীপ্রেমি মুমিন অনলাইন-অফলাইনে আওয়াজ তুলুন। কাদিয়ানিরা নি:সন্দেহে ক|ফি*র-মু*রত|দ। সারাবিশ্বের সব মুসলমান একমত কাদিয়ানীরা ক|ফের, যারা তাদের ক|ফের বলবে না তারাও ক|ফের। যে লোক কাদিয়ানী আকিদা গ্রহণ করবে তার স্ত্রী তিন তালাক হয়ে যাবে, সে মুরত|দ হয়ে যাবে।

এটা ঈমানের দাবি, নবীপ্রেমের দাবি।
সবাই আওয়াজ তুলুন। সোচ্চার হোন।

আমার-আপনার নীরবতার কারণে একজন মুমিন যদি সেখানে গিয়ে মু*রত|দ হয়ে ঘরে ফেরে, তাহলে আমার-আপনার জবাবদিহিতা করতে হবে কেয়ামতের দিন।

২। এই পোস্ট শেয়ার করার কারণে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি??  মেহেরবানি করে উওর দিন

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
https://www.ifatwa.info/69773 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কাদিয়ানিরা কাফির।কেননা তারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম'কে শেষ নবী হিসেবে মানেন না। অথচ সর্বশেষ ধর্ম হল ইসলাম এবং সর্বশেষ নবী হলেন, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম'।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
 الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ فَإِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। (সূরা মায়েদা : ৩) 

আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। (সূরা আহযাব-৪০)

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فُضِّلْتُ عَلَى الأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ " .
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্য সব নবীদের চাইতে আমাকে ছয়টি বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে। আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমাকে অত্যন্ত প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য গনীমাতের (যুদ্ধলব্ধ) অর্থ হালাল করা হয়েছে। আমার জন্য গোটা পৃথিবীর ভূমি বা মাটি পবিত্রতা হাসিলকার এবং মসজিদ করা হয়েছে। আমাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য (নবী করে) পাঠানো হয়েছে। আর আমাকে দিয়ে নবীদের আগমন-ধারা সমাপ্ত করা হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৮, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৭)
(সহীহ মুসলিম, মাসাজিদ, হাদীস : ৫২৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উপরোক্ত পোস্টের কারণে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...