ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/31990/?show=31990#q31990
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদিস শরিফে এসেছে, আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ
النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ
يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ،
ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
হায়িযের রক্ত কাপড়ে
লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর
সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)
শরীয়তের বিধান হলো
কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে
চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ
থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি
জিওর ২/৭৭ )
কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত
লাগলে, কাপড়কে
তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে
পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়। (ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)
আরো জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/118
وغير
المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু
তিন বার ধৌত করতে হবে এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে। (নুরুল ইযাহ ৫৬)
উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে
সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী,
পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে
যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক
১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/8939/
এখানে মূল শব্দটি
হলোঃ
عَصَرَ[ض]
(عَصْر)
['আছরুন] শব্দের অর্থ
চাপ দিয়ে বা পাক দিয়ে
পানি বের করা, রস
বের করা, নিংড়ানো।
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন,
১. আপনি তিনবার
খুব ভালোভাবে ধৌত করে তিনবারই ভালো ভাবে নিংড়াবেন। এর পরও যদি দুই এক ফোঁকা পানি
পড়ে তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই। এখানে মূল বিষয় হলো যে, নাপাক কাপড় এমন ভাবে ধৌত
করতে হবে যাতে করে কাপড়ে কোনো নাপাকি না থাকে।
২. না, এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।